জীবনের একটা বিশাল সময় আমি কিছুই লিখতাম না- সত্যি কথা বলতে কী, লিখতে জানতামই না। লেখালেখির মত একটা কঠিন ব্যাপার আমার দ্বারা সম্ভব- এটাই অবিশ্বাস্য ছিল।
তারপর একদিন মনে হলো, না! আমারও কিছু বলার আছে। সবাই যেমন করে একটা ঘটনা দেখে, বর্ণনা করে- আমি যেন তেমনটা দেখি না। বর্ণনাও তাই আলাদা হওয়া উচিৎ। এইভাবেই হয়ত জন্ম হয়েছিল আমার লেখক সত্ত্বার- যে সত্ত্বা প্রতিক্রিয়াশীল, যে সত্ত্বা সার্বিক আলোচনায় মুখর। অবশ্য, মূল ধারায় পাত্তা না পেয়েই অতি সহজ মাধ্যম ব্লগের আঙিনায় পা রাখা।
সে সময় খুব হিট পাগল ছিলাম। কতজন এসে পড়ল, কতজন মন্তব্য করল, কতজন দ্বিমত করল, লেখার কোথায় কোথায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে- এসব নিয়ে ভাবতে ভালই লাগত।
সমাজ বদলে দেবার স্বপ্নটা অনেক পুরানো। মনে হোত, একটা-দুইটা লেখায় হয়তো সমাজ বদলাবে না, কিন্তু ঝাঁকুনি তো আসবে; কাউকে না কাউকে তো ভাবাবে! নিদেনপক্ষে, মানুষ, সমাজ, জীবন নিয়ে আমার ভাবনাগুলো অন্ততঃ অন্যের সাথে ভাগ করে নেয়া যাবে!
আজ বছর চারেক পার করেএসে দেখি, কতদিন কিছুই লিখি না! একটা সময় এমন ছিল যখন, কী বোর্ডের আলতো আঁচড়ে বেরিয়ে আসতো বিশাল আকারের সব লেখা(সাহিত্য বলাটা অনুচিত হবে)! অথচ, এখন চলছে বন্ধ্যার কাল- উষরতার যৌবন! দিন বয়ে যায়, খরায় খরায়!
কেন লিখব? কার জন্য লিখব? আদৌ কেউ পড়বে কি? পড়লেও কতদুর গ্রাহ্য করবে? নিজের মতের বাইরে গিয়ে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মত মননশীল আর কতজন আছেন বাকি? পন্ডশ্রমে দেহ-মন সায় দেয় না আর!
আরো পড়তে