প্রায় বছর দেড়েক আগে এঁকেছিলাম এই ডায়াগ্রামটা।
দেখে কে কি বুঝছেন জানিনা। এটার ভিতর এখন পর্যন্ত হিসাবকৃত এবং পর্যবেক্ষনশীল আমাদের এই মহাবিশ্বের ব্যাপ্তি বোঝানো হয়েছে।
মাঝে আমাদের সৌরজগৎ। সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র আলফা সেঞ্চুরির দুরত্ব ৪.২ আলোকবর্ষ। হিসাবটা হল, আলো এক সেকেন্ডে যায় ১,৮৬,০০০ মাইল। আলো এক বছরে যে পরিমান দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলা হয় এক আলোকবর্ষ। আমাদের থেকে ৩০ আলোকবর্ষ বিস্তৃতির ভিতর আছে আমাদের সৌরজগতের মত কমপক্ষে ১০০ সৌরজগৎ।
১০০০ আলোকবর্ষ ব্যাসের ভিতর আছে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ সৌরজগৎ, যাকে একক হিসেবে বলা হয় “অরায়ন স্পার”। এইরকম ২০০-৩০০ বিলিয়ন “অরায়ন স্পার” আছে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে এর ভিতর।
আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সি এন্ড্রোমিডা এর দুরত্ব ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ (কল্পনা করে দেখুন দুরত্ব টা। খেই হারিয়ে ফেলবেন প্রকৃতির বিশালতার মাঝে।) গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে এর মত হাজার হাজার গ্যালাক্সি মিলে তৈরি হয়েছে “ভার্গো সুপার ক্লাস্টার সিস্টেম”। আমাদের থেকে যেগুলো ১৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে।
এরকম এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) আলোকবর্ষ বিস্তৃতির ভিতর আছে হাজার হাজার “ভার্গো সুপার ক্লাস্টার সিস্টেম”।
এখন পর্যন্ত ১৩.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরত্ব পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করা সম্ভব হয়েছে।
এবার কল্পনা করুন, এই ১৩.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষের ভিতর অবস্থিত হাজার হাজার “ভার্গো সুপার ক্লাস্টার সিস্টেম” এর ভিতরে থাকা হাজার হাজার গ্যালাক্সির মধ্যে একটা গ্যালাক্সির বিলিয়ন বিলিয়ন সৌরজগতের মধ্যে ক্ষুদ্র একটা সুর্যের গ্রহমণ্ডলীর ভিতর ক্ষুদ্র একটা নীল গ্রহের ক্ষুদ্র একটা শহরের ক্ষুদ্র একটা অংশের ক্ষুদ্র একটা রুমে বসে আমি লিখছি এই লেখা আর আপনারা পড়ছেন।
কতই না ক্ষুদ্র আমরা!!!! এত বড়াই কেন তাহলে আমাদের?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৫