somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নিয়ে কিছু কথা-একটি ২১+ পোস্ট। নিজ দায়িত্তে ধুঁকেন

১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচারেই প্রসার। এটাই যে কোন জিনিসের মার্কেটিং এর তত্ত্ব। ফলশ্রুতিতে পণ্য গুলো হরেক রকম আজীব চিরিয়া মার্কা বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির হয় চোখের সামনে। এগুলার কোনটা গোপাল ভারের জোকারি মার্কা লোক হাসানো, কোনটা অশ্লীল নাচ-গানে ভরপুর, আবার কোনটা মদনা মার্কা অলীক সপ্ন দেখানো( হাজার বছরের ঘুমিয়ে থাকা মমিকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে শুধুমাত্র রেডিও এর সাধারণ একটি ঘোষণা শুনিয়ে। আবার কোথাও এনার্জি ড্রিংস খেয়ে ফু দিয়ে বাতি নিভানোর সাথে সাথে ঝড় শুরু হয়ে যায়)। হাঁ সত্যি এর মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন শিক্ষামূলক ও রুচিশীল। কিন্তু বেশীরভাগ বিজ্ঞাপনই এখন কুরুচিপূর্ণ, আর নারী –পুরুষের ডলাডলি – ডেলাডেলিতে পূর্ণ। কিছুদিন আগে শুনতে হতো আমাদের ঢাকাইয়া ছিনেমা গুলো খুব অশ্লীল। ঘরের সবাইকে নিয়ে দেখা যায় না।কিন্তু আমি বলবো এখন আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞাপন এমনকি ভারত থেকে আমদানি করা বিজ্ঞাপন গুলোও চরম অশ্লীল, জঘন্য। জানি এই লেখা পরে অনেকে ক্ষেপে যাবেন। অনেকে বলবেন,ধুর মিয়া আপনি তো অশ্লীলতার সংজ্ঞাই জানেন না। এতোটুকু আজ দেখাতেই পারে। বাহিরের দেশের অবস্থা আরও খারাপ। ওইখানে আরও বাজে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। কেউ কেউ এক ডিগ্রি উপরে গিয়া বলবে, শুনেন মিয়া নংগ্নতাই অশ্লীলতা নয়। তখন যদি আমি বলি, চলেন ভাই আপনার বউ আর বোনকে নগ্ন করে একটু দেখি। এটাতো অশ্লীলতা নয়। তখন কি বলবেন?? আসলে কি ভাই, আমরা এই অশ্লীল দৃশ্য দেখতে দেখতে এখন এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে এখন আর এগুলো আমাদের কাছে আর আট দশটা দৃশের মতই মনে হয়। অশ্লীল আর শ্লীলের মাঝের তফাৎ ভুলে গেছি।
আসল কথায় আসি।আমাদের দেশের টিভি অনুষ্ঠানের অন্যতম দর্শক হল আমাদের ছোট ছোট ভাই বোন।আমদের বাসা বাড়ীর কাজের মেয়ে। বা কখনো কখনো আমাদের মা। পরিবারের পুরুষরা সাধারনত খেলা বা খবর নিয়েই বেশী থাকে। তাহলে এই টিভি বিজ্ঞাপন গুলো খাচ্ছে আমাদের ছোট ছোট ভাই বোনেরা। এরা এগুলো থেকে কি শিখবে?? শিখবে নগ্নতা, যৌনতা। এরা বুঝছেও না কোনটা খারাপ আর কোনটা ভালো। বিজ্ঞাপনে নাকি মেয়ে না থাকলে চলে না। কিসের বাংলালিঙ্কের বিজ্ঞাপন-এক গাদা পোলা মাইয়া গিয়া স্টেশনে নর্তন কুর্দন করলো। বিয়ে বাড়ীতে নাচা নাচি। আফজাল সুজ এর বিজ্ঞাপনে ৪০ সেকেন্ড নাচা নাচির পর ২ সেকেন্ড জুতা দেখান হল। আর এসব নাচানাচিতে মেয়ে থাকা আবশ্যক। আপনারা কেউ কি দেখাতে পারবেন এইসব নাচা নাচির সময় একটা মেয়ের বুকেও কাপড় আছে?? থাকে না। তাহলে আমাদের ছোট বোন শিখছে বুকে কাপড় না দিলেও চলে। এটাকেই সে স্বাভাবিক ভেবে ধরে নিয়ে বের হচ্ছে বাহিরে। কিন্তু আমাদের সামাজিক অবস্থা বাস্তবে আর টিভি পর্দায় যেন যোজন যোজন ফারাক। বাস্তবে কোন ছেলে বুক খোলা কোন মেয়ে দেখলে যৌন লালসা চরিতার্থ করার লোভ সংবরন করতে পারে না। আবার কাছে গিয়ে ইউরোপিয়ানদের মত জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে বা ডট ডট সে সুযোগ ও নাই। তাই করে বসে ইভটিসিং। এখানে দোষ কার ছেলের না মেয়ের??
ছেলেটি পারে নি তাঁর সেক্স দমিয়ে রাখতে অন্য দিকে মেয়েটি বুঝেনি যে তাঁর গলার কাপড় বুকে না জড়িয়ে গলায় জড়ানোতে আজ তাকে বাজে অবস্থায় পড়তে হল। আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ এখন সর্ব নিন্ম স্তরে। অথচ এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সমাজে খুব ভালো ভালো মেসেজ দেওয়া যায়। ইদানিং সবচেয়ে অবাক হচ্ছি রমযান উপলক্ষে বানানো কিছু টিভি প্রোগ্রাম দেখে। রমযান আসলেই ইসলামিক অনুষ্ঠান আর রান্না বান্নার অনুষ্ঠানের হিড়িক পরে যায় চ্যানেল গুলোতে। ইসলামিক অনুষ্ঠান গুলোতে মাথায় কাপড় দিয়ে ফাতেমা-তুজ- জোহরা বা মুন্নিদের মত শিল্পীরা গজল গাইতে বসে যায়। না এটা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই। মানুষ অনেক সিজনাল বাবসা করে। ব্যাপার না। কিন্তু সমস্যা হল রান্না বান্নার প্রোগ্রাম গুলো নিয়ে। এখানে রান্না করে একজন আর অতিথি থাকেন দুই জন। বেশীর ভাগ সময় অতিথি হন মিডিয়ার নামি দামি কোন অভিনেত্রী। নাচতে নাচতে চলে আসেন ফতুয়া আর জিন্স পরে। কখনো কখনো পাতলা ফিনফিনে শাড়ি বা সেলয়ার কামিজ। যা পরার থেকে না পরাই ভালো। আমার এক বন্ধু বলেছিল,দস্ত নেকড ছবি দেখলে আমার যতটা না ক্রেযি হয় তাঁর থেকে বেশী হয় হিন্দি আর বাংলা ছবি দেখলে। আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম ,কারন কি?? সে বলল, দোস্ত ওইটাতে তো সব খুলে দেয়। সব ওপেন। আর এটাতে কিছু ঢাকা কিছু ওপেন। বাস্তবে কথাটা কততুকু সত্য যা বিচার করে দেখার জন্য কখনো নেকডড ছবি দেখতে যাই নি। এর বিচার আপনাদের হাতেই রইলো। তবে রমযান মাস উপলক্ষে তৈরি এসব প্রোগ্রামে এমন সব অশ্লীল জামা কাপড় পরা অতিথি দেখলে থাপরাইতে ইচ্ছা করে। এত কথা বলার একটাই উদ্দেশ্য আপনার বাসায় আপনার ছোট ভাই বোন যাতে এসব অশ্লীল বিজ্ঞাপন দেখে চরিত্র না হারায় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন জগতের মানুষদের জীবনধারা নিয়ে আরেকদিন লিখব ইনশাল্লাহ। সেদিন বুঝতে পারবেন কেন অরুন চৌধুরীরা মিডিয়ার মেয়েদের নিয়ে খেলার সাহস আর সুযোগ পায়। সবাই ভালো থাকবেন।ফেবুতে আমাদের সাথে থাকতে এই পেজটি লাইক করতে পারেন। দুইজনের দুটি ছবি দিলাম। দেখেন এদের চিনেন কিনা। আমরা কিন্তু এদের বিজ্ঞাপন আর নাটকই ভক্ষন করে থাকি।:((:((:((:((
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৯
২১টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×