আজ হাইকোর্ট একেবারে নির্দেশই দিয়ে দিল। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ইস্যূতে নির্দেশটি দিলেন কিন্তু আদেশটি কভার করেছে আদালতের যে কোন বিচার নিয়ে জনসাধারন আলোচনা করতে পারবে না। আইন গুলি ব্রিটিশ তবে এটাকি ব্রিটিশ আমল না বাংলাদেশে পাকিস্তান আমল।
আচ্ছা কোর্টে একটা বিষয়ে বিচারাধীন মামলা নিয়ে যদি জনগন আলোচনা করে তাহলে জজ সাহেবদের সমস্যাটা কোথায় ? কোথায় সেই আইন, কোথায় ব্যাখ্যা, এটা এবার জনগনকে দেখাতে হবে। দের কি ধারনা তারা একটা মঘের মুল্লুকের দায়িত্বশীল বিচারক ? আমিতো অথর্ব ফতোয়াবাজ মোল্লা আর আমাদের ইয়োর লর্ড বিচারপতির মধ্যে কোন ইতর বিশেষ করতে পারছি না। বরং আরও জঘন্য আরও ভয়ংকর এবং বিশাল পরিসর।
বিচারকের কাজ কি ? চলুন দেখি। মামলা হয় আদালতে অথবা থানায়। বাদীর এজাহার, পুলিশের বা অন্য তদন্ত, সাক্ষীর স্বাক্ষ্য, আলামত ইত্যাদী এবং সংশ্লিষ্ট আইন কানুন। বিচারকের এখানে আর কোন কর্তব্য বা স্বাধীনতাও নেই। তিনি শুধু আইনে বর্নীত প্রক্রিয়া যথাযথ অনুসরণ করে সবগুলো প্রাপ্ত উপাদান সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে খাপে খাপে বসিয়ে মেশিনে যেইরকম হবে সেই রকমই রায়টা কনক্লুড করা।
এখানে মিডিয়া জনগন এগুলিকে কি ভাবে পাইলেন ? সেই যে কবে শুরু করলেন বাংঙ্গালীরে হাইকোর্ট দেখানো, এখনও আমাদের তাই দেখাইতাছেন। এটা কি লর্ড ব্রিটিশের কোর্ট না পাকিস্তান কোর্ট ? স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের কু-ব্যাখ্যা বা ফতোয়াবাজি চলবে না। বরং কিছু দিনের মধ্যে আমরা ভিডিও কেমেরা নিয়া আদালতে ঢুকছি। আপনারা কি করেন লাইভ দেখবো এবং দেখাবো। বিচার হবে প্রকাশ্য এবং দিবালোকে। আইন কখনও অন্ধকার থাকতে পারে না। আমাদের হাইকোর্ট দেখাবেন না।
আচ্ছা বলেনতো গত বছর বা এ বছর এ পর্যন্ত হাইকোর্টে কতগুলো রিট পিটিশন হয়েছে ? সংখ্যা এত বেশী কেন ? একটা রিট আবেদনে এভারেজ কস্ট কত ?
সিভিল কোর্টে একটা সামান্য ল্যান্ড ডিসপিউটের মোকদ্দমায় মামলাটি চলতে পারে এই রায় (তারা মামলার প্রতি পর্যায়েই রায় দেয়) দিতেই দশ বছর সময় লাগে কেন ?
এগুলি আবার কন্টেম্পট অব কোর্ট না তো ? আইন অনুযায়ী কনটেম্পট করা যাবে না তবে অবিচারককে গালি অবশ্যই দেয়া যাবে।
(তবে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ইস্যূতে আদালত শুধুমাত্র কারন উল্লেখপূর্বক জনসাধারনকে এ মামলা নিয়ে অবাধে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিতে পারতো তবুও আইনবহির্ভূত এবং জেনারেল এক্সেপশন হিসাবে। )
আমাদের কিছু বেসিক পরিবর্তন না করলে অন্য কোন পরিবর্তনের কোন ফলাফলই পাওয়া যাবে না। আর এই মৌলিক পরিবর্তনের মধ্য বিচার আদালত বিচারক এখানকার দাশ মনোবৃত্তির কনসেপশন গুলি অন্যতম। এগুলি আমাদের মজ্জা পর্যন্ত ইনডিউস করে গেছে বৃটিশ ও পাকস্তানিরা। তাদের সেটা প্রয়োজন ছিল কারন দেশ না দাস শাসন করতো । আর ঐ করতে করতে এগুলি আমাদের রক্তে ঢুকে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




