জেলা জজের অবস্থান সচিব ও তিন বাহিনীর প্রধানের ওপরে। ঠিক আছে হবে। যদিও এতে বিচারপতিদের অবস্থান গিয়ে দাড়াবে রাষ্ট্রপতির সাথে আর প্রধান বিচারপতির অবস্থান হবে রাষ্ট্রপতির উপরে। নো প্রবলেম, যেহেতু রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে প্রধান বিচারপতিকে শপথ করায় সুতরাং দেয়া যায়। ঠিক আছে সব হবে, তবে তার আগে স্বাধীন বিচার ব্যাবস্থা করতে হবে। এবং তারও আগে ঠিক করতে হবে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় কার স্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে ?
কথায় আছে ৩৬০ টা শয়তান মরে জন্ম হয় একজন উকিলের। আর এরকম একজন লোক ২০ বছর কুকর্মের অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর বিচারপতি পদে আবেদনের যোগ্য হয়। যেহেতু এই কথাটা প্রবাদের পর্যায় চলে গেছে সুতরাং এর সত্যতা পরীক্ষিত ও প্রমানীত। কিছু দিন আগের সেই ভূয়া সার্টিফিকেটের বিচারপতির কথা আপনাদের মনে আছে অবশ্যই তাছাড়া গত চল্লিশ বছরে এদেশে প্রতিটি অসাংবিধানিক কু-কর্ম এই বিচারকরাই বৈধতা দিয়েছে আবার এরাই অবৈধও ঘোষনা দিয়েছে সেগুলি।
সুতরাং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আইডিয়াটা উপলব্ধির আগে আমাদের দেশ, দেশের সিস্টেম এবং সিস্টেমের লোকগুলোর খাছিলত বিবেচনায় এনে আমাদের ঠিক করতে হবে কার স্বাধীনতা ? আমরা যে ভাবে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন করছি তাতে বর্তমান বিচার ব্যবস্থার উকিল, মুক্তার, পেশকার, আইও, জেলার ও বিচারক এই চক্র স্বাধীন ভাবে লোক চক্ষুর আড়ালে এদেশের কোটি কোটি সাধারন মানুষের রক্ত চোষার পাকা ও ফুল প্রুফ আয়োজন করে নিচ্ছে। আজ দেশের প্রতিটি জেলার আদালত গুলোতে স্বাধীন ও গোপনে প্রতিটি রায় নীলামে উঠছে ও বিক্রি হচ্ছে। দ্যাশের মানুষগুলোর গরু বেচা, ক্ষেত বেচা টাকা খাওয়ার এ এক মহা স্বাধীন ও গোপন আয়োজন প্রতিটি জেলায় অর্থাৎ নিম্ন আদালে চলছে। আর উচ্চ আদালতে সেই বেচা কেনা অনেক উচ্চ দরের। যেমন গত বছর নাকি ১৫ হাজার রীটই মামলাই হয়েছে হাইকোর্টে। গড়ে একলাখ গুন পনের হাজার সমান স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা।
তাহলে দেখাযায় প্রথমেই ঠিক করতে হবে কার স্বাধীনতা ? চোরের না সাধুর ? হ্যাঁ জনগনের স্বাধীনতা, অধিকারের স্বাধীনতা । আদালতকে প্রকাশ্য ও জনসন্মুখে আনতে হবে। যেহেতু বিচার যতই প্রকাশ্য হবে ন্যায় বিচার ততই নিশ্চিত হবে। যেমন ধরুন প্রতিদিন জেলা পর্যায়ের আমলি আদালতেই দুই থেকে চারশ নতুন মামলা রুজু হয়। এই সময় যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তা হলো জামীন। এই জামীন নিয়ে উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক লিপ্ত হয় ধান্দা প্রতিযোগীতায়, গরীবের গরু বেচা ক্ষেত বেচা টাকাগুলো নিয়ে। সবাই কন্টাক করে, এত লাগবে, অত লাগবে, জামীন কনফার্ম। এই খবরগুলো কখনও আদালত পাড়ার চার দেয়ালের বাইরে যায় না। আর গরীব ভুক্তভুগি বাদি বিবাদী ? সেতো ভয়েসলেস পপুলেশন। আমরা কিভাবে আমাদের মূর্খ গরীব মানুষগুলিরে একা একা এই বাঘের খাঁচায় ফেলে রাখতে পারি ? এখানে কারও কোন বন্ধু নেই সব রক্ত চোষার দল।
অতএব আমরা চাই, আদালতে উৎসুক পাবলিক, বাদী, বিবাদী, উকিল, পেশকার, আইও, এবং বিচারক ছাড়াও রিপোর্টার সাংবাদিকরা তাদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারবে প্রয়োজনে লাইভ দেখাতে পারবে রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে তবে বিচারককে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। তাতে দেশের মানুষগুলি লোকাল পত্রিকায় জাতীয় ও পত্রিকায় আদালতের খবরগুলো জানতে পারবে। এটার নামই আসল স্বাধীনতা। বর্তমানে যা আছে তা হলো স্বাধীনভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে রক্ত চোষার স্বাধীনতা।
তাই কাল থেকে সাংবাদিক রিপোর্টাররা ক্যামেরা নিয়ে আদালতে বসে থাকবে। দ্রঃব্যঃ বর্তমানের ৬৪ জেলার ৬৪ জন দায়রা জজ্বের ৫০ অধিক জনের ঢাকায় ৫০ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ফ্লাট আছে। কারও কারও কি কি আছে তার হিসাব নিজেরাই জানে না। একজন দায়রা জজ ইনসপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন পদে যেতে দুই কোটি টাকা দিতেও রাজি থাকে, কারন ২ মাসে বিনিয়োগ উঠে আসবে। দুদক কালই এগুলির প্রত্যেকটার সম্পদের হিসাব চাইবে। এরপর ঝাতি ওয়ারেন্ট অবপ্রেসিডেন্স বিবেচনা করবে ওকে ?
উল্লেখ্যঃ আদালত অবমাননা আইনটি করা হয়েছিল বৃটিশ এবং পাকিস্তানের বিচারকদের যেন এদেশে অবিচার করতে কোন প্রশ্নের সন্মুখীন না হতে হতো তার জন্য। আমরা মনে করি স্বাধীন বাংলাদেশের বিচারকেরা পাকিস্তান বা হিজ লর্ডের নিযুক্ত ব্যক্তি নয় যে তাদের কু-কর্মের ইনডেমনিটি লাগবে। সো ফরগেট কনটেম্পট অব শয়তানের কোর্ট এন্ড টক লাউড।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




