১. রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সরকারি পদক্রমে (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংবিধানে উল্লেখিত পদ হিসাবে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মুখ্য মহানগর হাকিমদের পরে থাকবে তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নাম। এর পরে থাকবে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নাম।
২. এই নির্দেশনার আলোকে নতুন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা হলফনামা আকারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আগামী ২৫ মে শুনানির ধার্য তারিখে আদালতে দাখিল করতে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে/করেছে।
৩. বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ও বর্তমানে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা জজ) বিচারক মো. আতাউর রহমানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধ বারে শুনানী শুরু করে বৃহস্পতি বার হাই কোর্ট এই রায় দেন।
৪. মাজদার হোসেনের দায়ের করা এরকমই আর একটা আবেদনের নিষ্পত্তই আজকের স্বাধীন জুডিশিয়ারি বিষয়টি এক্ষেত্রে জনগনের পুনরায় মনে করে দেয়। যদিও মাজদার হোসেনের আবেদনে স্বাধীন বিচার বিভাগের কথা দূরে থাক শব্দটার ব্যবহারও ছিল না, ছিল আলাদা বেতন স্কেল ও কিছু অনান্য সাপোর্টের সহ আর্থিক সুজোগ সুবিধার দাবী।
৫. বিষয়টা এরকম যেন আপনিই আপনার কাছে ওনার বিরুদ্ধে মামলা করলেন কেন আপনি এইটা ওইটা আর সেইটা নিবেন না/আপনাকে নিতে দেয়া হবে না। আর বিচার শেষে আপনিই রায় দিলেন এইটা ওঐটা ও সেইটার সাথে আরও এই নতুন ৪ (চারইটা) জিনিষ নেওয়া হলো।
৬. সব কিছুরই একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকা অপরিহার্য। কমন সেন্স তাই বলে। কোথাও কোন ছোটোদের স্কুলের বইয়ে দেখে ছিলাম স্বাধীনতা বা ইন্ডিপেন্ডেন্সের - যাই বলেন না কেন - এবসলুট নটরিয়াস স্বাধীনতা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার তিনটি মৌলিক ইলিমেন্টের মধ্যে এই চেক এন্ড ব্যালান্সের খুবই সহজ পিকটরিয়াল ইলাস্ট্রেশনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিচার বিভাগ আর সিনেটের এই চেক এন্ড ব্যলান্স বোঝাতে গিয়ে মানুষ আর শিকল দিয়ে একটা ছবি দিয়েছিল এইরকম যে নানা আকৃতির তিনটা মানুষ আর এর পা ওর গলা তার পা আবার তার গলা ওর পা এর গলা। কত সহজ অথচ ইউনিভার্সাল চেক এন্ড বেলেন্স।
৭. সরকার বলেন বিচার বিভাগ বলেন আর লেজিসলেটিভই বলেন প্রত্যেকের সতস্ফুর্ত স্বাধীনতাই এবং স্বতস্ফুর্ত চেক এন্ড ব্যলান্সই সংবিধানের মুল স্পিরিট তাই আইন সভা প্রনীত সংবিধানের অভিবাবক/ব্যাখ্যা দাতা আদালত হলেও সংবিধানের যে অংশের প্রয়েগে আদালত নিজেই সংক্ষুব্ধ সে অংশের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে নিজের বিচার নিজে করার মত আইনের নৈতিক লংঘন এড়াতে এক্ষেত্রে আইন সভার ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।
৮. সুতরাং উদ্ভুত এক্ষেত্রে সরকারের আদালতে আপিল করার পরিবর্তে আইন সভায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন সহ কেয়ারটেকার সরকারের দারা নিষ্পত্তি কৃত জুডিশিয়ারি ছেপারেশনের বর্তমান স্ট্রাকচার সম্পর্কে আইন সভার রেটিফিকেশনে - বা যে টার্মই হউক না কেন এই নেচার হিসাবে - দৃষ্টি আকর্ষন করা উচিত বলে এদেশের সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন সাধারন জনগন মনে করে।
৯. তারা ভুলটা কোথায় মনে করে এটা জানার দাবীও করে।
বর্তমান ইস্যূতে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সম্পর্কে কে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি দেবে বিচার বিভাগ না আইন সভা ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




