আসুন একটা কবিতা লিখি (৩য় অংশ। )
"শত কবির বন্দনা"....মূল ভাবনা আমার হলেও কাব্যগ্রন্থের নাম দিয়েছেন সজল-৯৫।
প্রথম অংশ:http ৫০জন কবির ৫০টি অংশ আছে
Click This Link
২য় অংশ:৫১ থেকে ৮০ মোট ৩০ জন কবির ৩০টি অংশ আছে
Click This Link
রচনাকাল শুরু: ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫৮
(সম্পাদকীয়: আমরা অনেকে মিলে এই কবিতাটি লিখবো..। মন্তব্যের ঘরে আপনিও লিখে ফেলুন এর অংশ হিসেবে কটি লাইন। যা সংযুক্ত হবে মূল লেখায়। মুক্তিকামী মানুষ যেমন লিখেছে বাংলাদেশ। এটি সেরকম একটি প্রয়াশ। আপনিও সামিল হন...............)
( মূলভাবনা: সেবু মোস্তাফিজ)
কাব্যগ্রন্হের নামকরণ: সজল৯৫
[sb( লেখক: (২)জীবনানন্দদাশের ছায়া ,(৩) রাজসোহান ,(৪)মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্,(৫) পাহাড়ের কান্না , (৬)লুতফুল বারি পান্না, (৭)সোমহেপি, (৮)দেহপূজা, (৯)রিমঝিম বেষ্ট , (১০) রাজিবুল ইসলাম , (১১)অন্ধ আগন্তুক , (১২) শ্রীমান, (১৩) স্বপ্ন সওদাগর, (১৪)ওরাকল ,(১৫)ইলিয়াস সাগর ,(১৬) বাবুল হোসেইন , (১৭)কোয়ানটাম সায়েনস ,(১৮)শাওন ইমতিয়াজ , (১৯)জাফর বায়েজীদ,(২০)মনপবন , (২১)এবং অথবা আমি,(২২) মনিরুল হাসান, (২৩)নিভৃতচারী ,(২৪) অদ্ভুত শূন্যতা,(২৫) অসময়ের আমি ,(২৬)নুরুন নেসা বেগম ,(২৭) আদনান ফারাদী,(২৮)মুহসিন,(২৯) নীল ভোমরা,(৩০)তানভীর চৌধুরী পিয়েল,(৩১)নাঈম (৩২)জলকমল , (৩৩) নিস্সঙ্গ যোদ্ধা, (৩৪) আর.এইচ.সুমন , (৩৫)প্লাস_মাইনাস(৩৬)দুরন্ত স্বপ্নচারী ,(৩৭)ফকির ইলিয়াস, (৩৮)মাসুম আহমদ ১৪, (৩৯) কালপুরুষ ,(৪০)সৈয়দ নূর কামাল, (৪১)রাঙ্গাকলম,(৪২)সাইফ সামির,(৪৩)আসাদ /পারেভজ,(৪৪)আকাশদেখি, (৪৫)পঙ্খিরাজ,(৪৬) সজল হাজারি , (৪৭) রক্ত রঙ ,(৪৮) জুন, (৪৯) কাঠফুল , (৫০)শাহেদ খান , (৫১)ইসমাইল চৌধুরী , (৫২)আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়, (৫৩)শামীম শরীফ সুষম, (৫৪)হারুন আল নাসিফ (৫৫)ফকির আবদুল মালেক , (৫৬)জিয়া চৌধুরী ,(৫৭)আজম মাহমুদ,(৫৮) আজাদ আল্-আমীন,(৫৯) মাধব ,(৬০)জাভেদ জামাল,(৬১)প্লেটো,(৬২)সাদাকালামন,(৬৩) আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন,(৬৪)হোদল রাজা,(৬৫) ১৯৭১স্বাধীনতা,(৬৬) অগ্নিলা, (৬৭)মিয়াজী, (৬৮)আবদুর রহমান (রোমাস),(৬৯)আবদুল্লাহ তানভীর,(৭০)সাজেদা সুলতানা,(৭১)হতাশার স্বপ,(৭২)রাষ্ট্রপ্রধান,(৭৩)মিটন আলম , ,(৭৪)নীল_পরী ,(৭৫) মাহবুবুল আজাদ , (৭৬) ভিজামন, (৭৭) রেজওয়ান মাহবুব তানিম, (৭৮) সত্যবাদী মনোবট (৭৯) বাদশা মিন্টু, (৮০) বেলায়েত মাছুম (৮১) মাহামুদ রাহি, (৮২) সকাল রায়, (৮৩)মোশতাক আহমদ, (৮৪)নাহিয়ান বিন হোসেন (৮৫)কবিরাজ_কুশল, (৮৬)রুদ্রাক্ষী,(৮৭)সাজিদ এহসান, (৮৮) মাহমুদুল হাসান কায়রো,(৮৯) সুনীল সমুদ্র,(৯০) মুনসী১৬১২, (৯১) এসএনিট,(৯২) আশিক মাসুম,(৯৩) নেক্সাস ,(৯৪)মতিউর রহমান মিঠু, (৯৫) লেখোয়াড়, (৯৬) হাবিবুর রহিম, (৯৭) ধূসর স্বপ্ন,(৯৮) বসন্তের ঝরা পাতা, (৯৯) আবদুল্লাহ আল মনসুর,(১০০)এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল ।)
অংশ: ৮১
৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৮
মাহামুদ রাহি
যখন আমায় প্রশ্ন করা হবে
তুমি কর্তব্য কি করেছ পালন
আমি বলব
এখন'তো চশমা ছাড়া দেখতে পাই না
তবে,
এক সময় দেখেছি অনেক....
আমি দেখেছি একদিন...
বিহবল বাবার বুকে সন্তানের গুলিবিদ্ধ লাশ,
ডাস্টবিনে একদলা রক্তার্ত মাংসপিন্ডের চিৎকার।
সন্তানকে দেখেছি,
বাবার টুকরো করা দেহাংশ জোড়া দিতে
বাংলার সীমান্ত সন্তানদের,
নর্দমায় পঁচে-গলে লাশ হয়ে ভেসে যেতে ,
বোনকে দেখেছি
ভাইয়ের উপরে নেয়া চোখ, কেটে নেয়া হাত,পা খুঁজতে
পড়ুয়া বিদ্যানকে দেখেছি
বুলেটে খুলি উপরে নেয়া মস্তকে, পড়ার টেবিলে।
আমি দেখেছি....
গভীর রাতে এক মায়ের প্রলম্বিত আর্তচিৎকার
ছুটেছি হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল
কাটাকুটির পর তার মুখে এক চিলতে চাঁদ।
আমি দেখেছি...
নবপরিনীতা বধুর রক্তস্রাব
কোটর বেরিয়ে আসা চোখে ছিল
সন্তান বাঁচানোর হাহাকার,
ভূমিস্ট সন্তান কোলে
মা'য়ের কৃতজ্ঞতার হাসি তখন ছিল ম্লান।
আমি দেখেছি...
পুতিদূর্গন্ধময় ঘরে,
অক্সিজেন শেষে, শ্বাষ কস্টের জান্তব ঘরঘর
ঘরময় মৃত্যুর বিভিষীকায় ভয়ার্ত বেশ ক'জোড়া চোখ,
শুয়েছি নির্দিধায়,
জাড়িয়েছি বাহুডোড়ে একটু উষ্ণতা দেবার প্রত্যাশায়।
আমি দেখেছি.....
মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাতে আসা ইমামকে
আতঙ্কিত চোখে ছিটকে বেরিয়ে আসতে লাশ কাটা ঘর থেকে
করিয়েছি গোসল, যেমন নিজে করি নিজ হাতে।
আমি দেখেছি..
আমি দেখেছি অনেক....
এখন বলব কিছু
বলব কবিদের....
আবার আমাদের কবিদের কলম গুলো সব
একেকটা পিস্তল, বন্দুক, কামান হয়ে উঠুক
কালি গুলো হয়ে যাক গুলি-গোলা আর বারুদে ঠাসা
অবিরত বর্ষিত হোক আগুনঝরা বাক্যবান
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাক সব প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য দেশ শত্রু
সার হয়ে সোনা ফলুক সবুজ প্রান্তরে, মাঠেঘাটে
সুবাষ ছড়াক দেশ-বৈদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বলোক।
অংশ: ৮২
০২ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৩
সকাল রয়
নিহারিকা জন্য কবিতা
__________________
সভ্যতার বিবর্তনে কালের আবর্তনে
আমি দীর্ঘ পথ পেরিয়ে, হৃদয় বন্দরে
দেখলাম .........
গরাদের জানালায় গোলাপি রং ছেয়ে গেছে।
নীহারিকা দাঁড়িয়ে একা,
সিঁথিতে সিঁদূর তার হাতে জোড়াশাখা।
অপলক মূর্তি মতো চোখেতে রেখে চোখ বলছে.......
কেমন আছো তুমি ? কতদিন পর দেখা !
আমি বাস্তুহারা বললাম
একজীবনে কতটাই বা ভালো থাকা যায়,
আর কতটাই বা মন্দ থাকা যায়।
আমি ততখানি ভাল আছি,
যতখানি স্বপ্ন মুঠো ভর্তি করে দিয়েছিলে নিহারিকা।
আজ স্বপ্ন নেই; কিন্তু, তার ছায়া আজও আছে হৃদয় মন্দিরে
ভালোবাসা আর ভালো থাকার নিরন্তরে।
অংশ: ৮৩
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৩
মোশতাক আহমদ
পরীরা ছড়িয়ে পড়ে মহাদেশে মহাদেশে
এখানে বুঝি আকাশ পুড়ে অঙ্গার
পরীরা ছড়িয়ে পড়ে তাই মহাদেশে মহাদেশে :
এই বেদনার দুর্বাঘাস থেকে
ছাদের আ্যন্টেনায় কার্তিকের গোল চাঁদ থেকে
এই শাপলা-ভরা জলাশয় থেকে
ওরা ছুটি নিয়ে গেছে।
'ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে'
নীল চিঠি ভুলে, চলে গেছে তারা অপরূপ মহাদেশে
এখানে ফেলে রেখে
জুলেখা-বাদশার-মেয়ের বিরান বাগান।
যেতে চায় যাক
অন্তর্জালে খুঁজে পাওয়া সোজা আজকাল
পৃথিবীর সুখের ব্যাসার্ধে
কোথায় উঠলো মেঘ-ভাঙা কমলা রঙের রোদ;
পরীরা ছড়িয়ে আছে মহাদেশে মহাদেশে
অংশ: ৮৪
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৬
নাহিয়ান বিন হোসেন
ছায়া হারান দিন দেখেছ কখনো?
সেই দিন, যে দিনে মেঘেরা থাকে আপন নির্বাসনে,
জানো খুব ইছে করে আমার , খুব ইচ্ছে,
এমন দিনে আমার খুঁজে পাওয়া ছায়া হবে তুমি,
তোমার বারান্দার রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো দেবদারু গাছটা,
ভীষন হিংসে হয় ওকে আমার,
যদি ওখানে আমি হতাম,বর্ষার দিনগুলোতে তোমায় শুধু ভাবতে হত না,
একটু ঝুঁকে, উঁকি দিয়ে দেখে নিতাম তোমার চুলগুলো,
জানো খুব ইচ্ছে করে আমার, খুব ইছে,
এই যে আজ সকাল থেকে মেঘ ভিড় করা আকাশ,
কি এমন ক্ষতি হত, যাদি তোমার পাশে রিকশায় বসতাম?
রাস্তাটা থাকত নির্জন, অবাক হয়ে তুমি চেঁচিয়ে উঠতে,
বলতে, দেখ, দেখ, কি সুন্দর ছোট্ট পুকুর!
পুকুরের বহু পুরনো গন্ধ ভরা জলে আজকের মেঘলা আলো,
সাথে তোমার আমার ছায়া,
জানো খুব ইচ্ছে করে আমার, খুব ইচ্ছে।
অংশ: ৮৫
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫২
কবিরাজ_কুশল
আজি শত প্রাণের হয়েছে মিলন
একটি কবিতা লিখব বলে ।
কোথায় সুকান্ত ? কোথায় নজরুল
এসো , দেখে যাও দলে দলে ।
দেখে যাও আমরা লিখছি কবিতা
জাতপাত ধর্ম ভুলে ।
এমনটাই তো চেয়েছিলে তোমরা
থাকবে বাঙালী মিলে ।
শুনে যাও কিভাবে করছি আমরা
সৃষ্টির নতুন বন্দন ,
কবিতা সে তো প্রাণের ধ্বণি
শত কবি মনের স্পন্দন ।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আজ
এক হয়েছি ব্লগের তলে ।
কোথায় সুকান্ত ? কোথায় নজরুল
এসো , দেখে যাও দলে দলে ।
অংশ: ৮৬
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৩৬
রুদ্রাক্ষী
জীবনের দীর্ঘশ্বাসে বেছে থাকার আশ
ফিরে দেখা জীবনের ফেলে আসা চরন
জ্বলে উঠে মেঘময় কর্কট রাতের আকাশ
নেমে আসে চোখ বেয়ে প্রানের জলচ্ছাস।
ছন্দহীন ক্লান্তিকর পথচলার দাবী
হারিয়ে যায় শৈশবের শিখিয়ে দেয়া বুলি
জলন্ত আজ প্রতিবাদী শত কন্ঠ
আর নয় আর নয় নীলকন্ঠের মত
অবিরাম অবিরত বিষ গ্রহন
আবার আসে একত্তুর ঐ এলো বায়ান্ন
বাজী আজ আবার স্বাধীনতা.........
জ্বলে উঠে প্রানের মিছিলে সেই বারতা।
অংশ: ৮৭
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৮:০১
সাজিদ এহসান
অনেক কথা হয়নি বলা,
আরও অনেক কথা বলার আছে বাকি।
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চলছে এই অলিখিত নিয়ম
কেবল পরাজিত জীবনে সুকরুন যাতনার নগ্ন দহন ।।
সুদিনের অপেক্ষায় থেকে
দাহকালের যন্ত্রনা বুকে চেপে পেড়িয়ে এসেছি কৈশর
কিন্তু- দু মুঠো চালের হাহাকার আজো আছে।
গায়ের রক্ত ঘাম হয়ে ঝাড়ার ক্লেদ
মজুরের কোদালের কষ্ট কেউ রাখেনি মনে ,
ভুখা মানুষের পেটে বেড়েছে ক্ষুধার নির্মম আঘাত
দারিদ্রে দলিত মায়ের স্তনে শিশুর খামচে ধরা হাত
ক্রমাগত মুক্তি চায় । জীর্ণ দেহে শীর্ণ বসন ভাসমান নারী
কেপেছে হেমন্তে গামছাটাকে করে শাড়ি ।
তবু লাঙ্গলের ফলায় কৃষকের ধানের কাব্য বাঁচে
বালকের হৃদয়ে কার্পাস মেঘের ভেতর হারিয়ে যাওয়া
স্বপ্নঘুড়ি একদিন আমিই করেছি লালন ,
ছিন্নমূল শিশুর লালচে চুলে চেয়েছি আগামিরে জানতে ।
একদিন উদ্দাম নদীর স্রোত যেখানে ছিল
এখন সেখানে স্থবির বদ্ধ জলাশয় ,
অথচ চিরকাল রমণীর তরে পুরুষ বেপরোয়া প্রেমিক ।।
মাঝ রাতে কুকুরের ঘেউ –পুলিশের বাশি -খুন-গুমের ভয়-
হঠাথ বুটের আওয়াজ–পচা ডোবা আঁশটে গন্ধ- বস্তি
তিলত্তমা নগরীর অংশ এড়িয়ে চলে সচকিত নাগরিক,
কালো টাকার বাকা হাসি জুয়াড়ির সঞ্চিত পাপ
পিছু নেয় অবগাহনে উত্তরাধিকার সুত্রে আরেক ধাপ ।
ক্ষয়িষ্ণু সামজের দেহে ছাড়পোকারা গড়েছে আবাস
চারদিকে রৌদ্রের ঝালক
গারদের চৌকাঠে মাথা ঠোকা ভ্রষ্ট যুবক
তবু তাম্র আলো দেখেনি অনেক দিন ।
গর্ভের মুল্যও আজ বিলীন
মাতাল জুয়াড়ি রাখেনা খবর জননীর ।
প্রতারক প্রেমিক পায়না খুজে পথ পালাবার
বেড়েছে প্রমোদবালার ঠোঁটে চুমুর ঋণ ।।
শীতের কুয়াশার মত এসেছে নষ্ট সময়
বস্তির ভাঙ্গা বেড়ায় নড়বড়ে ঘরের ফুটোচালে
সারাবেলা রোদ বৃষ্টি বাতাসের উপহাস ।
দীর্ঘশ্বাস জিইয়ে রাখে দারিদ্রের কষাঘাত-
মাঝ রাতে প্রনয় ভুলে যায় দম্পতি- তন্দ্রাহীন
চোখ- মেলে না সামান্য পান্তা ভাত ।
চন্দানার দুধের শিশুর ধারালো দাত
কেটে চলে তাঁতের শাড়ি ।
তাই কিছু নতুনের স্বপ্ন দেখি- নতুন ভাবে বাচার
কিছু পরিবর্তনের আভাস দেখি নতুন আশার ,
হায়েনার পাঁজরে লেগে গেছে মড়ক
রক্তে জমেছে নিপুন কোলেস্টরেল -
পৌরষত্ব বিলাসি কীটেরও জমেছে বিস্তর পাপ
ক্লান্ত নতজানু বয়ে যেতে প্রহেলিকার অভিশাপ ।
অংশ: ৮৮
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ৮:১৪
মাহমুদুল হাসান কায়রো
রিম ঝিম বৃষ্টির ছন্দে
কাঠাল চাপার গন্ধে
নীল আকাশে উরন্ত ঈগলের পাখায়
ফুলের শুরুভি দিয়ে আকা যেই ছবি
সেই ছবির কল্পনাকারি যে জন
সে যে উদাস আজ
এক কবিতা লেখার কল্পনায়।
শত কবির জল্পানায়
লাখো মানুষের অন্তরায়
না বলা কত কথা
সয়ে যাওয়া মনের গভির ব্যাথা
লিখে যাব আজ দুনিয়ার তরে।
সকলের তরে
তোমাদের তরে।
অংশ: ৮৯
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:১৪
সুনীল সমুদ্র
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
ঘুমন্ত নাগরিক সত্তায়
বাকরুদ্ধ বিবেকের অলিতে গলিতে
কবিতা বিস্ফোরিত হচ্ছে
যেন অচেনা আগুন এক
শত আঙ্গিকে আজ পোড়াবে আমাদের
শত খেদ।
তুমি কি একেই বলেছিলে ফুঁসে ওঠা
দেয়ালের দিকে পিঠ ঠেকে গেলে শেষমেষ ?
তুমি কি একেই বলেছিলে উদগীরণ-
উত্তপ্ত আগ্নেয় লাভার অথবা তীব্র তোলপাড়-
জমতে জমতে পাহাড় হয়ে ওঠা তুমুল ক্ষোভের?
তুমি কি একেই বলেছিলে
আমাদের মানবিক প্রেম-
বারবার যূথবদ্ধ হওয়া
শব্দের শতাব্দী-দীর্ঘ শতকোটি শক্তিতে?
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
বৃষ্টি অথবা রোদে
কবিতার ঘুরে দাড়ানো ছন্দময় শরীর
চকচকে ছুরির ফলার মতো ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে
আমাদের অনিয়ম
আমাদের অবহেলাগুলো
আগামী প্রজন্মের সবুজ বাগান থেকে
দূরে।
তুমি কি একেই বলেছিলে জন্ম- নতুন এক
অদেখা পাখীর পৃথিবীতে ?
তুমি কি একেই বলেছিলে
শুদ্ধি, সমুদ্রসমান
সূচারু শব্দের ধারাজলে, অণুক্ষণ ভিজে ভিজে?
কবিতা ছড়িয়ে পড়ছে শহরময়
নাগরিক কোলাহলে, বিক্ষোভে, বেদনায়
কবিতা আপন হয়ে শব্দের ছায়াতলে
টানছে বিপন্ন, বিহ্বল শত চোখ।
একা নয়
শত শত কবির কলম
মানুষের মমতায় মিশে
রাজপথে, ইতিহাসে
দীর্ঘ শপথ নিয়ে লিখে যায়
দীর্ঘতম কবিতার খাতা।
অংশ: ৯০
০১ লা মে, ২০১২ দুপুর ১:০৪
মুনসী১৬১২
দেখেছ কতো সুন্দরভাবে ভুলে গেছি তোমাকে
যে তুমি ছিলে আমার নিত্য অবিচ্ছেদ্য
নিজের অংশকে কি কেউ ভুলে
হ্যাঁ ভুলে ---যদি ইচ্ছে করে..
কিন্তু একদিন আমাদের দুজনের মাঝে ছিল শুধু যুগল কবিতা
আমরা আরো ভুলে যাই ওই দুর্লভ ঘামের কবিতা
যেই ঘাম কবিতার শব্দ দামে কেনা আমার তোমার
প্রতিটি আরাম সময় মসৃণ ক্ষণ
ভুলে গেছি কবিতাদের কথা নরম কেদারায় বসে
মশলদার মুরগীর রান চিবুতে চিবুতে
শপথ করেছিলাম পাথর কুঠার ছুঁয়ে সেই যাত্রার শুরেতে
থাকিব সমানে, চলিব এক সনে বন্ধুর পথ
এরপর সময় গড়িয়াছে
পৃথিবী বহু লক্ষ বার ঘুরে এসেছে সূর্যের চারপাশ
বহু চাঁদ ডুবেছে, আবার পূর্ণিমা হেসেছে
মেরুতে মেরুতে বরফ পাহাড় জমেছে
সবুজ বন সাহারা হয়েছ
গ্রিক রোম ব্যবিলন পারস্য আরব ইউরোপ জেগেছে আবার ডুবেছে
কত কবিতা কত কবি রচিয়াছে
কত গান গাওয়া হয়েছে
কিন্তু কেউ কথা রাখেনি
সকলে গেছে ভুলে সেই উচ্চারিত বাক্যগুলোকে
সেই হাতে আজও কোদাল কুড়াল
প্রাচীণ ঘাম কবিতা আজ উত্তরাধুনিক রুপ নিয়েছে
তবু মেটেনি অনাহারী ক্ষুধা
বরং আহার আরও কমেছে
জানো ওই বঞ্চিত চোখ শীর্ণ চোয়াল মুষ্ঠিবদ্ধ রেখাহীন হাত দেখলে তোমার কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে তোমার ওই স্ফিত ঠোঁটে আমার ওষ্ঠ যুগল ছুঁয়ে আমি বলেছিলাম
দেখো এভাবেই তোমার কষ্টতাপ যন্ত্রণাবিষ শুষে নেব নিজের লোহিত কণিকায়
না রাখা হয়নি কোনো কথা, না কোনো কষ্টপ্রহর না কোনো যাতনাভার
সভ্যতাও এমন অসভ্য
শপথ বাক্য ভুলে অচ্ছুৎ বলে বুকে টানেনি ঘর্মাক্ত শরীর
সাম্য মৈত্রি, বাণি চিরন্ত হয়ে ঝুলেছে নগর দেয়ালে দেয়ালে
আইন সভায়, পাঁচতরাকার টেবিলে টেবিলে, আদালতের মজলিশে
সময় কি স্থবির রবে
অগ্নি জোয়ালার ঘুম কি ভাঙবে না
প্রিয় কবিতারা কি ঝঙ্কার তুলবে না
ওই ওই ভূকম্পন
ছোট ছোট কম্পনে প্রলয় সুনামির পূর্বাভাস আসে
জোয়ার তোড়ে সব জঞ্জাল যাবে ভেসে
নতুন পললে নব উদ্যোমে
সাম্য বীজ বপন চলবে
কচি পাতায় সবুজ স্বপন হাসবে
সুনীলে শুভ্র বলাকা উড়বে
লেখা হবে নতুন কবিতা রামধনুর রঙে
যেখানে
ঘাম পারফিউম সুবাস ছড়াবে
অংশ: ৯১
০২ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:৪০
এসএনিট
শামসুন নাহার তারেক
অনেকদিন কিছু লিখি না
অনেকদিন শব্দরা ছোঁয়া দিচ্ছি দিচ্ছি
করেও ফাঁকি মেরে যাচ্ছে রকবাজদের মত।
আমি শব্দের অপেক্ষায় থাকি
আমি আবেগের অপেক্ষায় থাকি
আমি তোমার অপেক্ষায় থাকি।
আজকাল অনুভুতি বোধশক্তিহীন
আজকাল শব্দরা বিজাতীয়
আজকাল ভালবাসা ভালবাসাহীন
কবিতার কি গাছ গজায়?
সে গাছে অফুরন্ত পাতা?
ঝাঁকি দিলে কবিতা পড়ে টুপটাপ্?
আমার জানা নেই
আমার জানা নেই কবিতার জন্ম না হওয়া কষ্টে
কেউ কি আত্মহননে ব্যস্ত বন্ধা রমণীর মত?
আমার জানা নেই ’৭১ এ ধর্ষিতার কষ্ট কতটা প্রকট
নিজেকে মনে হয় বড়ই তুচ্ছ
কেন সে সময় শিশু না থেকে ষোড়শি ছিলাম না!
অংশ: ৯২
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
আশিক মাসুম
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী একটা জীবন্ত লাশ,
মাথা ভর্তি পাকা চুলের ফাঁকে ঁফাকে ধুলো-ময়লার মাখামাখি
পরনে তার সেই পুরাতন ছেরা-ফাটা মলিন বস্ত্র
যেখানে রক্ত আর মাটির মিশ্রনে সত্যিকারের রং গেছে মিলিয়ে
যেখানে ছেরা পতাকার টুকরো দিয়ে কোন রকমে
সম্ব্রম ঢাকতে হয় তার।
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী একটা জীবন্ত লাশ,
একদিকে ক্ষুধা-দারিদ্রতা অন্যদিকে অনিয়মের তিব্রতা,
মেরুদন্ড কিংবা গায়ের জোর ,অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান
কিছুই নেই তার,তবু তাকে বেঁচে থাকতে হয়
কারণ তার দেহ বিক্রির টাকায় অনেকেরই বিলাসী জীবন চলে।
১৫কুটি মানুষের বুকে লালন করা নিছক উপহাস,
বছরের পর বছর যে-যার ইচ্ছে মত ধর্ষণ করে ,ছিরে ছিরে খায়
৪০ বছরে পা রাখা মাঝ বয়সী এই জীবন্ত লাশটাকে
যাকে পাবার জন্য এতো রক্ত দেওয়া,জীবন দেওয়া
এতো ত্যাগ, সে কেনো আজ নিছকি একটা জিবন্ত লাশ?
তবে কি এদেশে স্বাধীনতার আগমনটাই প্রহসন?
অংশ: ৯৩
০২ রা মে, ২০১২ দুপুর ২:০২
নেক্সাস
আসুন একটা কবিতা লিখি এবার
ছত্রে ছত্রে লিখে দিই সর্বহারা মানুষের কষ্ট
এবার শোষিতের বজ্রকন্ঠ হবে কবিতা
রক্তচক্ষু নির্মম শাসক যত ইচ্ছা হোক রুষ্ট।
এবার নষ্ট ভ্রষ্ট ধর্মান্ধ সমাজের পায়ে
কবিতা হোক পরশুরামের কুঠারাঘাত
কবিতায় সাম্যের বন্দনা করো হে কবি
কবির হাতেই রচিত হোক শুভ্র প্রভাত।
অংশ: ৯৪
০৩ রা মে, ২০১২ রাত ২:২৭
মতিউর রহমান মিঠু
আহবান করেছেন কবি
সাড়াতো দিতেই হয়
দিনে দিনে মানবতার
হচ্ছে যে শুধুই ক্ষয়।
অসুভ কালো এক থাবা
মুঠোবন্দী করেছে দেশ
আমরা শুধুই দেখছি আর-
পাঁকছে মাথার কেশ।
প্রতিটি ক্ষন ধর্ষীত হয়
আমার জননী দেশমাতা
এতটুকু কি করি অনুভব
দেশ জননী'র ব্যাথা??
ঘুরেফিরে কিছু নরকের কিট
জননী'কে করে দখল
১৬ কোটি সন্তান মায়ের
নপংসুক কি সকল??
১৬ কোটি জনতার
৩২ কোটি হাত
জেগে ওঠো হে বাঙালী
ভুলে যাও জাত-পাত।
হুংকার দিয়ে জেগে ওঠো হে
অসিম সাহসি বুকে
মুক্ত করবো দেশ মাতাকে
দেবোনা মরতে ধুঁকে।
একবার শুধু দাঁড়িয়ে দেখো
দুরকরে সব ভয়
দেখবে বিশ্ব অবাক নয়নে
আবারো বাঙালী'র জয়।
অংশ: ৯৫
০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ৮:৫১
লেখোয়াড়
এ মাটির পৃথিবীতে এখন প্রেত পুরীর ভীড়
শিকারী পাখির নখরযুক্ত থাবার মত
অনেক দুর থেকে উড়ে আসে বড় বড় চিল
মস্তবড় নখ নারীর মসৃণ বুকে দাগ কাটে
রক্তাক্ত হয় পদ্মা যমুনার জল।
কী আশ্চর্য!
হায়ানাদের গান বেজে ওঠে
মানবতার ইতিহাস গড়াগড়ি খায়
অবিকল আফিম মিশিয়ে।
এইভাবে আর কতদিন চলবে নরক সময়
যেন রক্তাক্ত মায়ের স্তন কামড়ে পড়ে আছি।
ওই মুখোশ গুলোই আজ
ছত্রিশ পরগণা ও ১৭০০ মাইল চড়ো, যেন
অসম আগুনে পুড়ছে সবুজ ঘাস
প্রকৃতপক্ষে ব্যভিচারী আবির্ভাব বিজাতির
মনেই পেঁচানো আর মনেই হারিয়ে যাওয়া মন
অচেতন মনের সুখ পাবে না কখনো
যেন রক্তাক্ত মায়ের স্তন কামড়ে পড়ে আছি
অংশ: ৯৬
০৪ ঠা মে, ২০১২ সকাল ৯:১৮
হাবিবুর রহিম
কবিতার বাতায়নে চেপে
চলো যাই সুন্দরের দেশে,
হৃদয়ের কালো গুলো, ভুল রঙা আলো গুলো
সাজাই নতুন বেশে ।
চলো যাই অবগাহনে কাব্যের সরোবরে,
হৃদয়ের কাদা যত, থিকথিকে গাড় ক্ষত
প্রেমমাখা ভুলভাল অহর্নিশ আল্পনা
ধুয়ে মুছে গড়ে নেবো সফেদ হৃদয় ।
আপনারে সকলে মেশাতে চলো গড়ি
কাব্যের গোলাঘর,
সাহসী বেয়নেটের মতো উচিয়ে ধরে
কবিতার আগ্নেয়াস্ত্রে
ঝলসে দেবো যতো অন্যায় পৃথিবীর রনাঙ্গণে ।
চল যাই
কবিতার হাত ধরে সাত তবক আকাশ ফুঁড়ে
মহাকাশের ঐ অন্তিম কোণে,
বিশ্বকে চিনে নেবো,
জ্বরা গুলো ভুলে যাবো,
কালের পরিব্রাজক হয়ে নিয়ে আসবো
সময়ের সুখ কিংবা কিছু অবিমিশ্র আবেগ
অন্তত একটা সপ্ন ফানুষ ।
চলো যাই চলো ।
কবিতার এ মিছিলে চলো ।
খুব বেশী সময় নেই,
অনুতাপের যথেষ্ট অবকাশ নেই
দাড়িয়ে দাড়িয়ে বানর নাচ দেখার ফুসরত নেই ।
তোমার কন্ঠস্বরের আওয়াজে প্রতিধ্বণি তুলবে বলে
তাকিয়ে আছে দেখো সহস্র তরুণ ।
চলো চলো এ কবিতার মিছিলে ।
এক থেকে দুই, দুই থেকে চার এমনি করে দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ
করে শত কবির বন্দনায় রচিত যে অমর পথচলা ।
তাকিয়ে দেখো এ মিছিল থামবার নয়,
কালের অনির্বাণ শিখায় আলোকিত পথ খুজে নেবে শব্দ সৈনিকেরা ।
নোনাগন্ধী প্রাচীন দেয়াল ভেঙে
আমরাই গড়বো সত্যিকারের রূপ কথা, স্বর্ণের রাজপ্রাসাদ ।
একেবারে যেমনটা শুনেছো এতকাল ।
তবে আর দেরি কেনো, চলো যাই...
অংশ: ৯৭
০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
ধূসর সপ্ন
ছন্দ পতন কবিতা
মাঝে মাঝে সমস্ত পৃথিবীটাকেই কবিতার মত মনে হয় ,
এই সুন্দর আকাশ , নদী, নারী, এমন কি রাস্তার ঐ -
বেওয়ারিশ কুকুরটাকেও ।
ক্ষণে ক্ষণে জীবনটাকেই যেন কবিতার মত লাগে ।
জীবনের যত সুখ -দুঃখ, বেদনা, হাসি- কান্না, চলা -ফেরা-
সব কিছুই কেন যেন খুব উপভোগ্য মনে হয়;
তখন আর খবর নিতে যাই না-
ঐ পথ ভুল করা পথিকের ; না পাওয়ার বেদনায় অশান্ত ঐ ভিক্ষুকের;
কিংবা ঐ শহরের ইট কোঠরের চিপাতে বাসরত হাড্ডিসার প্রাণগুলোর ।
তখন আমি আমাকে খুঁজে পাই -
কোন এক রঙ্গশালায়, অথবা শুরি খানার জাম্পেশ কোন আড্ডায় ।
নয় তো বা কোন অন্ধ গলির মধ্যে উপভোগের -
মাতলামিতে নিমগ্ন এক মাতালের মধ্যে ।
সময় সময়ে আমার এ বেঁচে থাকাকে বড় বেশী
নাটকীয় মনে হয় !
আমি তখন আমাকে হারাই বাঁচার সংগ্রামেরত কোন এক শিশু শ্রমিক
অথবা বয়োবৃদ্ধ দিন মুজুরের কাছে-
না হয় কোন সংগ্রামী এক নারীর কোমড়ে -
শক্ত বাঁধা আঁচলে !
থেকে থেকে আমার এ অস্তিত্ত্বকেই বড় বেশী ট্রাজেডি মনে হয়,
এই বাঁচার তাগিদে এখানে ওখানে ছুটে চলা -
এক পথ ছেড়ে অন্য পথের খোঁজ করা-
যেন সর্বদা ছুটন্ত অশান্ত থাকা ।
যখন বাদক তার লয় হারায়, যখন কবি (তার ) কবিতার ছন্দ হারায়,
জীবন যখন তার স্বাভাবিকতা হারায়,
কবিতার মত জীবনের কী তখন ছন্দ পতন ঘটে না ?
অংশ: ৯৮
০৫ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৫০
বসন্তের ঝরা পাতা
কি মায়াবি যাদু লুকিয়ে আছে তব দৃষ্টিতে
কাদলে যেন রিমঝিম রব শ্রাবনী বৃষ্টিতে,
তুমি শ্রেষ্ট সুন্দরী বিধাতার সব সৃষ্টিতে
তুমি মননী আধুনিকা ভুবনের নব কৃষ্টিতে।
তুমি দক্ষিনা সমিরন, তুমি চন্দ্র তুমি বসন্ত
তুমি সুরভিত পুষ্প তুমি পুর্ণিমা অনন্ত।
তুমি রুপময় তুমি রুপের প্লাবিত বন্যা,
তুমি স্বপ্নপুরি শোভা তুমি পাতালপুরি রাজকন্যা।
সৃষ্টি জগতে যা কিছু আছে সুন্দর মনোহর,
সবকিছু মিলে এককোনা ধুলো তোমার চরন পর।
তুমি সর্বস্ব মম নয়নে, তুমি মোর কবিতার ব্যন্জনা,
তোমায় নিয়ে তাই উচ্চারিত শত কবির বন্দনা।
অংশ: ৯৯
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৬
আবদুল্লাহ আল মনসুর
... এবং অবশেষে শিকড়েই ফিরে যাওয়া তবে; ক্রমে ক্রমে হামাগুড়িতে, পিচ্ছিল সুর বাজিয়ে বাজিয়ে
মরে যাওয়া স্বপ্ন ঘোড়া, স্মৃতির পিঠে ঘুরে
বিষাদ কালো ছেঁড়া চাদর, ঝাপসা চোখে উড়ে
দুধ সাদা ঐ শাপলা ফুলে, হলদে শালিক ভাসে
কাব্যে ঘেরা নদীর বুকে, গদ্যেরা আজ হাসে
লাজুক রাঙা প্রিয়ার ঠোঁটে, ভুল ব্যকরণ ফোটে
শুভ্র বরণ বেলীর মালা, অন্য কারও জোটে
পথ হারিয়ে পথের শেষে, আকাশ যখন কাঁদে
মেঘেদের দল ছুটে এসে, বুকটা দিয়ে বাধে
নতুন ভোরের প্রতীক্ষাতে, সময় চলে ছুটে
মিছে আশার মিছে ঘন্টায়, জীবন গেল টুটে
না লেখা সব লেখাগুলো, দুখি কলম খোঁজে
না পাওয়ার বেদনাতে, মৃত্যুতে চোখ বোজে
অংশ: ১০০
২৩ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল
আমি নদু শেখ
লাউতলী গ্রামে বাস করি
বাপ ও দাদার কাছে যে কবিতা
রচনা শিখেছি, মাঠে মাঠে ফুটে থাকে
সবুজ সবুজ ধান, পরে হয় সোনা সোনা রঙ
নানান শাকের সাথে
আলু ও পটল, লাউ, সীম কবিতায় ফোটে !
আমি শিশু মিয়া
মেঘনার চরে বসবাস
বাপের সাথেই শুরু কবিতার পালা
নাওয়ের গলুই জুড়ে কেটে যায়
কতো দিন রাত
ঝিরঝিরে বাতাসের নীরব পরশ
ঝড়ো জলে প্রবল লড়াই
কতো রূপ ধরে কবিতারা !
রমাকান্ত কামারের সৎপুত্র আমি
দীনু শীল আমার প্রপিতা
পালপাড়া হয়ে আমি
জোলাদের তাঁতে ঝুলে থাকি
চণ্ডীদাশ-রজকিনী জুটি
আমাকে বসিয়ে গেছে
ঘাটের কিনারে
একগাদা কাপড়ের
কালিমা ওঠাতে;
কলুর বলদ আমি
সরিষার খোঁজে ফিরি
পথে প্রান্তরে...
খাই বা না খাই আমি
তবু চলে কবিতার খেলা
কতো লোভ খেয়ে চলে
আমার কবিতাগুলো
বসে সেই খাদকের
বেরহম ডাকাতির মেলা !