কেমন আছেন ?
আমি পার্টটাইম আজাইরা ব্লগার আজকে আসছি একটা গল্প শোনাতে ।
চলেন একটা গল্প শোনাই ।
"আমি প্রতীক , তুমি তো পদ্মকলি । "
পদ্মকলি মুখ তুললো না । ( যারা এর মধ্যে বুঝে গেছেন এটা কি আর কার লেখা তাদের বলছি পুরোটা পড়েন আরো অন্য কিছু আছে )
' আজ নিশ্চয় তুমি টায়ার্ড । অন্যদিন নাহয় গল্প করা যাবে । তুমি বরং একটু সহজ হয়ে শুয়ে পড়ো । খাটটা তো বেশ বড় , আমি ওপাশে শুতে পারি । আর তাতে যদি অস্বস্তি হয় আমি মেঝেতে শুতে পারি । ' প্রতীক বললো ।
পদ্মকলি কোনও সাড়া দিলো না ।
প্রতীকের খেয়াল হল , ' সরি । আমার বোধহয় আপনি দিয়ে শুরু করা উচিত ছিলো । এই প্রথম কথা বলছি । আমরা তো কেউ কাউকে চিনি না । '
পদ্মকলি এবার মুখ তুললো । নিচের ঠোঁটের একপ্রান্ত দাঁতে চাপলো । তারপর দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো , 'আপনার সাথে আমার কথা আছে । '
' খুব জরুরি না হলে , মানে আজ তো অনেক ধকল গেলো , বিশ্রাম নিলেই ভালো হয় ।
' না জরুরি খুব ' পদ্মকলি মুখ ফেরাচ্ছিলো না ।
***
যাইহোক আর লাইন বাড়াচ্ছি না । উপরেরটা হচ্ছে সমরেশ মজুমদারের বই " হানিমুন এ যেমন হয় " এর অংশ বিশেষ ।
আসলে কি ছিলো পদ্মকলির জরুরি কথা ? সে আসলে প্রতীককে বলে যে তার একটা বয়ফ্রেন্ড আছে । যার সাথে সে আড়াই বছর প্রেম করেছে । এই বিয়েটা আসলে সে চাপে পরে করতে বাধ্য হয়েছে ।
পদ্মকলির প্লান হচ্ছে হানিমুনের নাম করে প্রতীক আর সে বেড়িয়ে যাবে । তারপর হানিমুন স্পটে থাকা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পদ্মকলি নিজের ঘর বাধবে ।
বাই দা ওয়ে যারা আরো ডিটেইলস জানতে চান বইটা সম্পর্কে তারা বইটা পড়ে নিবেন । কমেন্টে আমি পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক দিবো । ১৫ পেজের একটা বই ঝটোপট পড়ে নিবেন ।
এখন আসি মেইন পয়েন্ট এ ।
মানে
আমার শিরোনামঃ তাহসানের চুরি
ওকে । তাহসান ও মিথিলা জুটির নাটক মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ।
চলুন নাটকটার কাহিনির দিকে যাই ।
প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় তাহসান বাসর ঘরে ঢুকে যখন মিথিলার মুখ তুলে তাকে দেখতে যায় তখন মিথিলা তার দিকে অ্যাণ্টি কাটার উচিয়ে ধরে বলে , খবরদার গায়ে হাত দিবেন না ।
বেচারা টাহশান সরি তাহসান তো টাশকি । কয় কি !
যাইহোক তখন মিথিলা বলে , সে একটা ছেলেকে ভালোবাসা । জোর করে তাকে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে । সে এখন চায় তাহসান তাকে হানিমুনে কক্সবাজার নিয়ে যাক । সেখানে সে তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে নিজের মিলন ঘটাবে ।
প্রথম সিন থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত " হানিমুনে যেমন হয় " বইটার একেয়ারে হুবুহু মিল । এরপর শেষের দিকে দিকে হালকা বাংলাদেশী ইমোশোন । আই মীন দম্পতি নির্ভর নাটকগুলায় যা হয় আর কি । নায়িকা প্রেগ্ন্যান্ট । এই কথা শুনে নায়ক গলে গিয়ে বউ এর সব দোষ মাফ করে দেয় । এইটূকু জিনিস নাটকের স্ক্রিপ্ট রাইটার লাগায় দিয়ে নিজের নামে ছাড়ছে । অথচ নাটকের কোন এক জায়গায়ও আমি সমরেশ মজুমদারের নাম দেখলাম না । কোন একটা ধন্যবাদ ও নাই ।
আচ্ছা আমি তাহসানকে দোষ দিচ্ছি কেন ?
কারন তাহসান একজন ওয়েল এডুকেটেড পার্সন । সে কি একেবারের জন্যেও স্ক্রিপ্ট টার দিকে তাকায় নাই । ডিরেক্টর যা বলেছেন তাই করে গেছে ?
কয়েকদিন আগে তো বাংলা মুভি / বাংলা গান শুনছি যেগুলো মানুষের থেকে কপি করা । এখন কি কপি করা নাটক ও দেখতে হবে ?
প্রশ্নটা আপনার কাছে করলাম ।
আমার শিরোনামটা ঠিক কি ভুল সেটা আপনারাই বলে দেন ।
আমার আজাইরা লেখা আজকে এই পর্যন্ত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯