somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেমঃ প্রি-অর্ডার পোস্ট

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দাদা, পরাণ ডোমকে চেনেন তো? আরে ঐযে পরাণ ডোম মানে লাশ কাটে আর মাল টেনে বুদ হয়ে পড়ে থাকে যে! হুম, ঠিক ধরেছেন। ওর কথাই বলছি। কি করছে সে জানেন? ব্যাটা এতদিন তো মালতীকে নিয়েই বেশ ছিল। এখন তাকে ঘোড়ারোগে পেয়েছে। স্নেহা ম্যাডামের প্রেমে পড়েছে বাছাধন।
স্নেহা ম্যাডাম মানে ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার স্নেহা কাজী; প্রফেসর খান মারা যাওয়ার পরে যে বদলী হয়ে এই কয়দিন হল আসছেন। বোঝেন অবস্থা! আরে মালতী কি তোকে কম ভালোবাসে! তাহলে তুই ডোম হয়ে ক্যান ডাক্তারের প্রেমে পড়তে যাবি? যার আবার একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিয়ে পাকা হয়ে রইছে!
নাহ, কোনও কথাই তার মাথায় ঢোকে না। শ্বাপদের মতো নিঃশব্দে স্নেহা ম্যাডামের পিছে ছায়ার মতো সেটে থাকে পরাণ। কি লক্ষ্য ওর, জানেন? নাহ! এটুকু এখনই বলব না।
কিংবা ধরুন তরী আর শৌনকের কথা! বাইরে থেকে দেখলে ভারী সুখী দম্পতি ওরা! শৌনকের খুব খেয়াল রাখে তরী! আর শৌনক? সেতো তরীর রূপে রীতিমত অবসেসড। কিন্তু আসলে কি তাই? তাহলে শৌনক কেনো খুন করার পরিকল্পনা করে তার স্ত্রীকে? কোন ভয়ানক অতীত তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত?
আচ্ছা, আপনি কোনও কিশোরকে চেনেন যে ছোটবেলায় বাড়িঘর, বন্ধুবান্ধব, প্রিয় পুকুর ফেলে পাড়ি জমিয়েছিল ভিন গায়ে? আমি চিনি একজনকে! তার নাম সমীরণ। নিজের জন্মভিটে ছেড়ে যাওয়ার বহুকাল পরে ফিরে এসে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সমীরণের? একদা প্রাণের বন্ধুরা কি আদৌ মনে রেখেছিলো তাকে? কৈশোরে যে মেয়েকে যে বিয়ে করতে চেয়েছিল, সে কি আদৌ চিনতে পেরেছিল তাকে?
ওদিকে নিজের স্ত্রীকে ক্রমাগত প্রতারণা করে যাওয়া ইশতিয়াক কি ভুল বুঝতে পেরেছিল? প্লেবয় মুহাইমিন কিভাবে হয়ে উঠলো আদর্শ স্বামী? আর ইশতিয়াক কি ফিরে এসেছিলো তার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া স্ত্রীর কাছে? নাকি সামিরার সাথেই সে তার গোপন লীলা-খেলা চালিয়ে গিয়েছিলো শেষতক?
আর ভোলা ময়রার রান্নাঘরের ভেতর কি এমন মহার্ঘ বস্তু আছে, যার লোভে কেউ একজন নিঃশব্দে ঘুরঘুর করে সেখানে? সেয়ানা ভোলা ময়রা কি টের পেয়েছিলো শত্রু এগিয়ে আসছে ক্রমশ?
এবার আসুন একজন বোকা আর্টিস্টের কথা বলি! ওর নাম নীলয় রায়হান। এতিমখানায় ছবি আকার জন্য বেদম মার খেয়েছিল। ওকে হুজুর আলটিমেটাম দিয়েছিলো, যেন আর কখনোই না আঁকে! তবু কিভাবে একজন শিল্পী হয়ে উঠলো ও? ক্রমশ গভীর এক ভালোবাসা তাকে ঘিরে বেড়ে উঠছে, সেকি তা টের পেয়েছিলো? আর রূপন্তী? তারই বা কি হলো শেষমেশ?
মা-বাবার মাঝখানে প্রতিদিন ঝগড়া করা এখন রোজকার নিয়ম হয়ে গেছে! সারাক্ষণ তাই মন খারাপ থাকে জ্যোতির। তার কোনও বন্ধু নেই। এমন একদিন আচমকা কোথায় থেকে একটা ছেলে এসে হাজির হয়। দুইজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় ওরা। জ্যোতির বন্ধুর একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। ওর মনের কথা পড়তে পারে সে। অথচ নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে না জ্যোতিকে। জ্যোতির বন্ধু আসলে কে? কোথা থেকে এসেছে সে? জ্যোতি ছাড়া আর কেউ কেনো দেখতে পায় না তার বন্ধুকে?
অনেকগুলো জিজ্ঞাসা মনের মধ্যে তিড়িংবিড়িং করে লাফাচ্ছে না দাদা? সব কৌতূহলের অবসান হবে ১১২ পৃষ্ঠার একটি বই পড়লে। বইটির নাম ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’।
ঢাক তো অনেকক্ষণই পেটানো হল! বাজনা শুনে যদি কৌতূহল হয়, আর তা মেটাতে চান তাহলে প্রি-অর্ডার টা এইবেলা সেরেই ফেলুন। নাকি?
প্রি অর্ডার দিতে লিংক-এর পেজে ম্যাসেজ দিন।
প্রি অর্ডারের ঠিকানাঃ নহলী বুকস (http://www.facebook.com/noholibooks)
প্রি অর্ডার মূল্যঃ ১৪০/- টাকা (৪০% ছাড়; মুদ্রিত মুল্য- ২৩০ টাকা)
প্রি অর্ডারের শেষ তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮
বি-কাশ নাম্বারঃ ০১৭৩০-৫৯-১৫-৮০ (মার্চেন্ট) ০১৭০০-৭৪-৩৯-৮৪ (পার্সোনাল)
বইঃ পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম
লেখকঃ অমিতাভ অরণ্য
প্রকাশনীঃ বদরুল মিল্লাত, নহলী।
ধরণঃ মিক্সড (রহস্য-মনোস্তাত্ত্বিক-সমসাময়িক)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×