somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনটা খারাপ হয়ে আছে...

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকেল পর্যন্ত কেটেছে প্রচণ্ড উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনদের ফোনে ফোনে অস্থির সময়। কেউ আটকা পড়েছেন, বাসায় ফিরতে পারছেন না; কেউ বা বাচ্চার জন্য চিন্তা করছেন- ঠিকমতো বাসায় ফিরতে পারবে কী না এই ভেবে- এইসব তো ছিলোই, সঙ্গে আরেকটি শংকাও কাজ করছিলো- এই ঘটনা কতোদূর পর্যন্ত গড়াবে? শুধু কি সদর দফতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে এই বিদ্রোহ, নাকি সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়বে? সারাদেশে কর্মরত সদস্যরা একসঙ্গে বিদ্রোহ করে বসলে ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। যেহেতু, প্রায় সাড়ে চার হাজার মাইল সীমান্ত পাহারার দায়িত্বটা তারাই পালন করে, যদি বিদ্রোহ করে বসে তাহলে পুরো সীমান্তটিই অরক্ষিত হয়ে পড়বে! ভাবা যায় না!

সরকার অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় আপাতত শংকা সামান্য হলেও কমেছে। রাজনৈতিক সরকার থাকার এই এক সুবিধা, যে কোনো সমস্যাকে তারা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করার কথা ভাবে। আজকে যদি কোনো সামরিক সরকার বা অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকতো তাহলে নিশ্চিত রক্তের গঙ্গা বয়ে যেত পিলখানায়! আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে সাধুবাদ জানানোই যায়!

কিন্তু তাতে উদ্বেগ কমে না। এমনিতেই সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরিণ টানাপোড়েনের কারণে বেসামরিক মানুষের আহত-নিহত হওয়ায় বিমূঢ় হয়ে আছি, তার ওপর এই ভাবনা আসছে মনে- এই বিদ্রোহীরা কি সত্যিই ক্ষমা পাবে? নাকি তারাও মারা পড়বে আমাদের অজান্তেই?

বিডিআর সদস্যরা তাদের সমস্যা ও অভিযোগের কথা জানাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে গতকালের দরবারে! জানাতে দেয়া হয়নি! উর্ধ্বতন কতৃপক্ষই সে ব্যবস্থা করেননি।

তা কি ছিলো তাদের অভিযোগ বা দাবিদাওয়া?

এমন বিরাট কিছু নয়! বেতন বৈষম্য কমানো (মানে তাদের বেতন বাড়ানো), প্রাপ্য ভাতা প্রদান (যেমন ডাল-ভাত কর্মসূচিতে নিজেদের প্রাপ্য ছুটি বাতিল করে অবিরাম কাজ করে যাওয়ার বিনিময়ে সামান্য কিছু মজুরি), উর্ধ্বতনদের কাছ থেকে একটু ভালো ব্যবহার! এই তো! সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের এইটুকু নায্য দাবির কথা তাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারবে না?

মনটা খারাপ হয়ে আছে.. সব মিলিয়ে...
৪১টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×