ইসলাম ও মোহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন মনিষীরা বিভিন্ন উক্তি করেছেন। কয়েকজন মনিষীর উক্তি এখানে তুলে ধরা হল
১) ভারতীয় ঐতিহাসিক ডঃ তারা চান
বিশ্বাসের সরল সূত্র উত্তম রূপে বর্ণিত ধর্মমত ও আচার অনুষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠনের গঠনতন্ত্রীয় তত্ব নিয়ে ইসলাম দৃশ্য পটে উপস্থিত হল..........। যে ধর্ম মোহাম্মদ প্রচার করেছেন তা অত্যন্ত সরল ও প্রাঞ্জল। এ ধর্মে খুব কম সংখ্যক উপদেশাবলি, আচার-অনুষ্ঠান বর্তমান। কারন কোরান অনুসারে আল্লাহ মানবের ভাবকে হালকা ও সরল করতে চেয়েছেন। তার ধর্ম সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় উপদেশ হল ঈশ্বরের একত্বতার সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় ধর্মানুষ্ঠান- দৈনন্দিন প্রার্থনা, উপবাস (রোজা), তীর্থ যাত্রা (হজ্ব), দান (যাকাত) এবং আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ হিসেবে মোহাম্মদ এর উপর বিশ্বাসই হল এ ধর্মের প্রধান স্তম্ভ।। সামাজিক দিক থেকে এই ধর্মের সর্বাপেক্ষা অভাবনীয় বৈশিষ্ট্য হল মুসলমানদের মধ্যে একত্ব ও ভ্রাতৃত্বের ঘোষণা এবং পুরোহিত শ্রেণীর অনুপস্থিতি।
২) গেটে ও কার্লাইল
গেটে প্রশ্ন করেছিলেন, এই যদি হয় ইসলাম, তাহলে আমরা সবাই কি ইসলামে বাস করছি না? উত্তর দিয়েছিলেন কার্লাইল, হ্যাঁ আমাদের সকলেই, যার কোন নৈতিক জীবন আছে, সবাই এতে বাস করি।
৩)Lane-Poole
তিনি যাদেরকে আশ্রয় দিতেন তাদের জন্য ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত রক্ষাকারী, কথাবার্তায় ছিলেন অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও নম্র। তাঁকে যারা দেখত তারা শ্রদ্ধায় পূর্ণ হতো; যারাই তাঁর কাছে এসেছিল তাঁকে ভালবেসেছিল; যারা তাঁর সম্বন্ধে বর্ণনা দিত তারা বলতো, ” তাঁর মতো মানুষ আগে বা পরে আমি কখনো দেখিনি।” তিনি ছিলেন অতি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন তিনি কথা বলতেন জোরের সাথে এবং সুচিন্তিতভাবে কথা বলতেন। এবং তিনি যা বলতেন তা কেউ ভুলতে পারতো না।
৪)লেডী এভেলিসকোর বোল্ড
ক) প্রায়ই আমকে জিজ্ঞেস করা হয় আমি কখন ও কেন মুসলিম হলাম। আমি শুধু এই উত্তরই দিতে পারি যে, ঠিক কোন মুহূর্তে ইসলামের সত্য আমার কাছে প্রকাশিত হয়েছিল জানিনা। মনেহয়, সব সময় আমি মুসলিম ই থেকেছি। এটাকে তেমন অদ্ভুত মনে হবে না যখন কেউ স্মরণ করবে, ইসলাম হচ্ছে সেই স্বাভাবিক ধর্ম যা এক শিশুকে নিজের মত ছেড়ে দিলে তার মধ্যে বিকশিত হবে। বাস্তবিকই, যেমন কোন পাশ্চাত্যের সমালোচক একে বর্ণনা করেছিলেন, “ইসলাম হচ্ছে কাণ্ডজ্ঞানের ধর্ম”।
খ)ধর্মান্তরিত হওয়ার পড় থেকে আর কখনো এই বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হই নি যে, আল্লাহ এক, মুসা, ঈসা, মোহাম্মদ এবং অন্যরা ছিলেন ঐশী প্রেরনালবদ্ধ নবী, প্রতিটি জাতির কাছে আল্লাহ প্রেরণ করেন তার দূত। যে আল্লাহর কাছে সবসময়ই আমরা হাজির হতে পারি সেই আল্লাহ ও আমাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য কাউকে আমাদের প্রয়োজন নেই, কেউ আমাদের জন্য মধ্যস্থতা করতে পারে না। এমনকি মোহাম্মদ বা যিশুও নন এবং আমাদের নাজাত সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আমাদের কর্মের উপর।
ইসলাম প্রতিষ্ঠিত দুটি মৌলিক সত্যের উপর- আল্লাহর একত্ব ও মানুষের ভ্রাতৃত্বের উপর এবং তা ধর্মতান্ত্রিক গোঁড়ামির দায় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। অন্য সব কিছুর উপরে এ একটি যথার্থ ধর্ম। মোহাম্মদ কে একবার জিজ্ঞাস করা হল, ইসলাম কি? উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আল্লাহর অনুশাসনের প্রতি আনুগত্য ও তার সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া’ । অন্য এক উপলক্ষে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মুসলিম কি? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘সেই ব্যক্তিই মুসলিম যার জিহ্বা ও হাত থেকে মানুষ নিরাপদ।’ আরও এক প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘ কোন ব্যক্তির ধর্মের পরীক্ষা নিহিত অন্যের সঙ্গে তার ব্যবহারে’
কোরআনের সব কিছুতে বিশ্বাস করার অর্থ হচ্ছে ভাল কাজ করা। এমনিতে বিশ্বাস করা ও ভাল কাজ না করা ইসলামে থাকতে পারে না।
(উৎসঃ কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব- সত্যান্বেষী ধর্মাচার্য ডঃ বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২