ছোট বেলায় একদিন আমি স্কুলে যেতে ছিলাম রাস্তা দিয়ে
তখন ছিল বাংলায় আষাঢ় মাস ১০ কি ১২ তারিখ সময় ছিল
সকার ৯টা । তো আমার সাথে যে ঘটনা ঘটলো আমি স্কুলের
দিকে যাচ্ছি আচমকা এক জোরবাতাশ আসলো কোথাই থেকে
জানি বাতাশটির সাথে সাথে আমার পাশে কোথাই থেকে যেন
একটি চলন্ত বাস এসে থামলো । সে বাসটিতে কোন ড্রাইভার বা হেলপার কেওই ছিল না । আর এ কথা ভাবতে ভাবতে আমি ওখানে অজ্ঞান হয়ে যাই । যখন আমার চেতন ফিরে পেলাম তখন
দেখি আমার পাশে একজন খুব রূপসী নারী বসে আছে যার বয়স আনুমানীক পোনের কি ষোল হবে আর আমি তখন মাত্র ক্লাস ফোরে পড়ি আমার বয়স কতই বা হবে হয়ত বেশি হলে ১১ হবে কেননা আগেতো ৬ থেকে ৭ বছর না হলে কেও স্কুলের নামই মুখে আনতো না । যাই হোক সে মেয়েটি হাতে এটি থালার ভেতর
কিছু ফলছিল সে আমায় বলতেছিল তোমার ক্ষিধে লেগেছে নেও এখান থেকে ফল খাও । আমি বললাম আমি কোথায় সে বললো তুমি এখন আকাশের ওপরে আমাদের পরীর রাজ্যের পরী মেহরুনের কামড়ায় আছো । আমি বললাম আমি এখানে কি করে এলাম সে বললো আমি তোমায় এখানে এনেছি । আমি বললাম কেন সে বললো আমি তোমায় বিয়ে করবো । তার পরে আমায় অনেক চেষ্টা করল তার হাতের ঐ ফল খাওয়ানোর জন্য কিন্তু আমি আমার মা বাবা ভাই বোনদের কথা চিন্তে করে কাঁদতে লাগলাম আর ও ফল খেলাম না । তার পর আমি কাঁদতে কাঁদতে বেহুস হয়ে গেলাম আর সে কি কান্দ এক বেহুসে আমি সাতদিন অচেতন ছিলাম । আর সে অচেতন অবস্থায় আমাকে যেখান থেকে নিয়ে গেছিল ঠিক সেখানে আবার রেখে গেল ।
পরে বেশকিছুদিন পরে একজন আমায় বললো আমি যদি ওই পরী রাজ্যের সেই মেয়েটির হাতের সে ফলটি খেতাম তাহলে হয়ত আমি আর আসতে পারতাম না কারন ওটা ছিল মানুষ বশীকরন ফল আর সে জন্য হয়ত আমি মানব জগতের কথা ভুলেও যেতাম ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৪