
শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নিহত না'হওয়ায় প্রায় ৩০ ভাগ দেশবাসী, ১০০ ভাগ পাকিস্তানী, পুরো জামাত-ইসলামী ছাত্র সংঘ মনে কষ্ট পেয়েছে। ১৯৮১ সালের মে মাসে পুরো-বিএনপি অপক্ষা করছিলো কখন জিয়া শেখ হাসিনার হাঁড় থেকে স্যুপ বানাবে! এক সপ্তাহ, ২ সপ্তাহ, আড়াই সপ্তাহ; কিছুই ঘটলো না, ৩য় সপ্তাহে বিএনপি'কে চোখের জলে ভাসায়ে জেনারেল জিয়া চট্গ্রাম থেকে বিনা স্যুপে প্রস্হান করেন।
জিয়ার পর, জিয়া-হত্যার বেনেফিসিয়ারী এরশাদকে নিয়ে আমেরিকান দুতাবাস ব্যস্ত; মিলিটারী ৩ ভাগে বিভক্ত; প্রেসিডেন্ট রিগ্যান শেখ হাসিনা নামের কোন তেলেপোকাকে চিনতেন না; হাসিনা বেঁচে চলেছে; ইন্দিরা গান্ধী তাজ্জব।
এরশাদ টাকা পয়সা ও নারীদের ভালোবাসতেন, তিনি শেখের মেয়ের হাঁড়ের স্যুপ বানানোর কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি; উত্তর বংগের নীল শিয়াল বড় বড় পীরের দোয়ায় ভালো চলছে, শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া নিয়ে চিন্তিত নয়। যাক, অবশেষে জিয়া গ্রপের অফিসারদের কাছে এরশদ পরাজিত হয়; শেখ হাসিনা কারো চক্ষুশুল নয়; একই সময়ে ক্লিনটন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট; বাংলাদেশ, ভারত নিয়ে চিন্তিত নয়; বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা কেহই সমস্যা নয়।
ছোট বুশ যখন ক্ষমতায় এলো, বাংলাদেশে জেনারেলদের পক্ষ থেকে জেনারেলের স্ত্রী ক্ষমতায়, ফরমুলা কাজ করছে, সমস্যা নেই। বুশ যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত, বাংলাদেশে তারেক তখন বড় বস; হাওয়া ভবন থেকে চল্লিশ ডাকাত দিয়ে দেশে ডাকাতী করে বেড়াচ্ছে! কিন্তু মাথায় বাবার মতো বড় বুদ্ধির আগমণ ঘটলো, বাবার মতো শেখ হত্যা করতে হবে।
শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড মারা হলো; কিন্তু দেশের ৪০ ভাগ মানুষ আবার হতাশ হলেন, শেখ হাসিনা জীবিত। আজকে অনেককেই বড় দু:খ নিয়ে বাস করছেন, ২০২৪ সালের আমেরিকান ক্যু'তে শেখ হাসিনা নিহত হয়নি; শেখ হাসিনা জীবিত, যেখান থেকে এসেছিলো, প্রাণ নিয়ে সেখানে চলে গেছে সেখানে! মাঝখান থেকে জিয়ারা নেই, এরশাদ নেই, মীর কাশেম আলী নেই; ফরহাদ মাজহার ও ১ জন ব্লগার গুম।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



