গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ এক আইনজীবিসহ ৩ জন ফেঁসে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ওই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। উপযুক্ত সময়ে আরো যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে বলে জানান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক কর্মকর্তা।
গোয়েন্দার সূত্রে জানা যায়, গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা হিসেবে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ছোট ভাই, জামায়াতপন্থী একজন আইনজীবী ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর এক ছেলের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। হামলার আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রে একটি বৈঠক করেছিলেন। এমনকি গুলশান হামলার পরেও আমেরিকার ম্যানহাটনের বেঞ্জামিন হোটেলে একটি গোপন বৈঠক করেছিলেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। বৈঠকে এই তিনজন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জামায়াতপন্থী একটি সংগঠনের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। গোপন বৈঠকটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও গুলশান হামলার তদন্তকারী দলকে নিশ্চিত করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় কার্যকর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই গুলশানের জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে। তারা জঙ্গি হামলার জন্য বাংলাদেশে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।
গুলশান হামলার ঘটনায় জামায়াতের আইনজীবী ও নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে সোমবার বিকেলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি।’ তবে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সব তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ওই ঘটনায় মদদদাতা, পৃষ্ঠপোষক এবং অর্থের যোগানদাতা- সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র।’