আন্দোলনে একজন মুক্তিযোদ্ধা গণসাক্ষর কর্মসূচিতে ব্যানারে লিখেছেন, ‘তরুন প্রজন্ম আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের গর্বিত করেছে। আমরা তাদের মন থেকে আশিবার্দ করি।’
এরকম একটি মুহূর্তে তার সাথে পরিচয়। তাকে আমি বলেছি, আপনারা আমাদের জন্য অনেক করেছেন। আপনাদের জন্য আমরা গর্ব করি প্রতিনিয়ত। শুধু আপনাদের জন্যই আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। আপনাদের জন্যই আমাদের তরুন প্রজন্ম মাথা উচু করে আন্দোলন করতে পারে। তরুনদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না। ... তিনি অশ্রুসজল চোখে বললেন, ‘বাবারা আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করলেও কলঙ্কের বোঝা টানছি দীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর। তোমরা সেই কলঙ্ক মোছার জন্য যে আন্দোলন করছো, গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। তোমরা পারবে। তোমরা যে আমাদের ঋণী করে দিলে।
তার কথা শুনে অশ্রু আমার চোখেও এসেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে এমন কথা শুনতে পাওয়া যে সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এমন দিন আসবে বলেই হয়তো বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল। এ প্রজন্মের সন্তান আমি, ভাবতে গর্ববোধ হচ্ছে ....
প্রিয়, মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য আপনারা অনেক কিছুই করেছেন। বিনিময়ে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। এবার সুযোগ এসেছে, এবার করে দেখাবোই।
আন্দোলন সফল হবে, কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারের ফাঁসিও হবে। শুধু আপনারা আমাদের পাশে থাকুন, আশিবার্দ করুন। জয় বাংলা ......