ইতিহাস পড়ে সবসময়েই সংশয়ে ছিলাম আদৌ আমরা বাঙ্গালীরা কি কোন সভ্য জাতি? আমাদের কি সত্যিকার অর্থে কোন মেরুদন্ড আছে? আমাদের আসলে কি আছে? বাংলাদেশ নামে মাতৃভূমি ছাড়া এদেশে আছে একগন্ডা দূর্নীতিবাজ ধনী সম্প্রদায়, কথিত দেশপ্রেমিক নামে রাজনীতিবিদ, চাটুকার, সুযোগসন্ধানী আর বুদ্ধিজীবি নামক একপ্রকার বিলুপ্তপ্রায় আতেল প্রাণীবিশেষ জীব। ..... আর কিছু বোকা মানুষ।
এদেশে তাজরীন ট্রাজেডির সাথে জড়িত মালিক বহাল তবিয়তে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। সাগর-রুনী নামক অসহায় সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকারী সরকারি নিরাপত্তায় ঘুরে বেড়ায়। নাস্তিক বলে রাজিবকে জবাই করে তার হত্যাকারী ঘুরে বেড়ায়। মানুষকে খুব সহজেই গুমকারী সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী ঘুরে বেড়ায়। ..... সবাই যে যার জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বেড়াচ্ছে। তারা টাকা ওড়ায়, । মাতাল হয়, নারী নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঘুমিয়ে থাকে। শুধু অসহায় হয়ে রাস্তায়, নদীতে, কর্মক্ষেত্রে, বাসভবনে রক্তাত্ত লাশ হয়ে পরে থাকে, ভেসে থাকে, চাঁপা পরে সাধারন মানুষ। হয়তো তাদের মধ্যে একদিন আমি, আপনি, আপনার পরিবারের কেউ না কেউ লাশ হয়ে পরে থাকবে এমনি ভাবে অকারনেই। এদেশে আসলে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। রানা ভবনের ট্রাজেডি যেন আবার নতুন করে এসব কথাই মনে করিয়ে দেয়।
কিছুদিন ধরে সাধারন এ বিষয়ে ব্লগে লিখবে, তর্ক করবে, গালি দেবে (অনির্দিষ্ট কারো উদ্দেশ্যে) তারপর ...... অপরাধী ঘুরে বেড়াবে বহাল তবিয়তে যেমনি ছিল তেমনি ভাবেই। আমরাও ভুলে যাবো সব। যেমনি করে ভুলে গেছি আগের সব নির্মম হত্যার স্মৃতি। .....
বাঙ্গালী ইতিহাস নিয়ে আমার সংশয় কেটে গেছে। শুধুমাত্র জারজ না হলে কি এমন নির্লিপ্তভাবে বেঁচে থাকা যায়? সত্যি বলছি মাইরি, আমরা বাঙ্গালীরা সবাই জারজ সন্তান বৈকি অন্য কিছু নই। ....