২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্প, শরণার্থী সঙ্কট ও সন্ত্রাসী হামলাসহ বিভিন্ন ইস্যুগুলো আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব ইস্যুকে উপজীব্য করে ইন্টারন্টে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি, ভিডিও ও পোস্ট মানুষের মনকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যারও আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। বিবিসির প্রতিবেদনে এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
নেপাল ভূমিকম্পের হৃদয় বিদারক ছবি
গত এপ্রিলে নেপাল ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর একটি ছবি ছিল, ভাই-বোনোর ছবি। ‘নেপালে চার বছরের ভাই তার দুই বছরের বোনকে আগলে রেখেছে’-এই ক্যাপশনের সাথে ছবিটি ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ার হয়েছে অসংখ্যবার। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি তোলা হয়েছে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে।
নেপাল ভূমিকম্পের সময় সুইমিং পুলের ভিডিও
ভূমিকম্পের সময় ইউটিউব এবং ফেসবুকে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ উল্লেখ করে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখাতে গিয়ে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আদতে এই ভিডিওটি বেশ পুরনো। সম্ভবত: ২০১০ সালে মেক্সিকোতে ভূমিকম্পের সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল।
ইন্সটাগ্রামে আবু দিউফের সেলফি
গত গ্রীষ্মে ইন্সটাগ্রামে একজন অভিবাসীর সেনেগাল থেকে স্পেনে যাত্রার ছবি আসতে শুরু করে। ডাকারের বাসিন্দা আবু দিউফের এসব সেলফি ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলে এবং হাজার-হাজার মানুষ তাকে ফলো করতে শুরু করে। তবে শেষপর্যন্ত জানা যায়, এই ছবিগুলো ছিল উত্তর স্পেনের একটি ফটোগ্রাফি উত্সবের প্রচারণা।
আইএস যোদ্ধার সাজে শরণার্থী
ইউরোপে শরণার্থী সংকটের সময় এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ‘এই লোককে মনে পড়ে? গতবছর আইএসের ছবিতে দেখা গিয়েছিল- এখন সে শরণার্থী’- এমন কথাই লেখেন একজন।
পরবর্তীতে ছবির এই ব্যক্তিকে লাইথ আল-সালেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়, যিনি বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির একজন কমান্ডার। সিরিয়া থেকে পালিয়ে তিনি ২০১৫ সালের আগস্টে সিরিয়া থেকে পালিয়ে মেসেডোনিয়ায় পৌঁছান।
স্বামীর চরম প্রতিশোধ
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক জার্মান ব্যক্তি তার সকল সম্পত্তি দুইভাগ করে বিক্রি করছেন এমন একটি খবরে অনেকেই বোকা হয়েছেন। গত জুনে ঐ ছবি দেখে অনেক গণমাধ্যমও প্রতিবেদন করে। ইউটিউবে প্রায় ৪৫ লাখ বার দেখা হওয়ার পর জার্মান বার এসোসিয়েশন স্বীকার করে যে, তারা তাদের প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা এই গল্পটি বানিয়েছিল।-
তথ্য অনলাইন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪