পৃথিবীর শুরু থেকেই হয়ে আসছে এবং শেষ পযন্তই এই দলমত দ্বিমত থাকবেই, তবে সব ক্ষেত্রে এসব দ্বিমতের কোন মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না ।
কিছু দিন আগে দশ বন্ধু মিলে বাংলাদেশ ভারতের এশিয়াকাপের একটি ম্যাচ দেখতে ছিলাম ।আর এক বন্ধু আরেক বন্ধুর সাথে আলোচনা করতেছিলাম যে এখানে অধিনায়কের এভাবে দল সাঁজানো প্রয়োজন ছিল। অধিনায়ককে এ ভূমিকা ও ভূমিকা পালন করা উচিৎ ছিল । শুধু খেলাতেই না বরং যে কোন প্রতিষ্ঠানেও কোন সমস্যা হলেও সেখানকার হেড কে তাকে আগে অনুসরন করা হয় । তাহলে কি দাঁড়ালো সকল ক্ষেত্রেই নেত্রীত্বের যে একটা ভূমিকা সেটাই আগে চলে আসে । তেমনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষন দিছেন এবং তারই ফলে বাংলার মানুষের নতুন করে স্বাধীন ভাবে বাঁচার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন,এবং তা বাস্তবায়নও করা হয়েছিল
তাই বা কম কিছে । এই যে নেত্রীত্ব দিলেন বঙ্গবন্ধু এটাই বাঙ্গালী জাতির জন্য অনেক পাওয়া ।ইতিহাস পড়ে যতটুকো জেনেছি সে সময় বঙ্গবন্ধুর যে ভূমিকা ছিল তা কখনো ভুলবার নয় । আরেকটি কথা জাতির পিতা বলতেই যদি আমরা ধর্মে চলে যাই যেমন (খঃ) ছিলেন জাতির পিতা, এটা যেমন ঠিক হযরত ইব্রাহীন (খঃ) কে অস্মান করা হচ্ছে বা অনেকে এমনও বলেন ।
এটা আসলে আমাদের একটা ভুল ধারনা কেন বাংলাদেশের সকল ধর্ম মত নির্বিশেষে বাঙালী জাতি বলা হয় । সর্ম্মান করে কাউকে একটি উপাধি দিলে তাতে মনে হয় কোন ক্ষতি হয়না । যেমন আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্ম বিভিন্ন জাতের লোক আছে আর সকলের একটাই পরিচয় আর তা হলো বাঙ্গালী জাতি । তাই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বললেও কোন সমস্যা হবার কথা নয় । আর যদি বঙ্গবন্ধুকে জাতির
পিতা বলা অন্যায় হয় তাহলে বাঙ্গালী জাতিকেও বাঙ্গালী জাতি বলা অন্যায় হবে । আর সে জন্যয়ই বাঙ্গালী জাতিরও নাম পরিবর্তন
করে অন্য কোন জাতি রাখতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭