somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা শ্ত্রী দুজনোই সমান কেউ বড় নয় কেউ ছোট নয়।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দেখুন মা জননী আর শ্ত্রী দুজনই সমান এ
রকম কথা শুনে হয়ত বুরু কুচকে অনেকের কপাল বাজ দিতে শুরু করছে । এটা কেমন প্রশ্ন শ্ত্রীর চেয়ে মা বড় হবে এটাইতো স্বাভাবিক ।এখানে দুজনই সমান হয় কি করে ? হ্যা ভাই আমিও বলি এখানে দুজন দুই প্রান্তের মানুষ একজন মা আর অপরজন শ্ত্রী তাহলে দুজন কি করে সমান হয় । নিশ্চিত বেটা মিন্টুর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে তাকে ম্যান্টেল হসপিটাল নিতে হবে। আরে নারে ভাই আমি বলি আমি ম্যান্টেল হই নাই আমি স্বাভাবিক আছি তাই আমাকে হসপিটাল নেয়ার প্রোজন নেই ।আমি বার বার বলছি হ্যা ভাই মা এবং ঘরের লক্ষী শ্ত্রী দুজনই সমান ।কেউ ছোট কেউ বড় নয় । সূতারাং কোন তর্ক বিতর্ক নয় এবার আসুন দেখী আমরা কি করে এ কথাটুকো সত্যাদিকার প্রমান করিতে পারি ? একটি জিনিস লক্ষ্য করেছেন আপনেরা মা আমাদের জন্য কত কষ্ট করেছে দশ মাস দশদিন গর্ভে রাখা থেকে পৃথিবীতে ভূমিস্ত হওয়া পযন্ত তাকে কত ধৈর্যের পরিক্ষা দিতে হয়েছে ।শুধু এখানেই শেষ না তাকে আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে । আরো অনেক অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না । অর্থাৎ মায়ের ঋৃনশোধ করার মত নয় ।এবার আসুন আমাদের শ্ত্রীগণের কথা একটু বিবেচনা করে দেখী তারা আমাদের জন্য কি করেছে ।একজন মেয়ে মানুষের যখন আমাদের সাথে ইয়ে মানে বিয়ে হয় তখন কজনই বা প্রেম করে আগে থেকে ছেলে মেয়েকে আর মেয়ে ছেলেকে চিনে বিয়ে করে বলুন । এরকম সংখ্যা হাতে গনা কয়েকটি মাত্র ।দেখুন পরিবারে মনমত যখন আমরা বিয়ে করি তখন মেয়েটিও যেমন ছেলেটিকে চিনে না তেমন ছেলেটিও মেয়েটিকে চিনে না । অর্থাৎ দুজন দুজনকে না চিনা পরিচয়ের ভিতরেই বিয়ের কাজ শেষ হয় ।
আর এই না পরিচয়ের ভিতরেই একজন শ্ত্রী তার স্বামীকে বিশ্বাস করে তার হাত ধরে ঘর থেকে বাহির হয়ে আসেন ।
একটি নব শ্ত্রী তার বাপের বাড়ির সব কিছু ছেড়ে আমাদের অর্থাৎ স্বামীদে হাত দুটো ধরে চলে আসেন স্বামীর বাড়ি । আর তখন থেকেই স্বামীই তার সব কিছু । অর্থাৎ একজন শ্ত্রীর সুখ দুঃখ তখন থেকে স্বামীকেই বহন করতে হয় ।
এর সে শ্ত্রীও একটি সময় দশ মাস দশদিন অনেক কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে তার সন্তানকে
পৃথিবীর মুখ দেখান । অর্থাৎ একজন মেয়ে একটি সময় একটি পরিবারের ছেলের কাছে তার শ্ত্রী আর শশুর শাশুড়ির কাছে তার বউ মা দেবর ননদদের কাছে তাদের ভাবী থাকেন সেও
সন্তানের মা হন ।
অর্থাৎ যোগ বিয়োগ ফলাফল একই দাড়াবে একজন মেয়ে একটি সময় মা, বাবার কাছে মেয়ের আদর, বড় ভাই বোনের কাছে ছোট বোন, বা ছোট ভাই বোনের কাছে বড় বোনের আদর পেয়ে বেড়ে ওঠেন । আবার সেই মেয়েই একটি সময় নিজেও মা হন । অর্থাৎ নারী জাতই মায়ের জাত । আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার ।
অলদ্যাবেষ্ট সকলে ভালো থাকুন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×