somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি আজে বাজে গল্প

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাইয়া এই বড় ফ্যানটা তোমার জন্য আনিয়েছি ডেকোরেটার থেকে।
কেন? উপরে তো ফ্যান আছে।
যদি কারেন্ট চলে যায়। ওটার সাথে ব্যাটারি লাগানো আছে।
ভাইয়া এই আইস বক্সটাতে বরফ দেয়া আছে, ভিতরে পানিও দিয়েছি রাতে তেষ্টা পেলে খাবে।
আরে তোরা শুরু করছিস কি! মেঝ দিয়ে গেল ফ্যান, তুই দিয়ে যাচ্ছিস ঠাণ্ডা পানি।
আজ কিন্তু কিছু বলতে পারবে না । আজ তোমার দেখে যাওয়ার দিন।

রাত একটা। বাইরে রান্নার প্রস্তুতি চলছে। বাচ্চাদের চেচামিছি, মহিলাদের ব্যস্ততা। নীলা বসে আছে একজনের অপেক্ষায়। অচেনা একজন মানুষ আজ কাছে এসে বসবে। হয়ত এসে ঘুমিয়েও যাবে। নীলা আর কিছু ভাবতে পারছে না। ঘেমে যাচ্ছে দুশ্চিন্তায়। ইস এখন যদি কেউ ফ্যানটা চালিয়ে দিয়ে যেত। কপালে, ঘাড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম ফুটায় রূপান্তরিত হচ্ছে। আজ প্রথম নিজেকে খুব একা মনে হল। তার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। সে কি সত্যি সত্যি কেঁদে ফেলবে?

মানুষটা ঘরে ঢুকার সাথে সাথে নীলা সত্যি সত্যি কেঁদে ফেলল। মানুষটি কাছে এসে ঘোমটা উঠিয়ে তাকিয়ে রইল নীলার চোখের দিকে। কাজল ভরা চোখে কান্নার নোনা জল। মানুষটি ভুলে যায় বড় ফ্যানটা চালিয়ে দেয়া দরকার। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চোখের জলের মোক্ত দানার দিকে। মানুষটি বরফ কুচি দিয়ে এক গ্লাস পানি এনে দিয়ে বলল নীলা নাও পানি খাও। তুমি আমাকে যেমন দেখতে চাও তেমনি পাবে। বিশ্বাস রেখ। আমি তোমাকে হয়ত কিছুই দিতে পারব না এই ঘরটা তোমায় উপহার দিলাম। এই দেখ নতুন কিনেছি তোমার জন্য পড়ার টেবিল, তোমার বই গুলো সব সাজিয়ে রেখ। তোমার বাবা মার মত হয়ত এমন মানুষ দিতে পারব না, তোমাকে আরও দুজন বাবা মা দিলাম তাদের তুমি যত্নে রেখ। তোমার সন্তান কেমন হলে তুমি খুশি হবে আমাকে আমার বাবা মার তেমন সন্তান হতে সাহায্য করো। এসো বিশ্বাসের জায়গাটায় আমরা ভালোবাসার পারত দিয়ে শক্ত করে দেই। যেন পৃথিবীর কোন স্বার্থই আমাদের স্বর্গীয় সুখকে নষ্ট করতে না পারে।
হটাৎ করেই নীলার বুক থেকে বিশাল বড় একটা পাথর সরে গেল। নীলার খুব ইচ্ছে করছে মানুষটি যদি তার কপালের ঘাম গুলো টিস্যু দিয়ে মুছে দিত।
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×