বাংলাদেশের ইতিহাসে নারকীয় হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট অন্যতম। বিরোধীদলীয় মিছিলে হামলায় ২৪ জন আওয়ামী নেতাকর্মী নিহত হয়েছিল। অসংখ্য লোক আহত হয়েছিল। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা (নিহত না হলেও এক কানে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন)। '৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর ধারাবাহিকতায় এই হামলা। যদিও ওনি নিহত হননি। ওনার ত্যাগী কর্মীরা জীবন দিয়ে ওনাকে রক্ষা করেছে।
এই হীন কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড কে বা কারা ছিল সেটা সহজে অনুমেয়। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনা নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড এনেছিলেন। আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়নি। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে। তবুও সেবা মেলেনি। ঘটনার দায় এড়াতে সরকার জজ মিয়া নাটক সাজায়।
এমন একটা ঘটনা ঘটানোর পর বিএনপি কী ভেবেছিল? শেখ হাসিনাকে মেরে ফেললে হয়ত অধ্যায় শেষ হয়েই যেত। ওনি বেঁচে থাকলে বিএনপির প্রতি আচরণ কেমন হওয়া উচিত ছিল? এখন যেমন তেমনই না কি আরও নির্মম? না কি মাফ করে দেওয়া উচিত ছিল?
আপনি যত মহান হননা কেন আপনার পিতাকে অপমানকারী দল বা লোকদের ক্ষমা করতে পারবেন? আপনাকে হত্যাচেষ্টা করা দলকে ক্ষমা করে খাতির করতে পারবেন?
মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেছিলেন, ধর্ষক আর ধর্ষিতা এক পথে চলতে পারে না। আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপির মৈত্রীর তো প্রশ্নই উঠে না। তবুও কিছু কিছু জায়গায় শেখ হাসিনা নমনীয়তা দেখিয়েছেন। কোকো মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওনাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে ফোন করা হলে ওনি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেন।
যে যেমন আচরণ করে তার ফল তেমনই হয়। বিএনপি আওয়ামীলীগের সাথে যে আচরণ করেছে তার ফল পাচ্ছে। আবার আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রতি যে আচরণ করছে, তারও ফল পাবে। ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৮