অলস বাহন রিক্সা মনে হয় আমাদের দেশ আর দিদির কলিকাতায় আছে। আর কোথাও এই পলিও আক্রান্ত বাহনের চল আছে কিনা আমার জানা নাই। ছোটবেলা সেই স্কুলে যাবার কাল থেকে কিছু রিক্সা ওয়ালা ছিল পরিচিত। ক্লাস 6 থেকে আমার স্কুল ছিল ক্যান্ট আর আমার সাইকেল এর দরুন রিক্সা সচরাচর ওঠা হত না। সেই ১৪/১৫ বছর ধরে তাদেরই দেখছি প্রায় প্রতিদিন সকালে। যোগ হচ্ছে নতুন নতুন কিছু মুখ। শিমুলতলি দাঁড়ালে দেখা যায় রিক্সার আধিপত্য। ব্যাটারি রিক্সা যেমন দিয়েছে নতুন মাত্রা,তেমনি আমার ওটায় উঠলে মন বলে শুরু হল আখেরি যাত্রা।
ঢাকা বা সিটি কেন্দ্রিক শহর গুলতে রিক্সা যেমন বাড়ছে ভবিষ্যতে নাটকে দেখানো প্রাইভেট রিক্সা ঘরে ঘরে থাকবে। অবশ্য টাকশালে প্রতি সকাল প্রাইভেট না হলেও রিজার্ভ রিক্সা দেখা মেলে। “শিমুলতলি টু টাকশাল মেলা দূর সেই তুলনায় ভাড়া অন্যায্য, রাস্তা ভাঙা- ৩০০ ফিট চওড়া রোড হলে ভালো।“
গ্রাম থেকে প্রতিদিন মানুষ আসছে এই শহরে, একটু বেশি কামাই এর আশায়। পরিবার নিয়ে কোন এক বস্তিতে মাথা গুঁজা। বস্তি গুলোর মাঝে গড়ে উঠছে আর এক ভয়ংকর সাম্রাজ্য। গ্রাম থেকে আসা মানুষ গুলো হয়তো গ্রামে থাকলে ফজর ওয়াক্তে খেত খামারে যেতে হতো, এই শীতের সকালে চাদর মুরি ঘুম শুধু এই শহর দিতে পারে। তবে গ্রাম দিতে পারে খাদ্য স্বনির্ভরতা, যার উপর বেচে থাকে সামগ্রিক অর্থনীতি। কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে সবাই যদি শহুরে হতে চায় প্রথম আঘাতে ভাঙবে এরাই। খাবার উৎপাদন খরচ বাড়ায় এর প্রথম ভুক্তভুগি হবে রিক্সা চালক শ্রেণী। বাকী তত্ত্বীয় ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছা করছে না।
সরকারের উচিত সারা দেশ থেকে রিক্সা ব্যান করে দেয়া । এই রিক্সা আমাদের বানাচ্ছে অলস, ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা, ভাঙছে অর্থনৈতিক কাঠামো। ঐতিহ্যের দোহায় কেও দিলে তাকেও রিক্সার সহিত মিউজিয়াম পাঠানো হোক।