আবার আরও একটি টানে মিলেছিল সকলে শাহবাগের চত্বরে, কিসের টান? কিসের আশায়? কি ছিল এই সব মানুষের চাওয়া?
তারা একটি দাবী নিয়ে এসেছিল, শুধু একটি দাবী। রাজাকারদের ফাঁসী চাই।
কেন চাই তার ব্যখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই, এখন আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। আমাদের এই দাবী এই প্রতিবাদ এই ভাষা চুরি হয়ে গেছে। আমরা এসেছিলাম সরকারের বিরুদ্ধাচরন করতে, সরকারের সাজানো রায় মাটি চাপা দিয়ে আমাদের পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে। সেই কথাই ছিল। বর্তমান আওয়ামী চোট্টা লীগ সেই কথাই দিয়েছিল। কিন্তু কথা দিলেই তো আর রাখতে হবে এমন তো আর না। আর চোট্টা লীগের এটা পুরোনি স্বভাব। হাজার হাজার মানুষ এসেছিল যাদের রায় না মেনে উল্টো তার প্রতিবাদ করতে কিন্তু একি? এখন যে সরকার বলছে এটা তাদের আন্দোলন?
আমি এই আন্দোলনে গিয়েছিলাম একবুক আশা নিয়ে ফিরে এসেছি কুজো বৃদ্ধের মত নুজ শরীরে ভাঙ্গা হৃদয়ে। ওখানে ছাগুলীগ বক্তৃতা দিচ্ছে, মন্ত্রী বক্ত্রৃতা দিচ্ছে। বরই অদ্ভুত। আমরা গেলাম সরকারের সাজানো নাটকের প্রতিবাদ করতে আর সরকার এসে এই প্রতিবাদ ও চুরি করে নিয়ে গেল?
এই ব্যর্থতা কার??
এটা আমাদের একান্তই আমাদের। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কেই অরাজনৈতিক নই। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা চোট্টা লীগ, খাওয়াবাদী দল, কামায়াত এসব নয়। আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর নাগরিক। আর আমাদের এই আন্দোলন চোট্টা লীগ এর পক্ষে নয় বিপক্ষে। চোট্টা লীগ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে নাটক করেছে, বাচ্চু কে কোলে করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে, মোল্লা দেশে আছে বলে তাকে ফাঁসি দেয়নি, তাই চোট্টা লীগ নিজেও অপরাধী বরং তারা অনেক বর অপরাধী। ওই রাজাকাররা তো কিছু সময় অতি অমানবিক কাজ করেছে কিন্তু এই চোট্টা লীগ, খাওয়াবাদী দল তারা সেই ৭২ থেকে আমাদের ধর্ষণ করছে খুন করছে। এমনকি চোট্টা লীগ আমাদের মায়ের ধষর্ণকারীদের বিচার নিয়ে নাটক করছে। আর আজ যখন আমরা সেই রায়ের বিরুদ্ধে চিৎকার করছি তখন তারা মুখোশ পরে আমদের ভিতরেই ঢুকে যাচ্ছে। চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই বিকেলের সোনা রোদ।
তাই সবাই সাবধান হোন। চোখ খুলে রাখুন সবসময়।
প্রয়াত শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলেন
শিশুও সাপ চেনে, বাঙালিরও চেনার কথা জামাতকে; কিন্তু মনে হয় বাঙালি শিশুর থেকেও নির্বোধ, গোখরোর কামড় খেয়েও বাঙালি চেনে না সাপ কাকে বলে। বাঙলাদেশ ও তার বিভ্রান্ত রাজনীতি দুধকলা দিয়ে পুষে আসছে কালজাতিটিকে, যার ছোবলে একদিন সম্পূর্ণ নীল হয়ে যেতে হবে বাঙালি জাতিকে....
আজ সেই মানুষদের কেও চিনতে হবে যারা এই জামাতের নেতা মহান যুদ্ধাপরাধীদেরকে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য পালিয়ে যেতে সাহায্য করে, আমাদের সাথে বিচারের নামে প্রহসন করে। মনে রাখতে হবে আমরা শুধু ফাঁসীর দিবে নিয়ে আসিনি আমরা সাজানো নাটকের প্রতিবাদ করতে এসেছি। আর তাই সেই নাট্যকারদের থেকে নিজেকে সামলে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দেশ আমার আমাদের। চুরি হতে দেয়া যাবেনা আমাদের সোনা রোদ। আর তাই এখানে আমরা থাকবো শুধুই বাংলাদেশী হয়ে, আমরা চিৎকার করব শুধুই বাংলাদেশী হয়ে।
আর কেউ যেন একবুক হতাশা নিয়ে শাহবাগ থেকে ফিরে না যায়। এমনকি একটি কাক ও নয়।