আমার উপজেলা সুবর্ণচর সম্পর্কে কিছু তথ্য জানার জন্য বাংলা পিডিয়ায় ঢুকে আমার তো আক্কেল গুড়ুম হওয়ার উপক্রম হল। কারণ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০০১ সালের আদমশুমারির রিপোর্টগুলো বহাল রেখেছে। অথচ ২০১১ সালে যে বাংলাদেশে একটা আদমশুমারি হয়েছে তা কি বিবিএস'র কর্মকর্তারা ভুলেই গেছে? আপডেট তথ্য পাওয়ার একটা উৎস ভাবতাম বাংলা পিডিয়া বা উইকিপিডিয়াকে। কিন্তু বাস্তবতা যে এত নিষ্ঠুর হবে তা আমার জানা ছিল না। ০৫ বছর পরও যদি তথ্যগুলো আপডেট না হয় তবে বাংলাপিডিয়া বা উইকিপিডিয়ার মত সাইটগুলো সচল রাখার দরকার কি? আদমশুমারি করারও কি কোন দরকার আছে? বিবিএস'র মত প্রতিষ্ঠানগুলোরই বা প্রয়োজন আছে কি? এ সকল বিষয়গুলো যারা তদারকি করে তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে ঘাস বা ঘুষ(বেতন) খাওয়নোর অত্যাবশ্যকীয়তা কোথায়? বিবিএস'র এই ধরণের কাজের প্রমাণ চান? তাহলে আর দেরি না করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য সাইটগুলো থেকে একবার ঘুরে আসুন। পাঠকদের সুবিধার্থে আমার পাওয়া পুরাতন তথ্যগুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম।
সুবর্ণচর উপজেলা (নোয়াখালী জেলা) আয়তন: ৩৮২.১২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°২৮´ থেকে ২২°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৯´ থেকে ৯১°২০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে নোয়াখালী সদর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে হাতিয়া উপজেলা, পূর্বে কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দ্বীপ উপজেলা, পশ্চিমে রামগতি উপজেলা।
জনসংখ্যা ২০০৩৯৭; পুরুষ ১০২৫১২, মহিলা ৯৭৮৮৫।
জলাশয় ভুলুয়া নদী ও সন্দ্বীপ চ্যানেল।
প্রশাসন ২০০৫ সালের ২ এপ্রিল নোয়াখালী সদর উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা গঠন করা হয়েছে।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০.৭২%, অকৃষি শ্রমিক ৬.০১%, শিল্প ০.৪১%, ব্যবসা ৯.৫৯%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৭৫%, চাকরি ৩.৯১%, নির্মাণ ০.৬৬%, ধর্মীয় সেবা ০.২৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭৫% এবং অন্যান্য ৫.৯১%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৪.০১%, ভূমিহীন ৪৫.৯৯%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, সয়াবিন, চীনাবাদাম, শাকসবজি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারিকেল, খেজুর, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৭, গবাদিপশু ২২, হাঁস-মুরগি ১৮।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৫.৩৭ কিমি, কাঁচারাস্তা ৪৭.৬৮ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, তেলকল, আটাকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, বুননশিল্প, শীতল পাটি, হাতপাখা।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৪৯, মেলা ১। খাসের হাট, ভূঁঞার হাট, থানার হাট, ছমির হাট ও হারিছ চৌধুরীর বাজার, ওয়াপদা বাজার, রাম গোবিন্দ বাজার এবং বৈশাখী মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য নারিকেল, সুপারি, মাদুর, শুটকি, দধি, বিভিন্ন জাতের মাছ।
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২০