পৃথিবীর বুকে আবির্ভাব হল আরেকটি দিন,
প্রকৃতির নিয়মে আজও জন্ম নিল মানব সন্তান,
খর্বদেহের শিশুগুলো চিৎকার করে জানান দিল তাঁর আগমনী বার্তা।
আমি দেখেছি, নবজাতকের হাত থাকে মুষ্টিবদ্ধ
আচ্ছা? মুষ্টিবদ্ধ হাতে ওরা কি কোন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে?
এই জন্যই কি ওরা তারুন্যে এসে অদম্য আর বিদ্রোহী হয়ে ওঠে?
২.
সময়ের স্রোত বয়ে চলে
দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় সপ্তাহ, মাস, বছর।
এদিকে পৃথিবীর নাট্যমঞ্চের অভিনয় চলতেই থাকে,
শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়; কোন রোল নেই এখানে?
এই অভিনয়ের না আছে স্ক্রিপট,
না আছে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশানের ঝামেলা।
এখানে পরিবর্তন শুধু চরিত্রের, অভিনেতা তো একজনই!
কারও ভাগে পড়ে পুত্র, ভাই, পতি, বাবা, দাদার রোল,
আবার কারও ভাগে পড়ে কন্যা, বোন, পত্নী, মা, দাদীর রোল।
একসময় অভিনয় পর্ব শেষে,
জীবন হাটের কেনা-বেচা সাঙ্গ করে পাড়ি জমাতে হয় অজানা গন্তব্যে।
৩.
প্রিয় মুখগুলো হারিয়ে যায়, পড়ে থাকে স্মৃতি
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা যেন সত্যিই পুতুল
আর পৃথিবীটা, কোন এক নিপুন শিল্পীর হাতে পরিচালিত পাপেট শো।
আচ্ছা? বাচ্চাদের বউভাতি আর বড়দের এ অভিনয়ের মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে?
কি জানি! এত কিছু বুঝি না
শুধু বুঝি, আমরা কেউ থাকবো না
না আমি, না তুমি, আর না অন্য কেউ।
হা নিয়তি! আমিও একদিন চলে যাব?
এই সত্য কথাটা কেন জানি বিশ্বাস হতে চায় না।
©০৫.১০.২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫