এই বইটিতে ড: ইউসুফ আল কারজাভীর দুটো প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামী পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে ঘরে বাইরে উভয় দিকেই সমস্যা রয়েছে। তবে বাইরের সমস্যার চেয়ে ঘরের সমস্যাই অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়। বাইরের শত্রু সাধারণত ঘরের সমস্যার সুযোগ নিয়েই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। মুসলিম উম্মাহ আজ এমনি এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার। তাদের একটি শ্রেণী পরহেজগারির খাতিরে খুঁটিনাটি বিষয়ের ওপর মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে দ্বীনকে বিধি-নিষেধের একটি বেড়াজাল হিসেবে চিত্রিত করেছে। অন্যদিকে আরেকটি শ্রেণী এরই প্রতিক্রিয়ায় দ্বীন পালনে গাফলতি - এমন কি দূরে সরে থাকার অজুহাত তালাশ করছে। ড: কারজাভী এই উভয় অবস্থাকেই চরমপন্থা, গোঁড়ামী ও বাড়াবাড়ি আখ্যা দিয়েছেন। ইসলামী পুনর্জাগরণের পথে এই আভ্যন্তরীণ সমস্যা একটি প্রধান বাঁধা।
মুখবন্ধ: (লেখকের ভাষ্য মতে)
১৯৮১ সালে মুসলিম তরুণদের পুনর্জাগরণ সম্পর্কিত আমার দুটি প্রবন্ধ 'আল-উম্মাহ' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। আমি এই জাগরণের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়দিকের উপর আলোকপাত করেছি।
আমি আনন্দের সাথে এখানে উল্লেখ করছি যে, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইসলামী সংস্থা ১৯৮১ সালে তাদের গ্রীষ্মকালীন শিবিরে আমার মতামতগুলো নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে। তারা ঐ লেখাগুলো ছাপিয়ে প্রকাশ করে এবং আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করে। এতে তাদের প্রশংসনীয় সচেতনতার পরিচয় পাওয়া যায়; সেই সাথে মধ্যপন্থার প্রতি তাদের সমর্থসূচক মনোভাবেরও প্রতিফলন স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আমি এই প্রবন্ধে মূলত ধর্মীয় চরমপন্থা বা গোঁড়ামির বিষয় নিয়ে আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছি। কারণ এ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলী দীর্ঘ ও উত্তপ্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর এহেন বাক-বিতন্ডায় স্রেফ জ্ঞান-গুণীরাই জড়িয়ে পড়ছেন না, ইসলাম সম্পর্কে এমন অজ্ঞ ব্যক্তিরাও এতে সোৎসাহে শামিল হচ্ছেন ইসলামের প্রতি যাদের শত্রুতা, অবহেলা ও বিদ্রুপ সুবিদিত।
আমার কতিপয় বন্ধু আমাকে এই বলে দোষারোপ করলেন যে, আমি নাকি এমন এক বিষয়ে কলম ধরেছি যেখানে বাতিলের পক্ষে হককে বিকৃত করা হচ্ছে। অবশ্য আমার বন্ধুরা আমার প্রবন্ধের মর্ম বা বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন না তুললেও, সম্প্রতি ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে যে প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তারা সংশয়ের আবর্তে দোল খাচ্ছেন। এই অভিযান আসলেই চরমপন্থাকে প্রতিহত করতে অথবা চরমপন্থীদের মধ্যপন্থার দিকে পরিচালিত করতে চায় কিনা সে ব্যাপারে তারা স্থিরনিশ্চিত নন।তাদের আশংকা ইসলামী পুনর্জাগরণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বে একে অন্কুরেই বিনষ্ট করার জন্যে এসব প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে। বন্ধুরা বলছেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকারের বিরওঢিতায় লিপ্ত হলেই সরকার ধর্মনিষ্ঠ তরুণদের প্রতি দৃষ্টি দিতে শুরু করেন। এর একটি প্রমাণ এই যে, ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী আসলে গোঁড়া ধর্মীয় গ্রুপগুলোকেই পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন, উদ্দেশ্য অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে এদেরকে ব্যবহার করা। অত:পর তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়ে গেলে তারা ঐ ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে উৎখাত করেন।
এই হিসেবে বন্ধুদের যুক্তি হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের ও ধর্মীয় গ্রুপগুলোর মধ্যেকার সংঘর্ষের কারণগুলো ধর্মীয় চরমপন্থা বা গোঁড়ামির ভিত্তি হিসেবে খাড়া করা যায় না। তারা আরো মনে করেন যে, মুসলিম দেশগুলোর শাসকরা ইসলামী আন্দোলনকেই সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু হিসেবে গণ্য করেন। কখনো কখনো তারা এই আন্দোলনের সাথে সংঘর্ষে অস্থায়ীভাবে বিরতি দেন আবার কখনো কখনো তাদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক প্রতিপক্ষের সাথে সংঘাতের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনকেও জড়িয়ে ফেলার অপচেষ্টা চালান। পরিশেষে কর্তৃপক্ষ ও প্রতিপক্ষ দেখতে পান যে, তাদের উদ্দেশ্য ও উপায়ের মধ্যে সাদৃশ্য আছে। অতএব ইসলামী আণ্দোলনের বিরুদ্ধে তাদের আঁতাত গড়তে বিন্দুমাত্র বিলম্ব হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল করীমে ঘোষণা করেছেন, 'আল্লাহর মুকাবিলায় তারা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না; জালিমরা একে অপরের বন্ধু, আর আল্লাহ তো মুত্তাকীদের বন্ধু।' (৪৫:১৯)
বিস্ময়ের ব্যাপার চরমপন্থার প্রাধান্যের সময় ক্ষমতাসীনরা চুপচাপ ক্ছিলেন; কিন্তু মধ্যপন্থী প্রবণতা জোরদার হওয়ার সাথে সাথে তারা ঐ গ্রুপগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন।
বস্তুত বর্তমানে লেখক ও বক্তারা ধর্মীয় চরমপন্থাকে তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। আমি দুর্বলের বিরুদ্ধে সবলের পক্ষ নিতে চাই না।আর এটাও সত্য যে, বিরোধী বা প্রতিপক্ষের তুলনায় ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী অবস্থানে থাকেন। বলাবাহুল্য, ইসলামপন্থীরা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার পান না। সংবাদ মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তো নেই-ই, এমন কি মসজিদের প্লাটফরমকেও এ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
আমার দ্বিধাদ্বন্দ্ব আরেকটি কারণে জোরদার হয়েছে যে, গত কয়েক দশক ধরে ইসলাম-বিরোধীরা ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে রাশি রাশি অভিযোগ উত্থাপন করে চলেছে। তাদেরকে প্রতিক্রিয়াশীল, গোঁড়া, শত্রু, বিদেশের দালাল ইত্যাদি অভিযোগে 'ভূষিত' করা হয়। অথচ কোন পর্যবেক্ষকেরই এটা বুঝতে বাকী থাকে না যে, পূর্ব ও পশ্চিমের উভয় পরাশক্তি বলয় ইসলামপন্থীদের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার সকল সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
যা হোক, অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বিষয়টি একটি বিশেষ দেশের নয় বরং সারা মুসলিম জাহানের সমস্যা। নীরবতা অবলম্বন করলেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে না।আলোচনায় শামিল না হওয়াটাই বরঞ্চ জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নের মতোই অনৈসলামী কাজ। সুতরাং আমি নিজেকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে প্রকৃত সত্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। রাসূলুল্লাহ (সা: ) একটি হাদীসে বলেছেন: 'নিয়তের উপরই কর্মের ফলাফল নির্ভর করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি সেই ফলই পাবে যার নিয়ত সে করেছে।' (বুখারী ও মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন: 'মধ্যপন্থীরা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম পর্যন্ত জ্ঞানের পতাকা বহন করে নিয়ে যাবে। তারাই জ্ঞানকে বিকৃতি ও অপব্যাখ্যার হাত থেকে রক্ষা করবে।'
হাদীসটি এই ইংগিত দেয় যে, আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্যে বিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে সত্য গোপন নয়, প্রকাশ করার দায়িত্ব পালন করতে হবে। অতএব যারা বিষয়টির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরকেও এ দায়িত্ব পালন করা উচিত।
বাড়াবাড়ির জন্যে কেবল তরুণদের দায়ী করা সংগত নয়। যারা ইসলামের শিক্ষা পালনে ঔদাসীন্য প্রদর্শন করেন অথচ নিজেদেরকে নির্দোষও ভাবেন তারাও সমভাবে দায়ী। নামধারী মুসলিমরা -- তা পিতামাটা, শিক্ষক-পন্ডিত অথবা যে কেউ হোন - নিজ নিজ দেশেই ইসলাম, ইসলামপন্থী ও ইসলাম প্রচারকদেরকে প্রায় অস্পৃশ্য করে রেখেছেন।
এটা আশ্চর্যের ব্যাপার, আমরা চরমপন্থার সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে উঠি, কিন্তু আমাদের সমাজের নিজস্ব গোঁড়ামি অর্থাৎ ধর্মীয় বিধি-বিধান পালনে অবহেলা ও শিথিলতার প্রশ্নে নির্বিকার।আমরা তরুণদেরকে গোঁড়ামি ও বাড়াবাড়ি পরিহার করার উপদেশ দিই এবং তাদের নমনীয় ও সুবিবেচক হতে বলি, কিন্তু প্রবীণদের কখনো বলি না যে, আপনারাও মুনাফেকী, মিথ্যাচার, প্রতারণা তথা সর্বপ্রকার স্ববিরোধিতা থেকে নিজেদের মুক্ত করুন।
আমরা তরুণদের কাছ থেকে সব কিছু দাবী করি, কিন্তু তাদেরকে যা নসিহত করি নিজেরা তা পালন করি না, যেন সব অধিকার আমাদের আর কর্তব্যের দায়ভাগ সবটাই যেন তরুণদের। অথচ, দায়িত্ব ও কর্তব্য সকলের ওপর সমানভাবে প্রযোজ্য। আজ আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে, প্রচন্ড সাহস সন্চয় করে আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের নিজেদের দুষ্কর্মের দরুণই তরুণরা ধর্মীয় চরমপন্থার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা কুরআন তিলাওয়াত করি, কিন্তু এর আহকাম মেনে চলি না, রাসুল(সা: ) এর প্রতি ভালোবাসা দাবী করি, কিন্তু কার্যত তাঁর সুন্নাহ পালন করি না। আরো মজার ব্যাপার আমরা ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষণা করি, কিন্তু আইন-কানুন প্রণয়নের সময় ইসলামের নাম-গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায় না।প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্ববিরোধী ও মুনাফেকী আচরবের জন্যই তরুণরা আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেরাই ইসলামকে বোঝার চেষ্টা করছে। কেননা, তাদের দৃষ্টিতে পিতামাতাদের অবস্থা হতাশাব্যন্জক। আলিমরা উদাসীন, শাসকরা বৈরী আর পরামর্শদাতারা ছিদ্রান্বেষী। অতএব তরুণদের প্রতি শান্ত, সংযত ও সুবিবেচক হওয়ার উপদেশ দেয়ার আগে আমাদের নিজেদেরকে ও সমাজকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সংস্কার করতে হবে।
চরমপন্থা নির্মূল ও তরুণদের মধ্যে ইসলামী পুনর্জাগরণকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ব্যাপারে সরকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তব্য ও ভূমিকার প্রতি কর্তৃপক্ষ ও চিন্তাশীল লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
সকলে এ কথা স্বীকার করবেন যে, মুসলিম বিশ্বের এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী হস্তক্ষেপমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেলে তরুণদের পথনির্দেশ ও জ্ঞান প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আবার এটাও আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে যে, উপদেষ্টাদের প্রতি যদি তরুণদের আস্থা না থাকে তবে সেসব উপদেষ্টার উপদেশ অর্থহীন। পারস্পরিক আস্থা না থাকলে প্রতিটি উপদেশ বাগাড়ম্বরের নামান্তর। প্রকৃতপক্ষে সরকার নিযুক্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আমাদের তরুণ সমাজের কোনো আস্থা নেই। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শরীয়তের শিক্ষার যে যথার্থ প্রতিফলন ঘটে না তা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তারা যদি সত্যিকার অর্থে সমাজে তাদের প্রভাব রাখতে চায় তবে সর্বপ্রথম তাদের ঘরকেই আগে সাজাতে হবে। এজন্য তাদেরকে সদা অস্থির রাজনৈতিক কুচক্রের মধ্যে জড়িয়ে পড়া চলবে না। তাদের প্রধান কাজ হবে এমন এক দল ফকীহ গড়ে তোলা যারা হবে ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ও যুগসচেতন অর্থাৎ কুরআনের ভাষায় 'যারা আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়ে দেয় এবং তাঁকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না।' (৩৩:৩৯)
বস্তুত আমাদের বর্তমান সমাজে এরূপ অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন সৎ মনীষীর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কেবল এরাই ইসলামী পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে তরুণ সমাজকে সঠিক পথনির্দেশ দিতে পারেন। যেসব লোক ইসলামী পুনর্জাগরণ থেকে দূরে সরে আছেন অথবা এর আশা-আকাংখা উপলব্ধি না করে এবং হতাশা ও দুর্ভোগের অংশীদার না হয়েই কেবল সমালোচনা করে চলেছেন তারা কখনোই এই আন্দোলনে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে না।
এক প্রাচীন কবি লিখেছেন, 'যারা নি:স্বার্থ যাতনা ভোগ করে তারা ছাড়া আর কেউ তীব্র আকাংখার তীক্ষ্ণ বেদনা উপলব্ধি করতে পারে না।' ইসলামের প্রচার ও প্রসারে যাদের হৃদয়ে আকাংখা নেই তারা আসলেই আত্মকেন্দরিক আর এসব লোকের কোন অনুভূতি নেই ইসলাম-অনুরাগীদের ভুল ধরার অথবা তাদের সংশোধনের জন্যে নসিহত করার।
উপসংহারে, আমার পরামর্শ হচ্ছে যারা তরুণদের উপদেশ দিতে আগ্রহী তারা পাণ্ডিত্যাভিমান পরিহার করে ধুলির ধরণীটে নেমে এসে তরুণদের সাথে মিশতে হবে। যুব সমাজের আশা-আকাংখা, সংকল্প, উদ্দীপনা ও সৎ কর্মগুলোর যথাযথ মূল্যায়ণপূর্বক তাদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দৃষ্টিভংগীর পার্থক্য নিরূপণ করতে হবে যাতে তাদেরকে সঠিক দিক-নির্দেশ দেয়া যায়।
চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫৯