আর কিছুদিন পরেই বর্ষা শুরু হবে। এই বর্ষায় ঢাকা শহরের কিছু প্রধান সড়ক, যেমন রোকেয়া সরণী, ধানমন্ডি ২৭, রামপুরাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। তাই আগে থাকতেই যদি ম্যানহোলগুলো পরিষ্কার করা যেত, তাহলে খুবই ভাল হতো!
আমার এলাকা নোয়াখালী, সেখানেও একদিন ঝমঝম বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। এর জন্য ম্যানহোলের ব্যবস্থা, নোয়াখালী খালের অবৈধ দখলমুক্ত করেও খুব একটা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না, তবুও আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, সেটা নিয়েও কর্তৃপক্ষ, ভাবতে পারে। নোয়াখালীতে কোন ভাল পার্ক বা ব্যায়াম করার জায়গা নেই, একটু ঘুরে বেড়াবার জায়গা নেই, নেই কোন এমিউজিং পার্ক, শিশুদের হৈ হুল্লোড় করার জায়গা নেই। আছে একটু পৌর পার্ক, যেটা শুধু ফুচকা আর চটপটি খাবার জন্য বিখ্যাত, ওখানে কোন রাইড নেই, হাঁটবার জন্য রাস্তাটা খুবই সরু এবং অপ্রতুল! এসব নিয়ে যদি শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা এবং নেতারা মানে যারা পলিসি মেকার, তারা যদি ভাবতেন!
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আর পাহাড় ধসের ঘটনা ফিবছরের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে! নতুন যোগ হয়েছে হাওড় অঞ্চলের হঠাত বন্যা! এটার সাথে টপাইমুখ বাঁধের কোন সম্পর্ক আছে কিনা জানি না।আর উত্তরাঞ্চলের বন্যা এতো আবহমান বাংলার প্রতিবছরেরই ঘটনা। এসব থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় হচ্ছে ড্রেজিং, নদীশাসন ইত্যাদি। পাহাড় ধস বন্ধের উপায় অবশ্য জানি না।
লবাণক্ত পানির জোয়ারে দ্বীপাঞ্চলে চাষাবাদ ভাল হয় না। এটাও বর্ষা মৌসুমে বেশি হয়। এরকম নানাবিধ সমস্যা রয়েছে সারাদেশ জুড়ে বর্ষা মৌসুমে। এগুলো নিয়ে আমাদের সবার ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো, এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে জনসচেতনতা বাড়াতে। জনগণের মাঝে পূর্ব প্রস্তুতি, প্রতিরোধমূলক এবং দুর্যোগ প্রবর্তী ব্যবস্থা - ইত্যাদি করণিয় বুঝিয়ে দিতে হবে।
'ডকডো' একটা দ্বীপের নাম। কোরিয়া দাবি করে কোরিয়ার, জাপান বলে তাদের। অনেকটা আমাদের দক্ষিণ তালপট্টির মতো। আমি যেহেতু কোরিয়ায় থাকি, আমি কোরিয়ার পক্ষে, তারা বিভিন্ন ডকুমেন্টস দেখায় প্রমাণ হিসেবে। এটা একটা রাজনৈতিক দাবী। কিন্তু এতে ছাত্রদের বা নতুন প্রজন্মকে সচেতন করার নিমিত্তে নানা আয়োজন করা হয়। এ যেমন রচনা প্রতিযোগিতা। এই তো কয়েকদিন আগেই
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ই-মেইল পেলাম, বাকী সবার মতো ডকডো নিয়ে রচনা লিখে জমা দিতে। অন্যান্য কোরিয়ান ছাত্রদের মতো আমিও পারি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।
একইভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কি করণীয়, এটা নিয়েও ছাত্রদের মাঝে ক্যাম্পেইন হতে পারে, হতে পারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বা শাবিপ্রবি বা হাজী দীনেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা, স্কুল ছাত্রদের সৃজনশীল প্যারাগ্রাফ লেখানো। অনেক ভাবেই সচেতন করা সম্ভব!
পত্রিকার কিছু আলোচনাঃ
১। https://bit.ly/2VNSYEt
২। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৬