ভারত আমাদের ঠকাইছে, ঠকাইতাছে, ঠকাইবে।তারা আমাদের শত্রু। তাদের বিরোধে এখনি কিছু একটা করতে হবে।ভারতের সাথে কোন ভাল সম্পর্ক রাখা উচিত না। আমরা কেন তাদের চাটুকারিতা করব?
এই সব ডায়ালগ পড়লে মনের মধ্যে একটা জোস আইসা পড়ে , মন চায় সবার সাথে যোগ দিয়া আবার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করি ভারতের বিপক্ষে।(
কিন্তু জানেন তো ভাই অভারে সভাব নষ্ট হয়। পেটে ভাত না থাকলে তখন কেউ সংগ্রাম করতে চায় না।
আমার মতে ভারতের পেছনে লাগার কোন যুক্তি নাই।
স্বাধীন হইতে পারছি বলেই এখন আপনে-আমি ভারতের দোষের কথা ভাবতে পারতেছি।
"অনেক টা খাই পাতে হাগি" এর মত অবস্তা।:-*
এই টুকু পড়ে আমার পাঠকগন নিশ্চই দুই ভাগে ভাগ হইছেন তা আমি জানি। কারন দেশে মানুষের রাজনিতিতে আমি দুইটা দলই আছে মনে করি। আর তৃতীয় যেটা আছে বলে অনেকে ভাবতে পারেন, আমি তাদের পাকিস্তানের দল মনে করি। কেন করি তা ভাল করেই জানেন। না জানলে আওয়াজ দিয়েন, আমি যা জানি তা বলব।
এই বার পূর্বের কথায় আসি, আমি কিন্তু কোন পক্ষ নিয়ে কথা বলতেছিনা।
তাই কারই আনন্দিত হওয়ার কোন কারন নেই এই ভেবে যে 'আমার দলের আরেক জন পাওয়া গেল মনে হয়।'
আমি ভাই দল মত বুঝিনা, তবে নিজের তথা পরিবারের তথা দেশের ভাল চাই।
সবার ধারনাকেই সন্মান করি। যদি আমার কাছে মানার যোগ্য হয় তবে মানি। আমার বিশ্লেষন ই সর্ব উওম তা আমি বলিনা, তাতে ভুল থাকতে পারে আপনার দৃষ্টিতে। তাই ক্ষমা করবেন নিজ গুনে।
মানেন আর না মানেন এই টা সত্য যে ভারত ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধ অনেকটা হাতি আর মশার যুদ্ধের মত হইত।
আর এখন আবার যদি হাতি আর মশার যুদ্ধ শুরু হয় তবে কে আমাদের পাশে দাড়াইব? যে দাড়ায় সে ই তো শত্রু।(
আমার ও ভাই ভারতের প্রতি রাগ হয়।কিন্তু যখন ভাবি সকালের নাস্তা বানাতে আমার মত গরিব মানুষের যখন ভারতীয় পিয়াজ,রসুন,আদা,ডাল ছাড়া আর কোন উপাই নাই তখন আর গায়ে বল পাইনা।(
বাংলাদেশের মত এত ছোট একটা দেশে তারা এই গুলি না বেচলে কি তাদের অনেক ক্ষতি হইব না আমরা না খাইয়া মরব?
নদীর পানি কি আমাদের দ্বারা যুদ্ধ কইরা পাওয়া সম্ভব? না চাটুকারিতা?
কাছাকাছি বয়সের ভাই বোন দের মাঝে মারামারি একটু বেশি ই হয়। তাই বলে চাচাত ভাই কি আপন ভাই থেকে বেশী ভাল?
ভারতের দোষ তারা যুদ্ধের পরে লুট করেছে। বলি স্বার্থ ছাড়া আপনি-আমি কে চলে?
মায়ানমারের সাথে চিনের যুদ্ধ লাগলে স্বার্থ ছাড়া আপনি যবেন সাহায্য করতে?
আর আমি যদি যাই তাইলে বলবেন: এ... খাইয়া আর কাম পাওনা ,নিজের খাইয়া অন্যের খেতে ফসল ফলাও? কি দিব তোমারে তারা?
সব দোষ ভারতের, বলেন তো সিরাজউদ্দোলার সিংহাসন টা কই গেল? ১৯৪৭ সালে ১১টা
জাহাজ ভইরা ইংলেন্ডে কি গেছিল?
তখন আমাদের বীবেরা কই ছিল?
আর এখন ইংলেন্ড থেকে কেউ আমাদের দেশে আসলে সবই হুমরি খাইয়া পডে কেন?
তারা তো চোর, তাদের চৌদ্দ গোষ্টি চোর,ডাকাত।
বলি যে জাতি ভয়ে চোর কে গাল দিতে পারেনা, তাদের আবার অহমিকা নিজের প্রতিবেশির উপর।
ছোট থাকতে একটা গল্প পড়ছিলাম যেখানে, একজন মুসলমান, একজন হিন্দু, একজন খ্রীষ্টান আখ চুরি করতে যেয়ে ধরা খাওয়ার পর, খেতের মালিক কি ভাবে সবাই কে জব্ধ করে।
"মুসলমান আর হিন্দু কে বলে তোরা তো আমার ধর্মের বা ধর্মের কাছাকাছি কিন্তু খ্রীষ্টান টা চুরি কারল কেন তাই সবাই ধরে খ্রীষ্টান টাকে মারল।
পড়ে মুসলমান টা কে বলল তুই তো আমার ধর্মের তুই খাইলে কোন দোষ নাই কিন্তু হিন্দু টা খাইল কেন তাই দুই জনে মিলে হিন্দু টাকে মারল।
তার পর আর কি একটাকে মারা তো আর কঠিন কোন কাজ না।"
তাই চলুন ভারতের প্রতি বিদ্বেষ পোষন না করে বড় চোর দের চোর বলতে শিখি তার পর যখন সময় আসবে তখন না হয় নিজের আসল টা শুধ সহ নিব।
আগে বাংলার নবাবের সিংহাসন ভারতে আসুক তার পর দেখা যাবে উটা কার!!!!!
সেই সাথে আমাদের ও পাওয়ার বাড়াতে হবে কারন শেষ যুদ্ধটা তো ভারতের সাথেই করতে হবে।
তাই আমাদের একটু আধটু ক্ষতি মাইনা নিতেই হবে কারন তাদের পাওয়ার বেশি। আর সাথে এক চাটুকারিতা।
চাটুকারিতার ভাল একটা এপ্লিকেশন দেখাই:
আমার রচনার সেই তৃতীয় পক্ষ যারা কিনা বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের সাথে যোগদিয়ে বাঙালিদের বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আর নিজেদের পাওয়ার এর বিশাল পরির্তন করতে সক্ষম হয়েছে।
একটু চিন্তা করে দেখেন ভারত এত পাওয়ার কোথায় পায়?
ওম নম সিবা, ওম নম আমেরিকা।
তা আমরা করতে দোষ কোথায়?
আমার আঞ্চলিক ভাসায় এক টা কথা আছে: "আহুইত্তা কাড়ুলের মুলা বড়'
অর্থ টা অনেকটা এমন : খালি কলসি বাজে বেশি।
আমাকে ভারতের বা আ: দালাল ভেবে ভুল করবেন না