যেমন করে মুক্ত পাখি বন্দী করে খাঁচায় রাখে
সভ্যমানুষ! ব্যালকনিতে শখের বশে সাজায় তাকে
সেই পাখিটার অনেক অনেক আবার ওড়ার সাধ হলেও
ছোট্ট খাঁচায় তপ্ত ডানা, ভুলে সবই ঝাপটালেও
ওড়া কি হয়! বদ্ধ খাঁচায় আঘাত শুধু দুই ডানাতে
গুমড়ে মরে সেই পাখিটা, পারেনা তার সাধ জানাতে
অনেক বছর পরের কোন কাক ডাকা এক সকাল বেলায়
সভ্যমানুষ খুশী হয়ে আপন প্রিয়ার ষোড়শ কলায়
ঐ পাখিটার বন্দীশালার দোরটা হেসে খুলে দিল
সেই পাখিটা একপা দুপা হেঁটে খাঁচার বাইরে এল।
সকাল বেলার প্রথম আলো পাখির পালক দিল ছুঁয়ে
মিষ্টি হাওয়া আলতো করে চোখটা পাখির দিল ধুয়ে
অবাক করে মানুষটাকে সেই পাখিটা আলতো পায়ে
ঢুকলো আবার আপন খাঁচায়, সভ্যমানুষ রইলো চেয়ে।