কাহিনী সংক্ষেপ
পঁচিশে মার্চ ১৯৭১।
হলিক্রস কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মেহেরজান। পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সময় মেহের তার মা-বাবার সাথে আশ্রয় নেয় গ্রামে, নানার বাড়িতে।
নানা এককালে মুসলিম লীগের ডাকসাইটে নেতা ছিলেন। কিন্তু প্রগতিবাদী রাজনীতির সমর্থন করা ও কমিউনিস্টদের সাথে মিলেমিশে কাজ করার জন্য মুসলিম লীগের রক্ষণশীল নেতৃত্বের ষড়যন্ত্র আর প্ররোচনায় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্নপ্রায় তিনি।
নানার চার মেয়ে। বড় মেয়ে সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার দায়ে পাক আর্মি হত্যা করে বড় মেয়ের জামাইকে। বড় মেয়ের কন্যা নীলাকে পাক আর্মিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মেঝ মেয়ে ও তার ছেলে সামি, আমেরিকায় যার পড়তে যাবার কথা, যুদ্ধের ডামাডোলে নানার গ্রামে আশ্রয় নেয়। নানার সবচেয়ে আদরের ছোট মেয়ে মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ। সে বাচ্চাদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে।
বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এসে আশ্রয় নিতে থাকে নানার গ্রামে। আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে পলাতক একজন আহত বেলুচ সেনা নানার গ্রামে।
মূল গল্পের সময়কাল ১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে নভেম্বর ২২ তারিখ পর্যন্ত।
১৯৭১-এর পটভূমিতে একজন নারীর চোখে মুক্তিযুদ্ধকে আমরা কিভাবে দেখবো?
নারী, তার আত্মসম্মান খুঁজে পাবার লড়াই কিভাবে জারি রাখবে ত্যাগ ও ভালোবাসার ভেতর দিয়ে?
মেহেরজানের পক্ষে কি সম্ভব তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ দেশের জন্য উৎসর্গ করা?
এমন সব প্রশ্ন আমাদের দিকে ছুড়ে দেয় মেহেরজান।
“মেহেরজান” মূলধারার সিনেমার দর্শকদের জন্য উন্মোচিত করবে মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যায়।