মিন্টু মিয়া ছাগলরে মুড়ি খাউয়াইতাছে। এই ছাগলের নাম রাখছে সে ছনিয়া। সুন্দর নাম, হিন্দি ছবির নাইকাগো নামে নাম। 'ওই ছনিয়া ল খা' কইয়া ছাগলরে মুড়ি খাউয়াইতে তার ভাল লাগে। খয়রি রঙ এর জিহ্বা বাইর কইরা যখন ছনিয়া মুড়ি খায় তখন মিন্টু মিয়া ভাবে ছাগলে কি-না খায়? ছাগলে কিন্ন্যা খায়। মাথার মইদ্যে যখন হালকা একটা পেজগি লাগে তখন তার বাম পায়ের কাছে পইড়া থাকা ইটের টুকরা নিয়া পেপে গাছে ঢিল মারে। পেপে থিকা সাদা সাদা কষ গড়াইয়া পড়লে মিন্টু মিয়া ভাইবা লয় পেপের রক্ত সাদা। মিন্টুর দাদি ইদুবুড়ি নাকি কইতো, পরীগো রক্ত সাদা। মিন্টু এখনো পরী দেখে নাই, পরী দেখতে কেমুন কে জানে। পেপের রক্ত সাদা কিন্তু গায়ের রঙ সবুজ বইলা মিন্টু ভাইবা লয় পরী দেখতে সবুজ রঙ-এর। এইজন্য পরী দেখা সহজ না। গাছের পাতার লগে পরী মিশ্যা থাকতে পারে। ছনিয়া এখন জিহ্বা দিয়া মিন্টু মিয়ার লুঙ্গি টাইনা খাওনের চেষ্টা করতেছে। শালার ছাগলে কি-না খায়? শালার ছাগলে কিন্ন্যা খায়?
ছনিয়ারে মিন্টু খুবই আদর করে। মিন্টুর সব প্রেম ছনিয়ারে লইয়া। মিন্টু মিয়া শুধু বুঝতে পারেনা ছনিয়ার হাগা বড়ির মতো হয় কেমনে? দানার মতো গু আর কোন পশুর আছে কিনা মিন্টুর জানা নাই। একটা দানা হাতে তুইলা মিন্টু মিয়া মার্বেলের মতো মাইরা আরো কয়টা দানারে নিরিক কইরা মারে। "ওই মিন্টার বাচ্ছা হারামজাদা। ছাগলের গু ছ্যানতাছোত ক্যা? নাদি খাবি হারামির বাচ্চা?" মিন্টু মা আছিয়া চিৎকার কইরা উঠে। মিন্টু মিয়া ছাগল নিয়া বাড়ির উঠান থিকা বাইরাইয়া যায়।