"রাজনীতিতে শেষ বইলা কিছুই নাই। যেমন শেষ নাই সমুদ্রের জলরাশির, কিংবা নীল অথবা কাল মেঘে ঢাকা সুদীপ্ত আকাশের।" বাংলাদেশের ক্রিকেট হাটি হাটি কইরা বেশ আগাইয়া গেছিল গত কয়েকবছরে। এই খেলাটা ইন্টারন্যাশনাল হইলে ও আমাদের ইন্টারন্যাশনাল মানের কোন খেলোয়াড় আছিল না কয়েক বছর আগে ও। তয় একজন আছিলেন, মাগুরার অহংকারী সন্তান বইলা পরিচিত "সাকিব আল হাসান"। মাঝে মাঝেই বেফাস কথা বলা বা কাজকর্ম করা যার অভ্যাস আছিল। যিনি কিনা গত ৩ বছর ধইরা আই সি সি এর অল রাউন্ডার এর রাঙ্কিং এ নাম্বার ১ আছিলেন। আই পি এল এর মত বড় আসরে যিনি কিনা মোস্ট ভালুএবেল পেলেয়ার এর তালিকায় ৫ নাম্বার আছিলেন। ইংলিশ কাউন্ট্রি লিগ থেকে শুরু কইরা ছোট বড় সব আসরেই যার উপস্থিতি আছিল। তিনি মানেই আছিল বাংলাদেশ, তিনি মানেই আছিল ব্রান্ডিং। মাত্র ২৭ বছরেই কাড়ি কাড়ি টাকা আর সুন্দরী বউ আছিল যার পকেটে, যার হাত ধইরা এইদেশের ১৬ কোটি মানুষ আবেগে ভাসতো জয়ের আনন্দ।
সেই সাকিব আল হাসান 'সি পি এল' খেলতে চাইছিলেন, কোচের সাথে দেমাগি পার্ট লইছিলেন আর একটু বেশি দেমাগি হইয়া কইছিলেন, " দেশের হইয়া খেলুম না দরকার হইলে, তবু ও খেলতে দাউ আমায়"। আর যাইবে সে কোথায়? ঘাড় ধইরা এমন ঘুরলি দিল বি সি বি তারে যে টানা ৬ মাস ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক সহ সব ক্রিকেট খেলা তার জন্য "ট্যাবু" এবং দের বছর দেশের বাইরে লিগ ক্রিকেট খেলা ও নিষিদ্ধ। সে যেন নিসিদ্ধ পল্লীর নিষিদ্ধ কেউ।
একজন সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমি এই ঘটনার একটা ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছে এইভাবে,
।। আসলে গনতন্ত্র বইলা কিছু নাই দেশে, আছে ইমেজ তন্ত্র। যার শিকার আমাদের সাকিব বাবু।
।। পরিবারতন্ত্রের কাছে এখন ও সাধারণ জনগণ জিম্মি, আর তাই বিশেষ কিছু পরিবারের অপকর্মের বিচার চাওয়াটা অবাঞ্ছকর।
।। আমরা ইজি কাজে বেশি বিজি, আর তাই ম্যাক্রো আর মাইক্রো বিষয় কোনগুলো তা বুঝি না আমরা।
।। লবিং তন্ত্র এই সমাজে টিকে থাকার একমাত্র চাবিকাঠি।
।।সবশেষ, সাকিব কেন লঘু পাপে গুরু দণ্ড পাইল? কারণ সাকিবের মামা খালু নাই বোর্ড এ। পিয়ারে বুরদিয় এর শ্রেণীবিভাজন তত্ত্ব অনুযায়ী সাকিবের টাকা পয়সা বেশি হলে ও সাকিবের কালচারাল অরিজিন স্ট্রং ছিল না খান পরিবারের মত। আর তাই বলির পাঠা হইতে হয় শুধুই সাকিব আর আশরাফুলের মত social origin হিন মানুষদের।।
জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, জয়তু রাজনীতির ও পরিবারতন্ত্রের।