তসলিমা নাসরিন কে নিয়ে কিছু বলতে চাই না,শুধু এই লেখিকার একটা কথা উল্লেখ করতে চাই সঙ্গত কারণেই।
তিনি বলেছিলেন,
" কোন দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ যখন নষ্ট হয়, তখন সেই দেশে মানবতা বোধ বলতে কিছুই থাকতে পারে না।" ( ৭১ টেলিভিশন এ দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে)
ঠাণ্ডা মাথায় গত কয়েকদিন ধরে মান্না সাহেবের কর্মকাণ্ড ভাবলাম। আমার মত দেশের প্রতিটি ইট কাঠ বালুকণা ও হয়তো গত কয়েকদিন ধরে তার কথাই ভাবছে। সংবাদপত্র কিংবা টিভি চ্যানেলের রমরমা সংবাদের নাম এই মান্না সাহেব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার ৬০ লক্ষ ইহুদী মেরে যেভাবে নন্দিত কিংবা নিন্দিত হয়েছিল মান্না সাহেব আজকের বাংলাদেশে ঠিক তেমনটাই আলোচিত। হরতাল, অবরোধ, এস এস সি পরীক্ষা আলোচনা করার মত কোন ইসুই যেন না আজকের এই বাংলাদেশে।
একটাই রমরমা ইস্যু, " বুদ্ধিজীবী সমাজ কিংবা নাগরিক সমাজ"।
আহারে, বড় বড় ডিগ্রি ধারী ভারী ভারী কথার মানুষগুলোর জন্য মায়া হয় আমার। এদের মধ্যে কতিপয় কুলাঙ্গারের জন্য এরা এতটাই বেশি পচে গেছে যে ভবিষ্যতে কেউ বুদ্ধিজীবী হওয়ার সাহস দেখাতে যাবে না। অথচ, ১৪ ডিসেম্বের ১৯৭১, মুনির চৌধুরী, জহির রায়হান এর মত শত শত বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে জাতি এখন ও তাদের অভাব বোধ করে প্রগার ভাবেই।
আজকের বাংলাদেশের কি এমন পরিবর্তন এই বুদ্ধিজীবী সমাজকে এতটা বেশি বিতর্কিত করে ফেলেছে তা নিয়ে ভাববার সময় এসে গেছে।। এর পিছনে কি দায়ী পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা, কালো টাকা, না শ্রেণী বৈষম্য? নাকি যথাযথ আইনের শাসনের অভাব, কিংবা দুর্বল গণতান্ত্রিক কাঠামো? অদূর ভবিষ্যতে এদের নিয়ে নতুন কোন discourse হতে পারে কিনা সে বিষয়ে ও আলোচনা করা যেতে পারে।।
আজকের বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীরা কেন এত নষ্ট???? কে এদেরকে সৃষ্টি করেছে কার প্রয়োজনে ??
সর্বত্র আইনের শাসন, গূড গভারনেন্স, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার প্রয়োগ চাই আমরা, তা না হলে মান্না, বান্না, পান্না, কান্না দের মত হাঁটু ভাঙ্গা সুবিধাবাদী , দল কানা বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর বিকাশ ঘটতেই থাকবে ক্রমান্বয়েই ।