এসেছ এই ভুবনে স্রষ্টাকে সন্তুষ্টি করিতে
করছ সাধনা দিন-রাত অহর্নিশ, স্বর্গ সুখে যেতে
সময়মতো না করিলে নারীকে গ্রহন
নিমিষেই হবে সব সাধন- ভজনের ছন্দপতন
স্বপ্নময় সেই স্বর্গ সুখের পথটা কখনো সহজ নয়
পথটা হবে চারদিকে ঢাকা অন্ধকার কুয়াশাময়
তোমার চলার পথে আসিবে যখন কুয়াশা নেমে
কাপঁতে কাপঁতে, দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে যাবে ঘেমে
তুমি। ভয়ে কাঁপা শরীরে থাকবে থমকে দাঁড়িয়ে
নারীই দিবে তখন হাতটা তার তোমার দিকে বাড়িয়ে।।
তার আলোতে মুহূর্তেই কেটে যাবে সব আঁধার
খুলে যাবে শত জনমের স্বপ্নের সেই দোয়ার।
হাসিতে হাসিতেই স্বপ্নের স্বর্গ করিবে জয়
তার সনে হলে তোমার সত্যিকারের প্রেম- প্রণয়- পরিণয়।
কিন্তু স্বর্গ সেতো বহু দূরের কথা
সাধন-ভজন সব, সবই যে যাবে বৃথা
কাটবেনা একটুও পথে থাকা বাধা কুয়াশা অথবা আঁধার
সামনে এগিয়ে যাবার আলো পাবেনা একটুও ভেদ করতে আঁধার,
নারী পুরুষের সেই প্রেম-প্রণয়-পরিণয়
সত্য-সুন্দর না হয়ে মিছে যদি হয়।।
ভয়ভীতি আছে যত নারীর প্রাণ-মনে
মুছে যাবে সব পুরুষের উষ্ণ আলিঙ্গনে
জয় করিতে পারেনা যে যুদ্ধ ধারালো তরবারি
হাসিতেই জয় করে তা কোমল হৃদয়া সতী নারী।
দুনিয়া জুড়ে সর্বত্র, সর্ব মহলে
এজন্যই হয়তো ফকির-সাধকরা বলে
সৎ উদ্দেশ্যকে করিতে পূরণ
একজনের প্রয়োজনেই আরেকজন
ধরণীতে পাঠালেন প্রিয় দয়াময়
তাহাদের সাধন-ভজনের হয় যেন জয়।
.............
গল্পকবিতা নামক একটা ম্যাগাজিনের জন্য লেখাটি লিখেছিলাম। বছর খানেক আগের কথা। কিন্তু সেখানে ১৮ লাইনের কবিতা পাঠানো হয়েছিল। পরে সামহোয়ারইনব্লগ এ এটি পোস্টও করেছিলাম। তখন প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ আমার ছিল না। তাই রিপোস্ট করা।
নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩