বাবার পুরনো হাত ঘড়িটা আর চলছে না তাই অনেকদিন হল জানা যায়নি সমসাময়িক সময়। ঘরে একটাই ঘড়ি,সময়ের হিসেবটাও বড্ড সাদামাটা। এখন ঘড়ি নষ্ট, মিলিয়ে নিতে চাইছি হিসেব, মিলছেনা!
মা’র রেডিওটাও আজকাল আর ঠিক মতন কাজ করছে না। কখনও ব্যাটারি ফুরোয় তো কখনও খুঁজে পায়না ফ্রিকোয়েন্সি। যার জন্য দিন দিন সবকিছু কেমন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে চারিদিক থমথমে কোন প্রাণ নেই, জানা যাচ্ছেনা খবরের শিরোনাম, আবহাওয়ার পূর্বাভাস!
এতকিছুর পরও সময়ের হিসেব রাখা হচ্ছে পুরনো অভ্যেসে। মলিন জীবনে নতুন চুনকাম, শরীরে নতুন পলেস্তরায় খানিক রং মিশিয়ে মুছে ফেলতে চেয়েছি গতকাল, বাতাসে ভেসে আসে আবছা সুর, গুনগুন কলরব যার উপর অনুমান গণনা হচ্ছে আগামীকাল ; হয়তো এভাবে একদিন সব মলিনতা মুছে গিয়ে প্রলয় থেমে যাবে। হয়তো বাবার পুরনো হাতঘড়ি, মা’র রেডিও বদলে নতুন ঘড়ি, রঙিন টেলিভিশনে সব রঙিন হয়ে যাবে, আবহাওয়া নিয়ে কোন মাথা ব্যথা ই থাকবে না!
কিন্তু এই যে মরিচীকা, মনের ভ্রমের অদম্য চেতনা কিংবা অভ্যেসের তীব্র আকাঙ্খা বিষাদের ডালা সাজিয়ে মিশে গেছে জীবনের সাথে, সে মায়া ছেড়ে যাবো কোথায়? মায়া কেবল পোড়ায়, ছেড়ে যায় কি কখনও?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯