অণু কাব্য - ০১ , অণু কাব্য - ০২ , অণু কাব্য - ০৩ , অণু কাব্য - ০৪
অণু কাব্য - ০৫ , অণু কাব্য - ০৬
অণু কাব্য - ০৭
আমাদের দিন গুলো এখন অনেক ভালো যাচ্ছে। অণু তার অতীত আমার কাছে বলে এখন আগের চেয়ে আরো উৎফুল্ল, আমাকে আরো বেশি ভালবাসতে শুরু করেছে। অণুর বাবা মারা যাওয়ায় তাদেরকে কোয়াটার ছেড়ে দিতে হচ্ছে। অণুর পরিবার গ্রামে চলে যাবে আর অণু তার এক আন্টির সাথে থাকবে। কিন্তু আন্টির সাথে বেশি দিন থাকা হলো না। কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা রকম সমস্যা দেখা দিলো। একে তো যাতায়েত সমস্যা আবার অন্যদিকে খাবারে প্রবলেম। অণু অসুস্থ হয়ে পরতে লাগল। তাছাড়া সবচেয়ে বড় যে কারণটা ছিল, তা হচ্ছে- সেখানে ফরহাদ নামে এক বড় ভাই ওর সাথে রিলেশন করার চেষ্টা করছিল।
ও! আপনাদের একটা কথা বলা হয় নি। আমি অণুর মোবাইল থেকে দিনে কয়টা কল গেল বা কয়টা আসল সেটা কম্পিউটার এর মাধ্যমে দেখতে পারি।
একদিন অণুর কল লিস্ট চেক করে দেখতে পেলাম একটা অপরিচিত নাম্বারে প্রায় ১৫ - ২০ টা কল। আমি অণুর কাছে জানতে চাইলে ও আমাকে এভয়্যেড করে যায়। কিন্তু অনেক যোড়া-যড়ি করার পর তার ফর্হাদ ভাই এর কথা বলে।
আমি আর কিছু না শুনে তাকে শুধু বললাম, তুমি আর তার কল ধরবে না এবং কোন প্রকার কল দিবে না। আমি যেন তোমার কল লিষ্ট এ তার নাম্বার না দেখি। তুমি এ মাসের মধ্যেই আণিকাদের বাসায় উঠে যাবে। তোমার আর আন্টির সাথে থাকার দরকার নাই।
আচ্ছা বাবা, আমি মার সাথে কথা বলে, আগামী মাসে আন্টির বাসায় উঠে যাব। আমার পাখিটা আমাকে নিয়ে কত টেনশন করে। তুমি চিন্তা করো না, আমি সব গুছিয়ে নিব।
অণুর মা মেযের শরীর অসুস্থ, যাতায়েত প্রবলেম ইত্যাদি দেখে, আনিকাদের বাসায় থাকার অনুমতি দিল। তিনি নিজে এসে আনিকার মার হাতে অণুকে দিয়ে যাবে।
মাস শেষে অণূর মা, অণুকে আনিকার মার হাতে তুলে দিল। এখন সব আবার আগের মত চলতে লাগল। সাথে অতিরিক্ত হিসেবে যোগ হলো নেটে চ্যাট করা। আনিকার কম্পিউটার ফাকা থাকলে অণু আর আমি চ্যাট করি। এখন মনে হয় দূরে থেকেও আমরা অনেক কাছে। ভার্সিটি অফ থাকলেও আমি প্রতিদিন অণুকে দেখতে পারি, ওয়েব ক্যাম এর মাধ্যমে।
আমার কপালে কি আর সূখ সয়? কিছুদিন যেতে না যেতেই, জানতে পারি, আনিকা তাকে ভাবি বানাতে চায়। একদিন রাতের কথা-
অণু, আমাদের বাসা তোমার কেমন লাগে?
ভালো, তোমরা সবাই ভাল।
তোমাকে একটা কথা বলি, রাগ করো না। তোমার সাথে কাব্যকে মানায় না। প্রথমেতোম তোমরা একই ক্লাসে পর, ও কবে চাকরি পাবে, আর কবে বিয়ে করবে। তাছাড়া বয়স এরও তো একটা ব্যপার আছে তাই না? তোমার প্রয়োজন, আমার ভাই এর মতো একজন স্যাটেল ছেলে, যার টাকার সমস্যা নেই, থাকার সমস্যা নেই, যে তোমাকে সময় দিতে পারবে...
শোন, আনিকা, কাব্য আমাকে প্রচুর ভালবাসে, আর আমিও ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না। বয়স কোন ফ্যাক্ট না যদি মনের মিল থাকে।
না, তা ঠিক আছে কিন্তু তুমি ভেবে দেখতে পার, তুমি চাইলে আমার বাবি হতে পার। আমার ভাই কিছুদিন আগে নতুন অফিসে জয়েন করেছে, সেখান থেকে তাকে গাড়ি দিছে।
সেটা ভাল। আনিকা তোমাকে একটা কথা বলি, আমি কাব্যকে ভালবাসি। এর পরে প্লীজ তুমি আর কিছু বলো না।
যা করছ ভাল করছো। কিন্তু আনিকার এক বড় ভাই আঝে, আমি তো জানতাম না? আমি তো আনিকার ভাইয়ের সাথে কথা বলছি, ভয়েজ শুনে অনেক ছোট মনে হয়েছে। আর তুমিও তো আমাকে কিছু বলো নাই।
কথা উঠে নাই তাই বলি নাই।
আচ্ছা বাদ দাও, তুমি ওর ভাই এর কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবা। কথা কম বলবা।
তোমার এই একটা সমস্যা কিছু বললেই প্যানিক কর।
এখানে ট্যানিক এর কিছু নাই। আমার বউ এর সাথে অণ্য একচন লাইন মারবে আর আমি বসে বসে তা দেখবো, এটা কিবাবে হয়। আর তা ছাড়া আনিকা এটা বলার সাহস কিভাবে পায়? ও জান না আমি তোমাকে ভালবাসি?
হুম জানে, তাও বলছে। আমার ভবিষৎ চিন্তা করে বলছে। তুমি এগুলা মাথা থেকে বাদ দাও তো। আমিতো ঠিক আছি।
না তবু আমি ওকে ধরবো। ও কেন এই কথা বলছে?
দেখো তুমি এরকম কিছু করবে না। তাহালে আমি আনিকার কাছে খারাপ হয়ে যাব।
এই আমার ভাল লাগতেছে না। আমি ফোন রাখলাম, পরে কতা বলব।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১০