somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অণু কাব্য

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অণু কাব্য - ০১ , অণু কাব্য - ০২ , অণু কাব্য - ০৩ , অণু কাব্য - ০৪
অণু কাব্য - ০৫

অণু কাব্য - ০৬


যতই দিন গড়াচ্ছে আমার ভালবাসা অণুর প্রতি বেরেই চলছে। আমরা একে অন্যকে ভালভাবে বুঝার চেষ্টা করছি, একে অন্যের পছন্দ - অপছন্দ ভাল করে জানার চেষ্টা করছি। তবু কেন জানি না আজ খুব জানতে ইচ্ছে করছে অণু আমার মাঝে কি পেল, যে সে আমাকে ভালবাসতে শুরু করল? এর উত্তর জানার জন্য আমি অণুকে ফোন করলাম-

...
আচ্ছা অণু, তুমি আমার মাঝে কি দেখলা ভালবাসার জন্য?
আমি ঠিক তোমাকে বুঝাতে পারব না। তোমাকে প্রথম দেখেই আমার খুব আপন মনে হয়েছে। মনে হয়েছিল, তুমি শুধু আমার।
চাপা কম ছাড়ো। আচ্ছা বাদ দাও। আমার মাঝে তোমার কি ভাল লাগে?
তোমার চুল গুলো আর চোখ। তুমি যে ভাবে আমার দিকে তাকাতে মনে হতো কত কিছু বলতে চাও তুমি।
এই, আমি ফুলে গেছি, আর ফুলাতে হবে না।
আচ্ছা আমি তো বললাম। তোমার কি আমার বাল লাগে। এবার তুমি বল আমাকে তোমার কেন ভাল লাগে?
আমি বলতে পারব না। পরে শুনো।
না। আজই।
বলছি তো পরে একদিন বলব।
না। তুমি আজই বলবে।
আচ্ছা ঠিক আছে, বলছি। তোমার চোখ দুটি আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। এছাড়া তোমার মুখে এক প্রকার মায়া আছে। তোমার মুখের দিকে তাকালে আমার সব রাগ পানি হয়ে যায়। তুমি জানো কিনা জানি না। তোমার উপর কারো যতই রাগ থাকুক না কেন, তুমি একবার হাসি মুখে তাকালে তার সব রাগ-অভিমান পানি হয়ে যাবে।
তাই না?
হুম তাই।
জানো আমার বাবাও একই কথা বলতেন।
থাক এখন আর তোমার বাবার কথা মনে করার দরকার নাই।
আচ্ছা কাব্য তুমিতো কখনো আমার পরিবার সম্পর্কে বা আমার অতীত সম্পর্কে জানতে চাইলে না।
তোমার পরিবার সম্পর্কে আমি হালকা পাতলা জানি। আর তোমার অতীত সম্পর্কে আমার জানার কোন আগ্রহ নেই।
না থাক। আজ আমার বলতে ইচ্ছে করছে, আমি আজ সব বলব। আমার বাবা আর্মি তে কাজ করতেন, কয়েক মাস আগে তিনি মারা যান। এখন মা, আমি আর ছোট বোন এক সাথে থাকি। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই। তোমার সাথে রিলেশন এর আগে রাহুল নামারে একটি ছেলের সাথে আমার রিলেশন ছিল। ও আমাদের আত্বীয় ছিল।
আচ্ছা এখন বাদ দাও। আমার আর শোনার ইচ্ছা নাই। রিলেশনতো এখন আর নাই। ছো এইটা নিয়ে আলোচনা করার দরকার নাই।
না! আছে। ওকে কেন ছাড়লাম তুমি জানবা না?
না! আমি জানতে চাই না।
না! আমি তবু বলব। আমি ওকে প্রচুর ভালবাসতাম। একদম অন্ধের মত। ও যদি দিনকে রাত আর রাতকে দিন বলত আমি তাই বিশ্বাস করতাম। ওর সাথে রিলেশন ভাঙ্গার মূল এবং প্রধান কারন হচ্ছে, আমি কাউকে কিছু নিষেধ করার পর কেউ সেটা বার বার করলে আমার ভাল রাগে না। আমি ওকে যে কাজটা নিষেধ করতাম ও ঐ কাজটাই বেশি করে করত। ও কখনোই আমার কথা শুনতো না। আমি ওর কাছে কখনোই কিছু চেয়ে পাই নি। ও নানা ভাবে ছলনা করে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে গেছে। ওর জন্য আমি আমার বাবা-মাকে ও অনেক মিথ্যা বলছি। ওর ডেস্টিনি করার জন্য আমি ওক টাকা দেই। এর জন্য আমি বাসায় অনেক কালার হই। বাসার কেউ ওকে দেখতে পারে না। তারপরও আমি রিলেশন টিকিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারি নাই। বাসার চাপ, তার চেয়ে বড় হচ্ছে ওর ছলনা আমার চোখে আর বেশী দিন পর্দা দিয়ে রাখতে পারেনি। আমি ওর সাথে সর্ব প্রকার রিলেশন ত্যাগ করি। ও এখনো আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দেয়, আমি রিসিভ করি না। আমি আর কখনো ওর জীবনে ফিরে যাব না।
আচ্ছা রাহুল এখন কোথায় থাকে?
আমি সঠিক জানি না। তবে যতদূর জানি ও বিদেশ চলে গেছে। তুমি চিন্তা করে দেখ কাব্য, এখনো সময় আছে। তবে একটা জিনিস মনে রেখ- আমি কখনোই ওর কাছে ফিরে যাব না। তুমি অনেক ভাল, আমাকে বুঝার চেষ্টা কর, আমার কথা শোন, আমি তোমাকে ভালবাসি। কিন্তু তুমি যদি এখন এই কথা শুনে রিলেশন ব্রেক কর, আমি কষ্ট পাব না। তুমি আমার চেয়ে অনেক ভাল মেয়ে ডিজার্ভ কর।
মানুষ অনেক কিছুই পিজার্ভ করে, সব কি সে পায়। আর আমি তোমাকে আগেই বলেছি, তোমার অতীতে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি তোমার বর্তমান এবং ভবিষৎ। তুমি শুধু আমাকে বল, তুমি তোমার অতীত ভুলে বর্তমান আর ভবিষৎ এ আমার সাথে খুশী মনে থাকতে পারবে কিনা্?
হ্যা পারব। তুমি অনেক ভাল কাব্য।
বাছ। এখন থেকে আরা কোন পুরোন কথা হবে না। এই শোনো, রাত হইছে খাইতে যাও। কাল ক্যাম্পসে দেখা হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে। আই লাভ ইউ কাব্য।
আই লাভ ইউ টু টুনটুনি।
[আমি অণূ কে ভালবেসে টুনটুনি বলে ডাকতাম।]
বায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×