somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিংকর্তব্যবিমুঢ় বা পুরাই আবুল হইয়া গেলাম(রম্য)

০৯ ই মে, ২০১১ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্কুলে থাকতে ইংরেজী স্যার কে বাঘের মতো ভয় পেতাম!!!সেই বাঘের মতো ভয় পাওয়া স্যার newspaper রচনা টা পড়া দিলেন। সারারাত(২ ঘণ্টা)ধরে পড়ে newspaper রচনাটা মুখস্ত করলাম।যাকে বলে মুখস্ত,কণ্ঠস্থ।পরদিন স্কুলে গিয়ে ফুল কনফিডেন্স নিয়ে লিখলাম।লেখার সময় মনে মনে বলতে লাগলাম দেখি স্যার আজকে ক্যামনে ভুল ধরে!!!প্রতিদিন মারে পড়া না পারার জন্য।আজকে পারলে মারুক তো!!!স্যারের কাছে খাতা জমা দেওয়ার ৩ সেকেন্ডের মধ্যেই স্যার ভুল আবিষ্কার করলেন।বললেন,
newspaper বানান ই তো হয় নাই! News আর paper এর মাঝে ফাঁকা জায়গা কেন?(অনেক টা news paper এই রকম)।
আমি বললাম,”ফাঁকা তো কি হয়েছে?অর্থ ঠিক থাকলেই হইল”।
স্যার বললেন,অর্থ কিভাবে ঠিক থাকে?আচ্ছা একটা কাগজে “দেমাগী লেখ”।
আমি লিখলাম।
স্যার বললেন এর অর্থ কি?
আমি বললাম-যে মেয়ের অহংকার বেশী।
এইবার বললেন-“দে” এক জায়গায় আর একটু ফাঁক রেখে “মাগী” লেখ!অর্থ ঠিক আছে?


তখন আমার মাথায় এই ব্যাপার টা একদম ই আসল না যে,একটু পর স্যার আমাকে মারবেন।বরং স্যারের এই ধরনের উদাহরন দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় বা পুরাই আবুল হইয়া গেলাম!


কিংকর্তব্যবিমুঢ় – বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কঠিন শব্দ।কিন্তু এখন এই শব্দ টি আর ব্যাবহার করা হয় না।বর্তমানে এর সহজ বাংলা হল “পুরাই আবুল হইয়া গেলাম” বা তব্দা খায়া গেলাম!!!!আসলেই মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে,পুরাই আবুল হইয়া যেতে হয়।কখনো নিজের দোষে কখনো বা অন্যের কারনে---


এলাকার এক ছোট ভাইরে খুব দরকার।ফোন দিলাম।কিন্তু সে ফোন ধরে না।ধরে নাতো ধরেই না।২ ঘণ্টা পর আসল আমার কাছে। আমি বললাম-
-কি ব্যাপার তুমি ফোন ধরলা না কেন?
ও বলল-ভাই,আমি একটু বাজারে গেসিলাম,মোবাইল প্যান্টের পকেটে ছিল।
-প্যান্টের পকেটে থাকলে বুঝি ফোন ধরা যায় না?!আর মানুষ তো একটু পর হইলেও দেখে যে কেউ ফোন দিছে কিনা?তখন কি তুমি আমার মিস কল দেখো নাই??
-ভাই,আপনে ভুল বুঝতাসেন।আমি লুঙ্গী পইরা বাজারে গেসিলাম।প্যান্ট বাসায় ছিল।সেই প্যান্টের পকেটে মোবাইল ছিল!! মনে মনে বললাম শালার!!!আবুল কি আর গাছে ধরে!(ওর কথা শুইনা আমি সত্যি তব্দা খায়া গেলাম)।এইটাই হইল অন্যের কারনে আবুল হওয়া।তবে নিজের দোষে যে আবুল হইনা তা না।মাঝে মাঝেই হই।এর পিছনে কারন অবশ্যই আমার বেশী বোঝার প্রবনতা।একবার মার্কেটে ঢোকার সাথে সাথে শুনি এক মেয়ে কাঁদছে।কখনো আস্তে কখনো উচ্চ স্বরে,সুরে সুরে।যেই দোকান থেকে সাউন্ড আসছিল সে দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কান্দে কে?দোকানদার বলল, “ওই মিয়া মজা লন?ক্যাডায় কানব?হৃদয় খান এর গান বাজতাসে”/:)/:)/:)।(আবার ও আবুল)।এক ফ্রেন্ড রে ফোন দিয়া কইলাম “কিরে দোস্ত কই তুই”??ও বলল,খাড়া মামা তুই যাইছ না,সুমি(গার্লফ্রেন্ড)র লগে কাম শেষ।ওরে বাসায় দিয়া আমি আইতাছি!!!এইবার পুরাই তব্দা খায়া গেলাম।বলল টা কি??কাম শেষ মানে?সুমিরে তো ভালো মেয়ে জানতাম(আবার আবুল......)তবে এখানে দোষ আমার।ফ্রেন্ড আসলে বুঝাতে চেয়েছে একটা(কেনাকাটা সংক্রান্ত)কাজে ওরা বাইরে ব্যাস্ত ছিল,সেই কাজ শেষ। আর আমার মনে ছিল অশ্লীলতা তাই তব্দা খাওয়া।জাতি আজ এক কঠিন লগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে।দিন যাচ্ছে আর ভুদাই এর সংখ্যা বাড়ছে।জাতীর আবুল হওয়া কমে না!!!

আস্তিক না ওরা নাস্তিক,ওই জিজ্ঞেসে কোনজন
কাণ্ডারি বল হইতেছে আবুল সারা বাংলার পোলাপান”।

ভার্চুয়াল জগতের ব্যাপক বিস্তারের কারনে এই পালে আরও জোর হাওয়া লেগেছে!!একজন ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিলো-“জুমার নামাজ পরতে গিয়া আমার জুতা জোড়া হারায়া গেল”।(আপনাদের কাছে কি অবিশ্বাস্য লাগছে??আরে যেখানে পান থেকে চুন খসলেই পোলাপাইন স্ট্যাটাস দেয় সেই খানে তো এইটা বহুত বড় ব্যাপার)।তো আমি ওরে সান্ত্বনা দিলাম আর কমেন্ট করলাম,“থাক মামা কান্দিস না।তোরে আমি একটা ভার্চুয়াল জুতা দিলাম”।ওই ফ্রেন্ড রিপ্লাই দিল-“ধন্যবাদ”।তখনি মুলত আমি আবুল টা হইলাম।আমি দিলাম ওরে জুতা আর ও সেই জুতা খাইয়া কয় “ধন্যবাদ”।কলির কাল চইলা আসল।জুতা খাইয়া যদি কেউ ধন্যবাদ দেয় আর সেই কারনে যদি আমার নিজেরে আবুল আবুল লাগে তাহলে এই দোষ নিশ্চয়ই আমার না?নাকি আমার??জাতীর বিবেকের কাছে আজ এই প্রশ্ন রেখে গেলাম।




উপরুল্লেখিত সকল ঘটনা সত্য।২-১ টি বাদে সবগুলু ঘটনাতেই আমি সম্পৃক্ত ছিলাম।আর যে ২-১ টিতে আমার উপস্থিতি ছিল না,শিরোনাম এবং বর্ণনার প্রয়োজনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে একটু এদিক ওদিক করে বর্ণনা করলাম।
এখন একটা লিঙ্ক দিচ্ছি।আমার প্রথম লেখা এবং অবশ্যই রম্য।বড়(১৭+)দের জন্য।হিট খোর ব্লগার তো তাই শুধু লিঙ্ক দিয়া বেড়াই। Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৪৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×