somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহকে খুশি করার জন্যে এ কাজটিও করে দিন

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে অনেক স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় সাধারন শিক্ষক এমনকি কোনো কোনো সময় অমুসলিম মহিলা টিচাররাও কোরআন, হাদীস, দোয়া,মাসআলা ইত্যাদির ক্লাস নিয়ে থাকেন। অথচ বৃটিশ ও পাক আমলেও প্রতি স্কুলে মাওলানা স্যার নামে আলাদা টিচার ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে এ পদবীটি এখন আর নেই।

অথচ দেশের ৭০ হাজার (বর্তমান ঘোষণায় ৯০ হাজার)প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯০ হাজার কওমী আলেম ধর্মীয় শিক্ষকরূপে নিয়োগ দিলে আগামী দিনের শিক্ষিত প্রজন্ম দীনি শিক্ষার ভিত্তির উপর গড়ে উঠতো।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘ সরকার দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
(প্রথম আলো : ২১ জানুয়ারি, ২০১০)

দুঃখজনক হলো, প্রাইমারি স্কুলে ক্রীড়া ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা এলেও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কোনো উদ্যোগ নেই। অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তরিক পদক্ষেপ নিবেন বলে আশাকরি।

দেশের সরকারি কলেজগুলোতে মালি, সঙ্গীত শিক্ষকের পদ আছে কিন্তু হাজার হাজার ছাত্রদের জন্য মসজিদ থাকলেও নেই ইমামের পদ। ঝাড়ুদারের চেয়েও ইমামের বেতন থাকে কম। ৩০ বছর সরকারি কলেজ মসজিদে ইমামতি করেও অবসরে ফিরতে হয় খালি হাতে। ৯০ ভাগ মুসলমানের টেক্সের টাকায় একটি কলেজে শত শত শিক্ষক কর্মচারির বেতন দেয়া গেলে ইমামের বেতন কেন নয়?

কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংবর্ধনা’ যদি দেওয়াই হয় তাহলে সে অনুষ্ঠানে যেন সরাসরি এ দুটো বিষয়ে সরকারের বাকি দিনগুলোর মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করা হয়।

স্বীকৃতি দিতে রাষ্ট্রের টাকা লাগে না। কিন্তু দাওরা পাসের মাস্টার্স স্বীকৃত এ শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে টাকা লাগে। অর্থ খরচ ছাড়াই স্বীকৃতি দিয়ে ‘শুকরিয়া’ নেওয়াটা তখনই জনগণের কাছে তখনই ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা পাবে, যখন স্বীকৃতির পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দাওরা (মাস্টার্স) ডিগ্রিধারীদের এ খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইমামদের সরকারি স্কেলে বেতনের ব্যবস্থা করলেই প্রমাণিত হবে যে তিনি সত্যিকার অর্থেই ইসলামের খেদমত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চান।আল্লাহ তাওফীক দান করুন, আমীন।

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×