বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যৎ এই তিন সময় নিয়েই মানুষের জীবন। এর মধ্যে বর্তমানটা প্রত্যক্ষ হলেও ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা ভাবি। আর ভুলে যাই অতীত, কিংবা মনে রাখি কখনো কখনো। কিন্তু অতীতকে কি ভুলে যাওয়া যায়, কিংবা যেতে আছে! অতীত হলো আমাদের শেকড়। তাই অতীত আমাদের জীবনে চলার পথে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে কখনো ভালো আবার কখনো ভয়াবহ খারাপ।
বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনে অতীতকে টেনে নিয়ে আসা মানে খাল কেটে কুমির ডেকে আনা। তাই দাম্পত্য জীবনে অতীতকে টেনে না নিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অতীতের কথা মানে বিশেষত অতীতের প্রেমের কথা জীবন সঙ্গীর সাথে শেয়ার করায় ৪৫ শতাংশ দম্পতি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থাৎ দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়েছে। আর ১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই যেচে কলহ বাঁধানোর দরকার আছে কি!
মানুষের জীবনে প্রেম ভালোবাসা আসতেই পারে। সব প্রেমতো আর সফলতা পায়না। আর একাধিক প্রেমতো নয়ই। একপাক্ষিক প্রেমও থাকে অনেকের জীবনে। থাকতে পারে ভালো লাগাও। বিচিত্র জীবনে কত কিছুইতো ঘটে। সব কথা কি প্রিয়জনকে বলা ঠিক, নাকি বলা যায়! অনেকেই ভালোবাসার আতিশায্যে গড়গড় করে অতীতের সব কথা বলে দেন। আর ভাবেন এতে মনে হয় আপনার দামটা বাড়লো। কিংবা এতে সর্ম্পকটা আরো ভালো হবে। কিন্তু এতে হীতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এবং প্রায় ক্ষেত্রে এমনই ঘটে। আর এই বিষয় নিয়ে আপনাকে কথা শোনাতেও কিন্তু সে ছাড়বে না।
সুযোগ পেলেই এ নিয়ে ঝামেলা বাধাবে। যে কথাগুলো বললে সংসারে ঝামেলা বাধবে সে কথাগুলো বলার কি দরকার! যদি একান্তই বলা লাগে সে ভিন্ন ব্যাপার। সে ক্ষেত্রেও নিজেকে যতটা নিরাপদ রাখতে পারেন ততই ভালো।
সবার মন মানসিকতা এক নয়, আপনি সহজ মনে একটা কথা বললেন অথচ যাকে বললেন তিনি বাজে ভাবে নিলেন, তখন ব্যাপারটা কেমন যেন জগাখিঁচুড়ি হয়ে গেল না! তাই অতীতের প্রেম বিষয়ক কোন কথা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আলোচনা না করাই ভালো।
তবে এ কথাও ঠিক অতীত স্মৃতিচারণ করতে আমাদের ভালোই লাগে, মুহূর্তে হারিয়ে যাই অনেক আগের দিনে। তাই যে স্মৃতি আমাদের আনন্দ দেবে সেই স্মৃতিকেই স্বাগত জানান। ভুলে যান অহেতুক বিদ্বেষ বাধানো অতীত। আর সবচেয়ে বড় কথা এমন অতীত না থাকায় শ্রেয়, যে অতীত দাম্পত্য কলহ বাধায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৮