somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ariyanhasan

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্পটা আমার এক খালুর। দশ বারো বছর
আগে কোন এক আড্ডায় তিনি গল্পটা
করেছিলেন। ঘটনাটা সেভাবেই তুলে
ধরছি.... তখন খালু মাত্র নতুন গাড়ী
কিনেছেন। সময় সুযোগ পেলেই এদিক
সেদিক বেড়াতে বের হোন। সেইবার
তিনি তার এক পুলিশ বন্ধুকে সাথে নিয়ে
ঢাকার বাইরে কোথায় যেন বেড়াতে
গিয়েছিলেন। সারা দিন বেড়িয়ে বেশ
রাত করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া
হয়।
ড্রাইভিং করছিলেন খালু নিজেই, আর
পাশে বসা ছিল তার বন্ধু। রাত তখন ৩টা
কি ৪টা বাজে। ঢাকার কাছাকাছি চলে
এসেছেন প্রায়, আশুলিয়া পার হচ্ছেন।
গ্রীষ্মের রাত ছিল বলে চারদিকে
পরিষ্কার মৃদুমন্দ বাতাস বইছিল, হালকা
চাদের আলো ছড়িয়ে ছিল প্রান্তর জুড়ে।
গাড়ী তখন আশুলিয়া ব্রীজের উপরে
উঠেছে। হঠাৎ মনে হল গাড়ীটা যেন
নিকষ কালো এক অন্ধকারে ডুকে গেল।
চারদিকে গাঢ়ো ধূসর কুয়াসা। কিছুই
দেখা যাচ্ছে না।
তারা হতভম্ব হয়ে গেল। বুঝে পেলেন না
গরমের ঋতুতে হঠাৎ এই কুয়াসা এল কোথা
থেকে। এতক্ষনতো চারদিক চাদের
আলোয় ঝলমল করছিল!! সেই আলোয়
দূরদূরান্ত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। কি হবে
তারা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ভয়ের
একটা শীতল স্রোত তাদের গা বেয়ে
নেমে গেল। মনে হল এক্ষুনি বুঝি গাড়ীটা
পানিতে পড়তে যাচ্ছে!!!
খালুর বন্ধু খালুকে সাহস দিলেন। বললেন
আপনি যেভাবে গাড়ী চালাচ্ছিলেন
ঠিক সেভাবেই সোজা চালিয়ে যান।
ডানে বামে যাবার কোন দরকার নাই।
সেই সাথে তারা দুজনেই ছোটবেলায়
শেখা সব রকম দোয়া দরুদ অনর্গল পড়তে
থাকলেন। এভাবে বেশ কিছু ক্ষন চলে
গেল। আল্লাহর অশেষ রহমতে এক সময়
দেখলেন তারা কুয়াসা ভেদ করে
আলোকিত জায়গায় চলে এসেছেন।
কোথায় কুয়াসা!!! পিছন ফিরে তাকাবার
আর সাহস হয় নাই। কিন্তু এক বিন্দু
পরিমান কুয়াসা আশে পাশে নেই।
রুদ্ধ শ্বাসে গাড়ী ছুটিয়ে ঢাকা এসে
তবেই হাফ ছেড়ে বাচলেন। সৃষ্টি
কর্তাকে ধন্যবাদ দিলেন যে তারা বেচে
আছেন আর পানিতে পড়ে জীবন্ত সমাধি
হতে হয়নি। ঘটনাটা পরবর্তীতে তিনি দুই
একজনের সাথে আলাপ করেছিলেন।
তারা বলল জায়গাটা নাকি খারাপ!!!
এরপর আর কখনই তিনি রাত বেশী হয়ে
গেলে ঐ পথ দিয়ে ফিরতেন না। অনেক
খানি ঘুরে হলেও বাড়ী ফিরতেন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×