কী বিভৎস এইসব ছবি! মানুষ ক্যামনে মানুষরে জানোয়ারের মতোন পিটায়া মারে! রাজনীতির নামে এমন ঘটনাগুলান ঘটেই চলে আর আমরা বাংলাদেশের নেংটামারা লোকগুলান ঘরে বইসা আহআ উহু কইরাই শ্যষ করি। কে মরলো? সইেডা তো বড় কথা হইবার পারে না। সবার আগে যে মরলো তার পরিচয় তো মানুষ। এইডা আমরা ক্যামতে ভুইলা যাই। হ আমরা ভুইলা যাই। আমরা ভুইলা যাই বইলাই আউজকা বারবার এইসব ঘটনা ঘটে। আমরা ভুইলা যাই কারণ নীতি আদর্শ নয়, আমগোর রাজনীতির টার্গেট গদি আর নিজেগো পেটপুরণ। এই হত্যাকাণ্ডটা না হইলে কি আমগো ধানসিঁড়ি আর ইসলামী ছাত্র শিবির এমন কইরা ব্লগাইয়া তাগোর তথাকথিত এছলামী আন্দোলন আর বিরোধী পক্ষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলনের চেষ্টা করবার পারতো? এইডাই তো হেগো লাভ। এমনে কইরাই তো আমগোর সব দলগুলান রক্তের রাজনীতি চায়।
ধানসিঁড়িরা অহন পিটাইয়া মানুষ মারনের লাইগা আওয়ামী লীগের মুণ্ডুপাত করতাচে। তা করণটা দোষের না। কারণ এমনে মানুষ মারা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ না। কিন্তু আরো মনে রাখন জরুরী, যারা এই মায়াকান্না করতাছে, তাগোর দৃষ্টিতে এইসব হত্যাকাণ্ডগুলান আসলে দলের এক্সপোজার করা ছাড়া আর কিছু না। ধানসিঁড়ি কন তো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলি এলাকায় যখন দুই বছর আগে আপনাগো ইয়ার দোস্ত ছাত্রদলের পোলাপাইনেরা আপনাগো এক সাধারণ কর্মীরে রাস্তার ওপর রাইখ্যা ইট দিয়া থ্যাঁতা কইরা দুই মাস ভোগানার পর মাইরা ফালাইছিলো, তখন কি আপনারা অ্যামনে ঘৃণা জানাইছিলেন। আপনাগো কর্মীরে মারলো, আওয়ামী লীগরে ঘৃণা জানাইতাছেন আর একই কারণ থাকার পরেও ছাত্রদলের লগে এক মঞ্চে সমাবেশ করতে আপনাগো কুন লজ্জা শরম লাগেনা। ক্যান? কারণ আপনারা তো আসলে এছলামী আন্দোলন করেন না। আপনাগো লক্ষ্যও বিএনপি জামাতের থেকে আলাদা কিছু নয়। আপনাগো লক্ষ্যও লুটপাট আর সেইডা আরো বিপদজনকভাবে ধর্মের নাম ভাঙায়া। তাই আপনাগো কর্মী মইরা গেলে আপনারা শোকাহত হওনের ভান করেন।কিন্তু আসলে খুশি হন কারণ রক্তের রাজনীতি পোস্টার ছাইপা আপনেরাই বেশি করতে ভালোবাসেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



