ভেঙে পড়ার মুহূর্তে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনার সাতটি উপায়
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
যদি মনে হয় ভেঙে পড়ছেন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার আর শক্তি অবশিষ্ট নেই, তবে বিশেষজ্ঞের সাতটি পরামর্শ নিন। এই পরামর্শ আত্মস্থ করতে পারলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ফিরে আসবে। আবার মাথা তুলে দাঁড়াবেন আপনি।
১. নিজের ওপর বিনিয়োগ করুন
আপনি এমন এক সম্পদ যার ওপর বিনিয়োগ করলে তা আরো মূল্যবান হয়ে উঠবে। যখন মন ভেঙে যাবে তখন নিজের জন্য কিছু করুন। নতুন কিছু নিয়ে আসুন নিজের জন্য। প্রযুক্তির ভক্ত হলে ভালো মানের কোনো ট্যাব বা মোবাইল কিনুন। এতে ধামাচাপা পড়া প্রাণশক্তির উত্তরণ ঘটবে।
২. নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী
নিজের ভেতরের সত্তবাকে নিজের প্রতিযোগী হিসেবে নিন। ওই ভেতরের মানুষটি বেশি করতে পারে না আপনি তা দেখুন। দুই সত্তার উত্থান একযোগে আপনাকে টেনে তুলবে। দ্বিগুণ বেগে ধাবিত হতে পারবেন। নিজের বিশেষ দক্ষতা বা সামর্থ্যকে বের করে আনুন। তার প্রয়োগ ঘটান এবং চর্চা করুন।
৩. নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন
নেটওয়ার্কিং দারুণ কাজ দেবে। মানসিক অবস্থার চরম অবনতির সময় যদি বন্ধুর দেখা পান তবে সময় ভালো যাবে। তা ছাড়া মন খারাপের বিষয় থেকে মনযোগ সরে যাবে। ভালোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাবেন। এ সময় আপনি দীর্ঘ বা স্রেফ সময় কাটানোর মতো সম্পর্কে জড়াতে পারেন।
৪. ব্যর্থতা শুধু ব্যর্থতাই নয়
ব্যর্থতা আসবেই। এর মাধ্যমে যেকোনো কাজ সঠিকভাবে করার পথ খুঁজে পাওয়া যায়। একেবারে যারা নিখুঁতভাবে কাজ করে অভ্যস্ত তাঁরাও ব্যর্থ না হয়ে পারেন না। তাই ব্যর্থ হলে তাতে দমে না গিয়ে ভাবুন, কোথাও ভুল জানতেন আপনি এবং তা ঠিক করলেই হয়ে যাবে।
৫. একদিন একটি ইতিবাচক চিন্তা
প্রতিদিন অন্তত একটিবার ভালো কিছু ভাবুন। এই একটি ভাবনা আপনাকে ভালো কিছুর পথ দেখাবে। আপনি উৎসাহীত হয়ে উঠবেন। একটি ভালো ভাবনা পথ থেকে একটি করে বাধা দূর করে দেবে।
৬. ছুটি নিন
এমন চাপের মুহূর্তে একদিন ছুটি নিতেই পারেন। এতে মাথা ঠাণ্ডা করে চিন্তা করতে পারবেন। কেন এগোতে পারছেন না বা পরিস্থিতি নিয়ে কী কী ভুল ধারণা রয়েছে তা বের করে ফেলতে পারবেন। মস্তিষ্ক ও মনকে ঠাণ্ডা করতে একটি ছুটি খুবই জরুরি।
৭. 'যা হয় হবে' ভেবে নেওয়া
যার যার মানসিক চাপের একটা সীমা থাকে যখন আর সে তা সহ্য করতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে পৌঁছে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। হয় সে নিয়ন্ত্রণ হারাবে বা ভেবে নিতে বাধ্য হবে যে যা হয় হোক। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পন্থাটি খুবই কাজের। পারলে আরো আগেই এই পথে যান। তাতে অন্তত দুশ্চিন্তমুক্ত হবেন। সূত্র : ইন্টারনেট
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা
ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।
মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিল্টন সমাদ্দার
অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন