একজন বিমানবালার গোপন 'স্বীকারোক্তি'
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
জলজ্যান্ত বিশাল একটি বিমান স্রেফ গায়েব হয়ে গেলো। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭ বিমানের নিখোঁজ রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। কী ঘটেছিলো তা একমাত্র বিধাতাই বলতে পারেন। প্রতিনিয়ত আকাশ পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার বিমান। তারা নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে গন্তব্যে। কিন্তু ৩৫ হাজার ফুট ওপরে বিমানগুলোর মধ্যে আর কী কী ঘটে তার কোনো কাহিনী আমরা জানতে পারি না। অনেকের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। তবে এখানে একজন পেশাদার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার বয়ান করেছেন। তাঁর এই বয়ানকে ফক্স নিউজ শিরোনাম করেছে 'কনফেশনস অব এ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট'।ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বিটি জানান, হাসি মুখে যাত্রীদের প্রয়োজন মেটানো এবং বিনিময়ে যাত্রীদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ থেকে ধন্যবাদ পাওয়াটাই বাস্তবতা নয়। বিমান হারানোর ভয়ংকর ঘটনার পর থেকে যখন একটি ফ্লাইটের সব যাত্রী যখন দুশ্চিন্তা নিয়ে আকাশ পাড়ি দেন, তখন সেই পরিবেশে কাজ করা যে কতটা দুরূহ তা বলে বোঝানো যাবে না।বিটি বলেন, বিমানে যাত্রী বলতে নেই কিন্তু তা পাড়ি দিয়েছে এমন ঘটনা বিরল। একটি স্টিল ট্রেতে করে খাবার নিয়ে দুই-একবার গুটিকয় যাত্রীর কাছে যাওয়া আর টেক অফের জন্য বসে থাকা। এ ধরনের ফ্লাইট কখন শেষ হবে তার অপেক্ষায় থাকতে হয়।পরের অত্যাচারটি আসে বিমানের শব্দ বহুল হেডফোন থেকে। যাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনের বড় বাধা হেডফোন। একটি সাধারণ বিষয় বুঝতে এবং বোঝাতে ব্যাপক সময়ে প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তার প্রশ্নের জবাব আমি দিচ্ছি, কিন্তু তিনি শুনছেন না। হয়তো লিপ রিডিং করতে পারেন তিনি। তাই বললাম, আপনার সিটটি কী আরেকটু হেলিয়ে দিতে হবে? জবাব এলো, ডায়েট কোক। চারদিকে হাসির রোল উঠল।
অনেক সময় নতুন ক্রুদের সঙ্গেও মজা করা হয়, বলতে থাকলেন বিটি। কিছু নতুন বিমানবালা নেওয়া হয়েছে। নতুনদের উদ্যম ভালো লাগে আমার। এরা প্রশিক্ষণে যা পেয়েছেন তা নিয়ে এখানে এসেছেন। বাকিটুকু শিখবেন এখানেই। কিছু ফ্লাইটের এয়ার টেস্ট করতে হয়। নতুনদের একজনকে ব্যাগ দিয়ে বললাম প্রথম শ্রেণী এবং ইকোনমি থেকে কিছুটা বাতাস ভরে আনুন। তারা বিপুল উদ্যমে বাতাস ভরে আনল। যখন আনল তখন সেগুলো ধরিয়ে দেওয়া হলো গেটম্যানের হাতে।কিছু সময় আসে যখন পরিস্থিতি ভালো থাকে না। ইন্ডাস্ট্রির সবাই হতাশ। সেই সময়গুলোতেই যাত্রীদের অভিযোগের সীমা থাকে না। তেমন সময়ের একটি ফ্লাইটে বিমানে চড়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেল যাত্রীদের অভিযোগ। বিটি বললেন, আমার মনে হলো বিমান উড়াল দিলে তাদের মনটা একটু ভালো করে দেওয়া জরুরি। তাই একটি দোকান থেকে কিছু চাবি দেওয়া খেলনা ইঁদুর কিনলাম। বিমান উড়াল দিল। যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে শুনতে অস্থির হয়ে পড়লেন অ্যাটেনডেন্টরা। আমি চুপিসারে একটি ইঁদুর চেড়ে দিলাম তার পাশে। হঠাৎ খেয়াল করতেই সে চিৎকার দিয়ে লাফ দিল। ব্যস, সবাই হাসিতে ফেটে পড়লেন। এভাবে মাঝে মধ্যে আমি বাজে পরিবেশ ভালো করার চেষ্টা করি।
তবে কেউ একজন এই ইঁদুর থেরাপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এর পর থেকে আমি বিমানে ওঠার আগে আমার ব্যাগ চেক করা হতো।
সূত্র - কালের কণ্ঠ
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন