somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুলডোজার বাবা

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বুলডোজারের মহিমা
( ১ ম পর্ব)
বুলডোজারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হলে প্রথম জানা দরকার যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হবার আগে ৩৫-৪০ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের অবস্থা প্রকৃত অর্থে কি ছিলো। কাদের শাসন ছিল?

২০০৫ সালের ২৯ শে নভেম্বর। একটা ক্রিকেট ম্যাচ উদ্বোধন করে বাড়ী ফিরছিলেন গাজীপুরের মহম্মদাবাদের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই। দুটো গাড়িতে তারা মোট সাতজন ছিলেন। বেলা তখন আনুমানিক দেড়টা। ভায়ারকোল বলে একটা জায়গাতে একটা সরু ব্রিজের মুখে তাদের গতিরোধ করে ছয় জন দুষ্কৃতি। সবার হাতে অটোমেটিক রাইফেল। মোক্তার আনসারির পাঠানো শ্যূটার।

আচ্ছা বলুন তো, সাত জনকে মারতে গেলে কটা বুলেট ফায়ার হতে পারে ? কেউ বলবেন, ২০ টা, কেউ বলবেন ৩০ টা,কেউ ৫০ টা। কেউ হয়তো বলবেন, সাত জন। প্রত্যেকের জন্য দশটা করে বুলেট বরাদ্দ হলে ৭০ টা। অনেকে বলবেন, না, একদম সিওর হতে হবে যে মরেছে। আরো ৩০ টা বেশী। মানে মোট ১০০ টা বুলেট।

শুনলে চমকে উঠবেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা বলেছিলেন যে কমপক্ষে ৪০০ রাউন্ড ফায়ারিং হয়েছিলো। তাদের অনুমান, শুধু কৃষ্ণানন্দ রাইয়ের দিকেই ছোড়া হয়েছিলো ৭০ টির বেশী বুলেট। অনেকগুলি তার শরীরের কিছুটা দূর দিয়ে গিয়েছিলো। অনেকগুলি তার শরীর ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো। তার শরীর থেকেই ডাক্তাররা বের করেছিলেন ২১ টি বুলেট। ওই চারশো রাউন্ড গুলি চলেছিলো কি ধরণের রাইফেল থেকে? AK-56, Ak-47, G-3 রাইফেল থেকে।

এই G-3 রাইফেল থেকে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড ফায়ারিং করা যায়। এই রাইফেল পাকিস্তানি সেনা ব্যবহার করতো। ১৯৭১ এর যুদ্ধে ভারতীয় সেনা তাদের হাতে বন্দী পাকিস্তানের বহু সেনার থেকে এই রাইফেল আটক করেছিলো। তার মধ্যে কোনো এক বেআইনি পথে কয়েকটা পৌঁছে গিয়েছিল মালখান সিং দের মতো চম্বলের ডাকাতদের কাছে। তাদের কাছ থেকে কয়েকটা উত্তর প্রদেশের মাফিয়াদের কাছে।অথচ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তখন ছিলো সামান্য থ্রি নট থ্রি রাইফেল।

কুখ্যাত মাফিয়া মোক্তার আনসারি যে কৃষ্ণানন্দ রাইকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই উদ্দেশ্যে অপরাধীরা যে মোক্তার আনসারির বাড়ীতে (ওখানকার লোকের কথায় ওটা ছিলো দুর্গ বা কেল্লা। অপরাধীদের পরিকল্পনার আস্তানা) কয়েকদিন ধরেই আছে, সেইরকম নিশ্চিত খবর ছিলো উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে। ওই জেলার SSP মানে সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ রাজকুমার বিশ্বকর্মা তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন মোক্তার আনসারির বাড়ী রেইড করার। কিন্তু সরকার সে অনুমতি দেয় নি। সব জেনেও সরকার পুলিশকে কিছুই করতে দেয় নি। ফল ছিলো সেই ২০০৫ এর ২৯ শে নভেম্বর ৪০০ বুলেট বৃষ্টি। বিধায়ক ও তার ছয় সহ কর্মীর বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া দেহ। পরবর্তী সময়ে দেখবেন এই নৃশংস হত্যাকান্ডের অপরাধীরা সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছিলো। সঠিক তথ্য প্রমাণ কোর্টে উপস্থাপিত হয় নি বলে।

যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হবার আগের উত্তরপ্রদেশের চেহারা বোঝানোর জন্য একটা উদাহরণ দিলাম। পরে আরো দেবো।
কিছু সময়ের ব্যতিক্রম ছাড়া মূলতঃ যোগী আদিত্যনাথের আগে উত্তরপ্রদেশের মূল শাসনকর্তা ছিলো মাফিয়া, স্মাগলার, কুখ্যাত অপরাধীরা। পুলিশকে অনুমতি দেওয়া হতো না কিছু করার। ওদের কেশাগ্ৰ স্পর্শ করার অধিকার পুলিশের ছিলো না।
****
( ২ য় পর্ব)
উত্তরপ্রদেশের মাফিয়ারা কতোটা ভয়ঙ্কর ? একটা ঘটনার কথা প্রায় ৩৪/৩৫ বছর আগে অনেকেই হয়তো পড়েছিলেন। অনেক সাপ্তাহিক পত্রিকা বা ম্যাগাজিনেও বেরিয়েছিলো। কানপুরের ঘটনা। এক সেনা অফিসারের স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলো। ওই অফিসারের সন্দেহ হয়েছিল যে এক মাফিয়ার হোটেলে তার স্ত্রীকে গুম করে রাখা হয়েছে। তিনি সোজা হানা দিয়েছিলেন ওই হোটেলে। কিন্তু তারপর থেকে তিনিও নিখোঁজ। পুলিশ অনুসন্ধান টীমের স্নিফার ডগ হোটেলের সুইমিং পুলের চারপাশে বহুবার চক্কর দিচ্ছিলো আর ডাকছিলো। শোনা যায় ওটা নামেই সুইমিং পুল। ছাড়া আছে কুমির। লাশ গায়েব করে দেবার জন্যে। অনেকটা অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর অভিনীত একটা হিন্দি সিনেমার মত। নামটা মনে পড়ছে না। ভিলেনের নাম সিনেমাতে বোধহয় "সাকাল" ছিলো। এইরকম উদাহরণ একসময় উত্তরপ্রদেশে অনেক ছিলো।

উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারাজের ইতিহাস বুঝতে হলে অন্তত পাঁচ দশক পিছনে যেতে হবে। ১৯৮১ এর ১৪ ই ফেব্রুয়ারী কানপুর দেহাতের বেহমনিতে হানা দিলো দস্যু রানী ফুলন দেবীর টীম। তার বেশ কয়েক বছর আগে ফুলন দেবীকে ওই গ্ৰামের দুই জোতদার ধর্ষণ করেছিলো। উলঙ্গ করে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো। দুরন্ত প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে ফুলন দেবী হানা দেয় ওই গ্ৰামে। ২০ জনকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে একদম কাছ থেকে বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয়। উত্তরপ্রদেশের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে ২০ টা প্রজ্জ্বলিত চিতার ধোঁয়াতে। তৎকালীন কংগ্ৰেসি মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৮৩ সালে ফুলন দেবী আত্মসমর্পণ করে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নয়। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিং এর কাছে। ১১ বছর পর, ১৯৯৪ উত্তরপ্রদেশ সরকার তার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।

শুরু হয় ফুলন দেবীর নতুন জীবন। মির্জাপুর লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে তাকে দাঁড় করায় সমাজবাদী পার্টি। জিতে এম পি হিসেবে শপথ গ্ৰহণ। একসময় চম্বলের বেহড়ে বেহড়ে দিন কাটানো ফুলন দেবী থাকতে শুরু করেন দিল্লীর অশোক রোডের বিলাসবহুল বাংলোতে।

২০০১ সালের ২৫ শে এপ্রিল।‌ সকালে কলিং বেলের ঘন্টা। নিজেই দরজা খোলেন সাংসদ। এক অপরিচিত যুবক। কি তার পরিচয়, এই প্রশ্নটা করার সুযোগ পান নি। যুবক রিভলবার বের করে পরপর গুলি চালায় ফুলন দেবীকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। যুবক কিন্তু পালায় নি। পুলিশকে বলে যে ২০ বছর আগে বেহমনি গ্ৰামের ২০ জনের হত্যার বদলা এটা। এই জাতপাতের খুনোখুনির রাজনীতির মধ্যে থেকে উঠে এসেছিলো উত্তরপ্রদেশে এক নতুন সোশ্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং
***
(৩ য় পর্ব)
১৯৯১ এর জানুয়ারীতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কল্যাণ সিং। প্রথমবারের জন্য ঠিক ভাবে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপারেশন শুরু হয়। সেইসঙ্গে সেই সরকার সঠিক অর্থে "নকল বিরোধী" আইন পাশ করে। এর আগে পরীক্ষা হলে খোলাখুলি নকল চলতো। কল্যাণ সিং সরকার আইন আনলো, নকল করলে জেল। নকলে সহায়তা করলেও জেল।

কল্যাণ সিং যে কড়া ব্যবস্থাগুলি গ্ৰহণ করতে শুরু করেছিলো বা করার উদ্যোগ নিচ্ছিলো সেগুলি সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশে ধারণা করা যেতো না।যারা ভোটে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে তারা প্রায় সবাই তার বিরুদ্ধে চলে গেলো। সরকার পাঁচ বছর চললে কি হতো বলা যায় না। কিন্তু সরকার দুবছরও চলে নি। ১৯৯২ এর ৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় একবছর রাষ্ট্রপতি শাসন বহাল থাকার পর নির্বাচন হয়। এস পি ও বি এস পি গটবন্ধনের সরকার তৈরী হয়। মুখ্যমন্ত্রী হয় মুলায়ম সিং যাদব। একটা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর আবির্ভাব হয়। যাদব-মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক।

উত্তরপ্রদেশ রূপান্তরিত হয় কুখ্যাত অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্যে। স্মাগলার আর মাফিয়াদের জন্য খোলা ময়দান। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের নেপাল ঘেঁষা চারটি জেলা, বাহরাইচ, বলরামপুর, গোরখপুর আর মহারাজাগঞ্জ পরিণত হয় মুসলিম মাফিয়াদের মুক্তাঞ্চলে। বেআইনী অস্ত্র আর মাদকের রমরমা কারবার। সেইসঙ্গে গোরুপাচার। একইসাথে গোরু কাটার জন্য বেআইনি বহু কসাইখানা। অবাধে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে গোরু ও গোরুর মাংস বাংলাদেশে পাচার হতে লাগলো। মাফিয়ারা ফুলে ফেঁপে উঠলো।
****
(৪ র্থ পর্ব)
১৯৯৩ সালের ২৬ শে জানুয়ারীর প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিলো মিরাটের একদল মুসলিম জনতা। তারা বাবরি মসজিদ একশন কমিটির নেতা সৈয়দ সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে চলা যুবশক্তি। ইমলিয়ান বলে একটি জায়গায় তারা সশস্ত্র জমায়েত করেছিলো। হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়েছিলো উত্তরপ্রদেশ সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, Provincial Armed Constabulary বা PAC র সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পে। গ্ৰেনেড বিস্ফোরণে কয়েকজন জওয়ান আহত হন। নিহত হন হাবিলদার শর্মা।

পুলিশ পাঁচ জন মুসলিম যুবককে আটক করে। তাদের কাছ থেকে RDX উদ্ধার হয়। সম্ভবতঃ ভারতবর্ষে প্রথম কারো কাছ থেকে RDX উদ্ধার হবার ঘটনা। পুলিশ টেররিস্ট এন্ড ডিসরাপটিভ এক্টিভিটিস প্রিভেনশন এক্ট বা TADA আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে তখন এটাই ছিলো সবচাইতে উত্তম আইনি হাতিয়ার।

তখন উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছিলো। বছরের শেষে নির্বাচনে SP-BSP জোটের সরকার তৈরী হলো। মূলায়ম সিং যাদব হলো মুখ্যমন্ত্রী। তার নির্দেশে সরকার কোর্টে আবেদন করলো যে জনগণের স্বার্থে মানে পাবলিক ইন্টারেস্টে সরকার এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে চায়। ভাবুন, যারা গণতন্ত্র দিবস বয়কটের মাধ্যমে দেশের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করে, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ক্যাম্পে হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশকে খুন করে, যাদের কাছ থেকে আর ডি এক্স এর মত ভয়াবহ ধ্বংসলীলা চালাবার মত বিস্ফোরক উদ্ধার হয়, তাদের ছেড়ে দেওয়াটা নাকি জনতার বা সমাজের স্বার্থে।

সৌভাগ্যের কথা, মিরাট জেলা আদালত সরকারকে জিজ্ঞেস করলো যে এদের ছেড়ে দেওয়াটা কি হিসেবে পাবলিক ইন্টারেস্টে? এদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করলে কিভাবে সমাজের স্বার্থ রক্ষিত হবে ? কোন যুক্তিতে ? বলা বাহুল্য, সরকারের কাছে কোন যুক্তিই ছিলো না। ফলে ওই পাঁচ উগ্ৰপন্থী মুসলিম যুবককে ছাড়াতে মুলায়ম সিং এর সরকার সক্ষম হলো না। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলো।

যোগী আদিত্যনাথের সরকার ও তার শাসনব্যবস্থাকে বুঝতে হলে তার আগের উত্তরপ্রদেশকে বোঝা দরকার যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী RDX এর মত এক্সপ্লোসিভ সহ গ্ৰেফতার হওয়া সন্ত্রাসবাদীদেরকেও ছাড়াবার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করতো। এদের সৌজন্যেই উত্তরপ্রদেশ কুখ্যাত অপরাধীদের স্বর্গে পরিণত হয়েছিলো।
****
(৫ ম পর্ব)
অন্য কিছু বিষয়ে মুলায়ম সিং যাদবের সাথে তার ছেলে অখিলেশের মানসিকতার পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মাফিয়াদের মদত দেবার ক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মুলায়ম বা মায়াবতীর মতো অখিলেশ সরকারের সময়ও স্মাগলাররা রমরম করে সাম্রাজ্য চালিয়েছে।
অনেকেরই হয়তো মনে আছে ২০১২ র ২৪ শে নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের বহু জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিলো। সিরিয়াল ব্লাস্ট। ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন। গুরুতর আহত হয়েছিলেন অনেকে। লক্ষ্মৌ কোর্টে, ফৈজাবাদ কোর্টে, বারাণসী কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলছিলো।
২০১৩ র ২১ শে মে। কোর্টে সাক্ষ্য দেওয়াবার জন্য কুখ্যাত ওমর খলিদকে পুলিশ লক্ষ্মৌ জেল থেকে ফৈজাবাদ কোর্টে নিয়ে আসে। ফেরার সময় বারাবাকি নামে একটি জায়গায় সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোকে লোকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে মারা যায়।

ওই কুখ্যাত অপরাধী,পরপর বোমা বিস্ফোরণের মূল মাথা, ১৫ টি তাজা প্রাণ কেড়ে নেবার মাষ্টারমাইন্ড, তার মৃত্যুতে অখিলেশ যাদবের শোক বন্যার জলের মতো কুল প্লাবিত করলো। তখন পুলিশের ডি জি ছিলেন বিক্রম সিং। কয়েকদিন পর তিনি রিটায়ার্ড হন। নতুন ডি জি হন ব্রিজ লাল। ওই ওমর খলিদের মৃত্যুর বিষয়টি কয়েকদিন ধরে ভালো করে সন্ধান করে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব দুই ডি জি র বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার আদেশ দেন। IPC র 302 ধারাতে। একবার ভাবুন, কোন কনস্টেবল কিংবা এ এস আই বা এস আই এর বিরুদ্ধে নয়। পুলিশের দু দুজন পরপর দায়িত্ব নেওয়া ডাইরেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা করছে সরকার। কেনো ? এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী, বহু হত্যায় যুক্ত ওমর খলিদের সান স্ট্রোকে মৃত্যুর জন্য। ওদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভালোবাসাটা একবার অনুধাবন করুন।

ওই মামলার অপর দুই মূল অভিযুক্ত তারিক আজমি ও মহম্মদ আখতারকে(কাশ্মীরের বাসিন্দা) বাঁচাবার জন্যেও অখিলেশের সরকার বহু চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু ফৈজাবাদ আদালত একটুও নমনীয় হয় নি। দীর্ঘ শুনানির শেষে ২০১৯ সালে (তখন যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী) ফৈজাবাদ আদালতের অতিরিক্ত জেলা জাজ অশোক কুমার এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। লক্ষ্মৌ আদালতেও এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
অপরাধীদের উপর সঠিক অর্থে কড়া চাবুক পড়া শুরু হলো যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবার পর।
*****
(ষষ্ঠ পর্ব)
যোগী আদিত্যনাথ যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন তখন বছর দুয়েকের মাথায় তিনি একবার বলেছিলেন যে যদি মহিলাদের উপর কিংবা পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর মানুষদের উপর অত্যাচার হয় তবে অপরাধীদের সম্পত্তির উপর বুলডোজার চলতে পারে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে বুলডোজারের মহিমা উত্তরপ্রদেশের সাথে গোটা ভারতবর্ষ প্রথম দেখলো ২০২০ সালের জুলাই মাসে। কানপুরের বিকরুতে মাফিয়া বিকাশ দুবের বিলাসবহুল অট্টালিকা ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হলো। ৮ পুলিশ কর্মী খুনে অভিযুক্ত বিকাশ দুবে তখন পলাতক।

কয়েকদিন পর মধ্যপ্রদেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গাড়ী "উল্টে" গেলো। পুলিশের মতে বিকাশ দুবে নাকি পালাবার চেষ্টা করছিলো। পুলিশ এনকাউন্টার করলো। রক্তে রক্তে স্নান করে ওঠা বিকাশ দুবেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো পুলিশ। তার মৃত্যু সংবাদ এবং এনকাউন্টারের বিবরণ গোটা উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে পড়লো। এদিকে বুলডোজার দিয়ে তার প্রাসাদোপম বাড়ী গুঁড়ো গুঁড়ো করে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া। পুলিশের এই চেহারার সাথে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত অপরাধীরা পরিচিত ছিল না। তারা স্বপ্নেও কোনোদিন পুলিশের এই চেহারা কল্পনা করে নি। তাদের শিরদাঁড়া দিয়ে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত নেমে আসলো।

সেই শুরু। বুলডোজার ছুটতে শুরু করলো অপরাধের সাম্রাজ্যের বুকের উপর দিয়ে। পূর্ব থেকে পশ্চিম। উত্তর থেকে দক্ষিণ। শুধু ছোটখাটো বা মাঝারি মাপের নয়। একদম প্রথম সারির মাফিয়াদের, স্মাগলারদের উপর। সেইসঙ্গে বাহুবলি রাজনীতিবিদদের উপর। একসময়য় গোটা এলাকা যাদের ভয়ে থরথর করে কাঁপতো, পুলিশ অফিসাররা যাদের সভয়ে স্যালুট করতো, যাদের কথাই ছিলো তাদের এলাকায় আইন, সেইসব মাসলম্যান পলিটিশিয়ানদের বেআইনি সাম্রাজ্যের উপর আইনি তান্ডব চালাতে শুরু করলো বুলডোজার।

রামপুর থেকে দশবার বিধায়ক, একবার সাংসদ, একসময় রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ের ক্যাবিনেট মন্ত্রী, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পাঁচটি দলের প্রতিনিধিত্ব করা, সমাজবাদী পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজম খান, পশ্চিম এলাহাবাদ থেকে কখনো নির্দল, কখনো "আপনা দল" এর হয়ে পাঁচ পাঁচবার বিধায়ক হওয়া আতিক আহমেদ, গাজীপুর জেলার মাউ থেকে কখনো বি এস পি , কখনো নির্দল হিসেবে পাঁচ পাঁচবার বিধায়ক হওয়া মোক্তার আনসারি , কেউ বাদ গেলো না। কারো ৬৭ কোটি, কারো ৬০ কোটি, কারো ১০০ কোটি টাকার বেশী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলো। সামান্য বেআইনি কিছু খুঁজে পেলেই তাদের বাড়ী, দোকান, হোটেল, রিসর্ট, সবকিছুর উপর বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হলো।

তিনজনের নামে মামলা ছিল ৪৮ টি, ৮০ টি ও ৯৬ টি। হত্যা(আজম খানের নামে হত্যার মামলা ছিল না), অপহরণ, লুন্ঠন, হত্যার চেষ্টা, সরকারী কাজে বাঁধা, সরকারী সম্পত্তি দখল, মুক্তিপণ আদায়, কিছু বাদ ছিলো না। আজম খানের স্থান হলো সীতাপুর জেলে(কিছু দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ হস্তক্ষেপে জামিন পেয়েছে)। ২৬ মাসের বেশী জেলে ছিলো।

তাকে দেখে এসে সমাজবাদী পার্টির এক সাধারণ সম্পাদক কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। ওইরকম বড়ো একজন নেতাকে নাকি সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে। সে নাকি মরেও যেতে পারে। আতিক আহমেদের জায়গা হলো গুজরাট জেলে। মোক্তার আনসারির পাঞ্জাব জেলে। তাদের প্রধান সঙ্গীসাথীদের ঘোর কাটছিলো না। তাদের সঙ্গীরা, যাদের একসময় পুলিশ স্যালুট করতো, সেই একই পুলিশ তাদের কলার ধরতে শুরু করলো। ঘাড় ধরে ভ্যানে তুলতে শুরু করলো। তাদের পিঠে লাঠি ভাঙ্গতে লাগলো।
গোটা উত্তরপ্রদেশের আবহাওয়া পাল্টে গেলো। এক সন্নাসী মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অপরাধের উপর আইনের শাসনের কড়া চাবুক পড়াকে প্রত্যক্ষ করতে শুরু করলো গোটা রাজ্য, গোটা দেশ।
******
(৭ ম পর্ব)
যোগী আদিত্যনাথের প্রথম পাঁচ বছরে ১৮৪০ কোটি টাকার বেশী সম্পত্তি অপরাধীদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হলো।জোর করে দখল করে রাখা ৬৭ হাজার একর জমি ওদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হলো। এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছিলো ৪০০০ এর বেশী। যদিও উত্তরপ্রদেশে পুলিশের এনকাউন্টারে আসামের মত ঘন ঘন নিহত হবার বিষয়টা ঘটতো না। মূলতঃ গুলিতে আহত হত। কিন্তু ধরা পড়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা দায়ের হতো। এখনো হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাদের বেআইনী দখলের উপর, সম্পত্তির উপর, নির্মানের উপর অবাধে চলতে থাকলো বুলডোজার। ২০২২ এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ালো বুলডোজার। যোগী আদিত্যনাথের প্রত্যাবর্তন হলে স্মাগলার আর মাফিয়াদের উপর বুলডোজার চলবে। অন্য কোনো জোট সরকারে আসলে চলবে না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারী। অযোধ্যায় নির্বাচনি প্রচারে যোগী আদিত্যনাথের জনসভা। মঞ্চের একদম সামনে থাকা ব্যক্তিরা বারবার শ্লোগান তুলছিলো,
ইউ পি কি মজবুরি হ্যায়,
বুলডোজার বহুত জরুরী হ্যায়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারী। সুলতানপুরে আদিত্যনাথের রোড শো। গাড়ীর প্রায় অর্ধেকই বুলডোজার। ২৭ শে ফেব্রুয়ারী। গোরখপুর গ্ৰামীণ সিটের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে রোড শো করছেন অনুরাগ ঠাকুর ও তেজস্বী সূর্য। রোড শো র প্রথম গাড়ীটাই বুলডোজার। এক স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় "বুলডোজার বাবা" শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হলো। আর সেটাই এক অর্থে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি অনেকটা নির্ধারিত করে দিল।
নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের জনতা দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন যোগী আদিত্যনাথকে। ৩৫ বছর পরে কোনো সরকার নিজের পুরো মেয়াদ শেষ করার পরে পুনরায় নির্বাচিত হলো। সর্বত্র বিজয় মিছিলে কেবল বুলডোজারের ছড়াছড়ি। আমাজন, ফ্লিপকার্টের মত অনলাইন শপিং এ বাচ্চাদের খেলনার তালিকাতেও হঠাৎ করে বুলডোজার টয় এর বিক্রি অস্বাভাবিক বেড়ে গেলো। যোগী আদিত্যনাথ বুঝে গেলেন যে জনতা তাকে বুলডোজার চালাবার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। ব্যস, আর কে পায়!
যে মাফিয়ারা ভেবেছিলো যে হয়তো বা সমাজবাদী পার্টি জিতে ক্ষমতায় আসতে পারে, নির্বাচনের ফল দেখে তাদের শিরদাঁড়া দিয়ে আতঙ্কের হিমশীতল স্রোত নেমে এলো।
******
(শেষ পর্ব)
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এ কে ভার্মার মতে যোগী আদিত্যনাথ প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি অপরাধীদের মেরুদণ্ডে শক্ত আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছেন। ষাড়কে যেমন কাবু করতে হলে শক্ত হাতে তার শিং ধরতে হবে, সেইরকম অপরাধীদের আসল জায়গায় আঘাত হানতে পেরেছেন আদিত্যনাথ। তার জন্যেই হুঙ্কার ছাড়া ভয়ঙ্কর বাঘ আজম খান,আতিক আহমেদ, মোক্তার আনসারিরা হয়ে গেছে সার্কাসের নখদন্তহীন বাঘ। কেউটে পরিণত হয়েছে ঢোড়াতে। আর এই বিষয়ে একটা বিরাট ভূমিকা পালন করেছে বুলডোজার। ওদের বিশাল বিশাল অট্টালিকা গুড়িয়ে দেবার সাথে সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে ওদের বেপরোয়া মনোভাব আর আইন ভাঙ্গার প্রবণতাকে। ওদের মনোবলকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

প্রতাপগড়ে এক ধর্ষণের অপরাধী পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। পুলিশ তার বাড়ীর সামনে বুলডোজার রেখে এলো। পরদিন কাঁপতে কাঁপতে সে এসে থানায় সারেন্ডার করলো। সাহারানপুরে একসাথে দু ডজন কুখ্যাত অপরাধী হাত জোড় করে থানায় এসে সারেন্ডার করলো। প্রয়াগরাজে ১০ জুনের পাথর ছোড়ার মাষ্টারমাইন্ড মহম্মদ জাভেদের বাড়ী দুদিনের মধ্যেই, ১২ ই জুন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বুঝিয়ে দিলেন তার বুলডোজার ঠিক কি করতে পারে আর কি করবে। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার জিতে আসার পর। মাফিয়ারাও হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছে এদিক ওদিক করলে পরিণাম কি হতে পারে।

করুণ স্বরে কচ্ছের জনসভা থেকে আসাউদ্দিন ওয়েসি বললো, নরেন্দ্র মোদী সব কোর্টে তালা লাগিয়ে দিলেই পারে। যোগী আদিত্যনাথ নিজেই যখন বিচার করে বুলডোজার চালিয়ে দিচ্ছে তখন আদালতের কি দরকার। পরে একবার বললো, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তো এলাহাবাদ হাইকোর্টের সুপার চীফ জাস্টিস হয়ে গেছে। কখনো বললো, বুলডোজার চালানো হচ্ছে সম্পত্তির ওপর নয়। চালানো হচ্ছে দেশের সংবিধানের উপর। আরো অনেক মুসলিম নেতাও এই ধরণের বক্তব্য দিতে শুরু করলো। ওরা ওদের বক্তব্য দিচ্ছে, এদিকে বুলডোজার বুলডোজারের কাজ করেই চলেছে।

মামলা কোর্টে গেলো। কেউ কোন অপরাধ করলে তার শাস্তি হিসেবে তো তা সম্পত্তির উপর চলতে পারে না। এটা তো ভারতীয় সংবিধান বা ভারতীয় আইন বলে না। এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকারও কোর্টে এফিডেভিট দিয়ে বললো, আমরা যা করছি, আইন মেনেই করছি। ইউ পি আরবান ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্ল্যানিং অ্যাক্ট, 1973 মেনেই বুলডোজার চলছে। আদালতও বুলডোজার এর উপর স্থগিতাদেশ দেয় নি। শুধু বলেছে, আইন মেনে চললেই হবে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, দুটো জিনিস একসঙ্গে কি করে সম্ভব ? কোন অপরাধের শাস্তি তো তার বাড়ীর উপর বুলডোজার চালানো নয়। অথচ উত্তরপ্রদেশ সরকার বলছে, আমরা আইন মেনেই করছি। এটা সম্ভব হচ্ছে, কারণ ওই ধরনের কুখ্যাত মাফিয়ারা, স্মাগলাররা যে ধরনের ক্ষমতা ভোগ করতো, তাদের কথাই ছিল আইন। তারা যখন যখন কোন নির্মাণ কাজ করেছে, ইচ্ছেমতো অপরের সম্পত্তি দখল করেছে, সেইসাথে নিজেদের নির্মান কাজের সময় কোনো আইনের তোয়াক্কা করে নি। ব্যস, এখানেই উত্তর প্রদেশ সরকার সুযোগ পেয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশের ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ ডিপার্টমেন্ট খুঁজে খুঁজে পুলিশকে তালিকা দিয়ে দেয় যে কোন অপরাধীর কোন নির্মাণ বেআইনী। সাথে সাথে বুলডোজার একশন।

‌ অবশ্য যোগী আদিত্য নাথ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কোন প্রান্তিক বা গরিব মানুষের সম্পত্তির উপর যেনো বুলডোজার না চলে। উত্তরপ্রদেশের এডিশনাল চীফ সেক্রেটারি (ইনফর্মেশন) বলেছেন যে, আমরা বুলডোজার চালাচ্ছি সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনবার জন্যে আর মাফিয়া দের মনোবল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবার জন্যে।
যোগী আদিত্যনাথের মনোভাব দেখে সবাই বুঝে গিয়েছেন যে মাফিয়াদের পুরো শিকড়সুদ্ধ উৎপাটিত না করা পর্যন্ত বুলডোজার চলতেই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×