বাড়ির পিছনে একটি গাছ
অযত্ন অবহেলায়,
অগোচালো কিশোরের রুক্ষ চুলের মত
ছড়িয়ে ডাল পালায়।
কিশোরীর অবুজ কান্নার মত
ঝড়ে পড়ে শুকনো পাতা গুলো,
বাধঁন হারা নদীর মত
ডাল ভাঙে নরপশু।
যার ছায়ায় বসে তপ্ত শরীর করে,ফুরফুরে আবেশ,
নিরপরাধ ঐ বৃক্ষরে করে নিধন মনুষ্য সমাজ।
হায় হায় একি ধর্ম তাদের! উল্টানো চোখ!
বন্ধুত্বের প্রতিদানে একি স্বরূপ!
তৃপ্ত কর মন,বৃক্ষের নানা ফল দিয়ে,
তারে কেনো মারো এমন নিষ্ঠুর হয়ে?
প্রশ্বাসে কার্বন ডাই অক্সাইড দাও,
নিঃশ্বাসে অক্সিজেন নাও,
এ কার অবদান তুমি কি জানো?
বৃক্ষের অক্সিজেনে তুমি যাও বেঁচে,
বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড বৃক্ষ নেয় শুষে।
হে মনুষ্য কূল, বৃক্ষের করুন রোদন থামাও
তোমরা তোমাদের বাঁচাও।
বৃক্ষ আজ কালের সাক্ষী হয়ে আছে তোমারই
অগোচরে,
নিজ চোখ দেখ খোলে পাবে তোমার মাঝে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩