somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিমু বৃষ্টিতে ভিজছে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমুর হাতে ছাতা নেই। ছাতা পড়ে
গেছে। ব্যাপারটা কেমন?
অপমান একটি পাতি বুর্জোয়া ভাব।
অপমানে বৃষ্টিতে ভেজাও যেমন। এইটার
খারাপ-ভালর ব্যাপার না, সুবিধাবাদি
দিকটি ধরিয়ে দেওয়া। ছোটলোকের তো
অপমান থাকে না। তাই চড়ের বিপরীতে
থাপ্পড় দিতে দাঁড়িয়ে যায়। যেইটারে
আপনি অপমান বইলা মহৎ করেন, তারে সে
জবাব দিতে তৈরি থাকে। বৃষ্টিতে ভেজে
না।
শিক্ষক সমাজের অপমান নিতে না পারাও
তেমনি। যেন ছোটলোকের পৃথিবীতে
আপনি মহৎ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। সে
এমন ভান, যা সামান্য টানাহেঁচড়ায় ঝুর
ঝুর কইরা ভেঙে পড়ে।
কিন্তু ধরুন, এইটা যখন শিক্ষক সমাজের
ব্যাপারও না হয়ে স্রেফ পরিবারের
অপমান প্রশ্ন। যখন আরো ছোট থেকে
ছোটতর আপনার পৃথিবী। সেই আলাপ কি
করা লাগবে? পরিবারও গুরুতর বটে, কিন্তু
আপনি তো জড়-বিশেষ ছিলেন, যখন পুরো
বটগাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছিল। এখনও, যদিও,
জড়ই। বৃষ্টিতে ভেজেন, জড়ের মতো। যেন
আর কোনো অনুভূতি সচল নেই।
শিক্ষকদের অপমান তো কত হইছে, তখন তো
এই হিমুগিরি হয় নাই।
অপমানের এই ধরন জয় বাংলার নামে
এতদিন চর্চা হয় নাই, বা ওইখানে অপমানই
করা হইছে, এই ভানটা আপনার শ্রেণীগত
আত্মসম্মান সঙ্গীত। ভণ্ডামি বিশেষ।
আসলে আপনাদের, মানে শিক্ষকদের
পিটানো হইছে বা টানাহেঁচড়া করা
হইছে, তারে আপনি অপমান নাম দিছেন।
তারপরে সবকিছু ঝেড়েপুছে উঠে যাওয়া,
যেন কিছু হয় নাই, শুধু একটু অপমান, এমন।
অপমান ও পিটুনি তো দেদারছে হয়। আরো
কত কিছুই হয়। জয় বাংলা বইলাই হয়। সব
জাগাতেই হয়ে আসতেছে। আপনি তাদেরে
বাহবা দিছেন, এইবার আপনার ছাতা
পইড়া গেল, এই যা। ছাত্রলীগ, জয় বাংলা,
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এইসব তো আপনার
ছাতাই, পইড়া এবার ধুয়ে মুয়ে গেল।
তা যাক। এইসব ধুয়ে মুয়ে আপনিসহ যদি
একবার সত্যিকার বৃষ্টিতে ভিজতে
পারলেন, অপমান তো ছোটা বাত হ্যায়।
২.
ছাতা পাশে রাইখা আপনি ভিজতেছেন।
এই দৃশ্য মহাকাব্যিক বটে। আপনারে তো
ছাতা ছাড়া কখনো দেখা যায় নাই। এই
দৃশ্য দেইখা আমাদের ছাতার কবি-
সাহিত্যক ও বিপ্লবী বন্ধুরা আবেগি হয়ে
পড়ছেন। তাদের অনেকেই ছাতা মাথায়
লইয়া আপনারে দেখতে আসছেন।
এটি দারুণ অর্থ উদ্রেকি দৃশ্য বটে।
যার নিচে বা যে ছাতা আপনি এতদিন
মাথায় কইরা হাঁটতেন, ছাত্রলীগ, বা জয়
বাংলা, তারে আপনি মুড়ে রাখলেন। যেন
আপনার সার্বভৌম ইচ্ছের প্রতিফলন।
আপনিই ছাতা বন্ধ করছেন।
আসলে ছাতা তো আপনারেই বন্ধ করছে।
আপনি না।
আপনারেই ছাইড়া গেছে ছাতা। আপনি
ছাতার অবিবেকি দাস মাত্র, আর কিছু
না। আগেও যেমন ছিলেন, এখনো।
যেমনি ছাতাটা পইড়া গেল, তখনই আপনার
রশিতে ঝুইলা মরতে ইচ্ছে হল। আর আপনি
ছাতাটা মুড়ে পাশেই রাখলেন, যেন
হারিয়ে না যায়। কাল সকালে যখন রোদ
হবে, বা বৃষ্টি, আবার জমবে মেলা, ছাতার
সাথে। এই মরণেচ্ছাও ক্ষণিকের। তাই
আপনার বন্ধুরাও ছাতা ছাড়েন নাই।
৩.
আপনি ছাতা নিয়া বৃষ্টিতে ভিজলেন।
যেহেতু আপনার অপমান হয়েছে। পত্রিকা
বলছে, লজ্জায়, অপমানে। গলায় দড়ি
দেওয়ার কথা বললেন।
হুমায়ুনশাস্ত্রমতে, হিমুদের অপমান থাকে
না। তারা অপমানে ভিজে না, এমনি
এমনি ভিজে।
যেমন, গলায় দড়ি দেওয়া একটা হীনম্মন্য
ব্যাপার, হিমুদের তো নিষিদ্ধই।
প্রতিবাদে দাঁড়াবেন, কিন্তু পিটালে
গলায় দড়ি দিতে চাইবেন, এইটা
হিমুশাস্ত্রে অভব্যতা।
বা, অভিমানরে জিহাদ বইলা চালাইতে
চান কেন?
ছাত্রলীগের সাথে ঝামেলাটা মিটিয়ে
ফেলা দরকার মুহম্মদ জাফর ইকবাল,
আপনার। ছাতা একটি মহীরুহ ব্যাপার।
গতকাল যেমন বুঝতেন, এখন যেমন বুঝেন,
আগামীকাল সকালেও তা বুঝতেই থাকবেন।
ছাতা তো ছাতাই। ছাতার সাথে
ঝামেলা পাকানোর কী মহিমা? ছাতাটা
খুলে, আবার মাথায় নিয়ে, হাসুন
( রিফাত ভাইয়ের পোস্ট থেকে সংগ্রহীত?)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×