-অনলাইনে কেন?
-আজ শরতের পূর্ণিমা।
-তো? অনলাইনে কেন?
-তার উপর কি দারুণ বৃষ্টি!
-অনলাইনে কেন?
-এই, ঐ কাঁচের চুরিগুলো পরবে?
-মাঝ রাতে? ভীমরতি? অনলাইনে কেন?
-তোমার ব্যাল্কনি থেকে হাত বাড়ালে বৃষ্টি ছোঁয়া যায়?
-কাল না তোমার এক্সাম?
-মনে হচ্ছে একটু পরেই মেঘ কেটে যাবে। আকাশ পুড়িয়ে খা-খা করবে চাঁদের আলো। ঝলসে যাবে ব্যাল্কনিতে দাঁড়ানো সদ্য বিবাহিত কোন জুটি।
-কাল কয়টায় পরীক্ষা তোমার?
-সফেদ সাদা পোষাকে ঘর ছাড়বে নব্য সন্ন্যাসী। চাঁদের বুড়ি হাজার হাজার দ্যূত পাঠাবে। তাদের হাতে থাকবে জাদুর কাঠি। চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষগুলোকে আলতো করে ছুঁয়ে যাবে। তারা অমরত্ব লাভ করবে ভালোবাসার জগতে।
-ক---বি----? এবার কিন্তু রেগে যাবো।
-এই নাহ, রেগো না। পড়তে বসছি। তুমি চশমাটা পরে ব্যাল্কনিতে দাঁড়াও। চাঁদটাকে পাহারা দিও। যেন ডুবতে না পারে। পড়া শেষ করে সকালে আমি দেখবো।
ভেজা চোখে বালিকা চশমা হাতড়াতে থাকে...।