ফয়সাল আমার ঘনিষ্ট বন্ধু দুইজন আমরা একদম হরিহর আত্মা । অনেক গোপন কাজ ও আমরা দুজনে দুজনার সঙ্গী সেগুলো সব এখানে বলা যাবে না । আমাদের দুজনার মিল দেখে অনেকেই মানিক রতন বলে । পার্থক্য একটাই ফয়সালের বাপ্ বিশাল ধনী ওদের বনানীতে নিজেদের পাঁচতলা বাড়ি আর আমরা মিরপুর ১৩ নাম্বার টিনশেড এ ভাড়া থাকি ।মিরপুর বাংলা কলেজের থেকে আমাদের যে বন্ধুতা শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্দালয়ে এসে তা বহাল তবিয়তে টিকে আছে ।
এই গল্পের মূল চরিত্র নায়লা ,আমাদের সাথেই পড়ে, মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলেও চাল চলনে বেশ স্মার্ট । নায়লার সাথে আমার একটা গোপন সম্পর্ক আছে তাই বন্ধু লিটনের ফ্ল্যাটে আমাদের প্রায়ই দেখা হয় । শুধু আমি না নায়লা আরো অনেকের সাথেই ডেটিং করে বেশ মিশুক সংস্কারমুক্ত মুক্তমনা মেয়ে ।
কুবুদ্ধিটা প্রথম আমার মাথা থেকেই এলো নায়লার সাথে আলাপ করতেই সে লুফে নিলো । মহাখালীর পাশেই একটা গেস্ট হাউস এ একটা রুম পাঁচহাজার টাকা দিয়ে একদিনের জন্য ভাড়া নিলাম । একটা গোপন ক্যামেরা রুমে সেট করলাম । নায়লা বেশ উত্তেজিত খুশিতে আমাকে বারবার জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে । ফয়সাল কে ফোন করলাম বললাম দোস্ত নায়লা তোর সাথে একান্তে কথা বলতে চায় আমাকে ফোনে একটা ঠিকানা দিয়েছে বললো ওখানে সে তোর অপেক্ষা করছে । ফয়সাল ঠিকানা নিয়ে বললো সে এক্ষুনি রওয়ানা দিচ্ছে ।ফয়সাল আসার আগেই আমি বাইরে চলে গেলাম ।
এরপর কাহিনী সংক্ষিপ্ত এইমাত্র থানাপুলিশের সাথে করে নায়লার সাথে ফয়সালের বিয়ে দিয়ে এলাম দেনমোহর এক কোটি টাকা । ধর্ষণের মামলা থেকে একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে ফয়সালের বাপ্ সব কিছুতেই রাজি থানা পুলিশ ম্যানেজের জন্য লোকাল এক নেতা দুলাখ নিলেন ।কিছু সাংবাদিক এসে হাজির তাদের মুখ বন্ধের জন্যও কিছু খসলো। আর আমি ফয়সালের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসাবে নায়লাকে ম্যানেজ না করলে সে তো মামলায় করতে চাইছিলো নিখুঁত অভিনয় কেউ আমাকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করেনি ।মনে মনে নিজের পিঠ চাপড়ালাম ,।আমি এখন ফয়সালের বেস্ট ফ্রেন্ড ওর বাবা তো বললেন বাবা আজকে না হয় আমাদের বাসায় চলো । আমি বিনয়ে অবতার অন্যদিন আসবো আংকেলবলে বিদায় নিলাম । নায়লাকে কানে কানে বললাম তোর সব কথা রেকর্ড করে রেখেছি আমাকে মাসে মাসে খরচ দেয়ার চুক্তি যেন ভুলে যাস না দোস্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২১