আমি অনেক কিছুই পারি না, মূলত এই পারি না এর সংখ্যাট ই খুব রকমের বেশী, সবই যে পারতে হবে বিষয় টা এমন ও না।
দুই একটা বিষয় আছে, যা না পারাটা আমার নিজেরই খারাপ লাগে।
যেমনঃ ছবি আকা!
আমি ছবি আকতে পারি না, না, মানে একদমই না।
১টা সিম্পল ৫ তারকা আকতে ও আমাকে বেগ পেতে হইত।
আকাআকির ব্যাপারে আফসোসের বিষয়টা হচ্ছে, কিছু একটা আইডিয়া মাথায় উকি দিছে, এইটারে বলতে পারছি, বুঝাইতে পারছি, প্রত্যেকটা খুটিনাটি বর্ণনা দিচ্ছি, সকল বর্ণনা দেয়ার পরেও এইটার বর্ণনায় ঠিক সন্তুষ্টি পাচ্ছি না!
নিজে যেহেতু শব্দে ছবি আইকা সন্তুষ্ট হচ্ছি না, এই বর্ননায় চিত্রকর যে ছবিটা আকছে ঐ চিত্রটায় ও ঠিক ষোল আনা ফিল পাচ্ছি না।
ঠিক এই মুহূর্তে রঙ তুলির দক্ষতা কাজে আসে, যেটা ক্যানভাসে কল্পনাটাকে রাঙিয়ে তুলতে পারে।
যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলাম, সেটা একটা শতবর্ষী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন।
৪ রুমের সে প্রাইমারি স্কুলের সামনে ছোট্ট একটা পুকুর তার পাড়ে ১ গাছ; রেইন্ট্রি গাছ, তার পরে একটা মাঠ, মাঠের একধারে ১ তলা ১ টি দালান, অন্য পাশে একটা লম্বা টিনের ঘর, অপর পাশে রাস্তা।
গাছটাকে গাছ না বলে বৃক্ষ বলাই সমীচিন, সেই বৃক্ষটি মাঠটার ১/৩ ভাগ জায়গা জুড়ে ছিল তার বিশাল অবয়ব নিয়ে।
প্রাইমারি স্কুলের ছুটির পরে সেই গাছের গুড়ি সদৃশ্য শিকড়ের উপরে প্রায়শই ১ টা ছেলে বসে থাকত, তার কাজিনের স্কুলের ঘন্টা বাজার অপেক্ষায়।
সেই বৃক্ষটি আজ আর সেখানে নেই, আজ বা কাল না, দীর্ঘ ২ যুগ ধরে সেখানে একটা বিশালকায় ইট, কাঠ, পাথরের স্তুপ দাঁড়ানো।
আচ্ছা, তোমরা কি আজ ও সেখানে সেই বৃক্ষের শিকড়ের উপরে বসে থাকা কিশোরটাকে দেখতে পাও?
যে কিনা, ঘন্টা বাজার অপেক্ষায়!
আমি দেখতে পাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



